সড়কে হাজার-হাজার চামড়া, সীমানা জটিলতায় প্রশাসন
কমদামে বিক্রি না করে কোরবানির পশুর কয়েক হাজার চামড়া সড়কে ফেলে দিয়েছে মৌসুমী ব্যবসায়ীরা। ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডে ফেলে রাখা এসব চামড়া পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। আর এসব চামড়া অপসারণে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন ও নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা প্রশাসনের মধ্যে দেখা দিয়েছে সীমানা নিয়ে জটিলতা। সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী অফিসার এএফএম এহতাসিমুল হকের দাবি, যে স্থানটিতে পশুর চামড়া ফেলা হয়েছে সেটি ফতুল্লায়। তবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার চাইলে আমাদের সিটি কর্পোরেশন থেকে তাকে চামড়া অপসারণে সহযোগিতা করা হবে। অপরদিকে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নাহিদা বারিকের দাবি, যে স্থানটিতে চামড়া ফেলা হয়েছে সেটি সিটি কর্পোরেশনের জালকুড়ি এলাকা। ঈদের আগেও ওই স্থানটিতে ৪টি মরা গরু ফেলা হয়েছে। দূর্গন্ধের জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেগুলো আমি লোক দিয়ে অপসারন করিয়েছি। সিটি কর্পোরেশনের পর্যাপ্ত লোকবল আছে, তারাই এগুলো অপসারণ করবে।
পথচারীরা জানান, মঙ্গলবার রাতে নারায়ণগঞ্জের দিক থেকে আসা কয়েকটি পিকআপভ্যান লিংক রোডের পাশে পার্কিং করে গরুর চামড়া ফেলে রেখে গেছে। সড়কের উভয় পাশে চামড়াগুলো ফেলা হয়। একদিনের মধ্যেই এসব চামড়া পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এখন এ সড়ক দিয়ে দুর্গন্ধের কারণে চলাচল করা যাচ্ছে না। দেওভোগ এলাকার মনির হোসেন জানান, ১ লাখ ২০ হাজার টাকা দিয়ে গরু কিনে তার চামড়া বিক্রি করতে পারিনি। অন্যান্যবার মাদ্রাসা থেকে লোকজন আসে। আবার স্থানীয় মৌসুমী ব্যবসায়ীরা আসেন চামড়া কিনতে। মন চাইলে মাদরাসায় দান করতাম আর নয়তো বিক্রি করে দিতাম। এবার কেউ আসেনি। যারা গরু কেটেছে তাদের হাতেই চামড়াটা ধরিয়ে দিয়েছি। তারা কী করেছে জানি না। মাসদাইর এলাকার সোহেল মিয়া জানান, দুষ্টুমি করে এলাকার হুদা চাচাকে বললাম আপনার লাখ টাকার গরুর চামড়াটা ৪০ টাকা বেচবেননি। চাচা টাকা না নিয়ে চামড়াটা হাতে ধরিয়ে দিলেন। এরপর চাষাঢ়া গিয়ে চামড়ার পাইকার খুঁজে না পেয়ে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে চলে এসেছি। মাদ্রাসা শিক্ষক মাওলানা অজিউল্লাহ বলেন, প্রতি বছর কোরবানীর ঈদে মাদরাসার উন্নয়নের জন্য এলাকায় গরুর চামড়া সংগ্রহে ছাত্রদের নিয়ে ঘুরি। এবার অনেকেই মাদরাসায় এসে চামড়া দিতে চেয়েছে কিন্তু নেইনি। আগে থেকেই শুনেছি এবার চামড়ার পাইকার পাওয়া যাবে না। সৌজন্যে : যুগান্তর