হাওরাঞ্চলে এনজিওকে কিস্তি আদায় বন্ধ রাখার অনুরোধ
মন্ত্রী বলেন, সরকার হাওরাঞ্চলে এক বছরের জন্য কৃষিঋণ মওকুফ করেছে। তবে এনজিওগুলো দুর্যোগের মধ্যেই ক্ষুদ্রঋণের কিস্তি উঠাচ্ছে। হাওরাঞ্চলে ত্রাণ বিতরণে অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এক্ষেত্রে কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ বা দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
হাওরাঞ্চলে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ও অতি দরিদ্র ৩ লাখ ৩০ হাজার পরিবারের মাঝে সরকারি খাদ্য সহায়তা বিতরণ শুরু হয় গত মঙ্গলবার। মন্ত্রী নিজে নেত্রকোনার বারহাট্টা ও মদন উপজেলায় খাদ্যশস্য বিতরণের মাধ্যমে ১০০ দিনের এ কর্মসূচি শুরু করেন। সরকারি কর্মকর্তাদের বন্যাকবলিত এলাকায় গ্রামে গ্রামে ঘুরে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেন তিনি।
উল্লেখ্য, নেত্রকোনা জেলায় সাধারণ ত্রাণ হিসেবে ১৪৮ মেট্রিক টন চাল এবং ৩৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। এর মধ্য থেকে ৫০ হাজার দরিদ্র পরিবারকে বিশেষ ভিজিএফের মাধ্যমে খাদ্য সহায়তা দেয়া হচ্ছে। গ্রামীণ কর্মসংস্থানের জন্য ১৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ১০ টাকা কেজি দরে চাল ও ১৫ টাকা কেজি দরে ওএমএস চালু থাকবে বলে মন্ত্রী জানান।