হাওররক্ষা বাঁধের অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে দায়ের করা দুটি মামলার তদন্ত করছে দুদক। দুদকের দায়ের করা মামলার তদন্ত হচ্ছে দুদকের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের তত্বাবধানে। এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক ফারুক আহমদ। সুনামগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির দায়ের করা মামলার তদন্ত হচ্ছে দুদকের সিলেট অফিসের তত্বাবধানে। এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সহকারী পরিচালক দেবব্রত ম-ল। এছাড়া, হাওররক্ষা বাঁধের কাজ কোথায় কেমন হয়েছিল এর অনুসন্ধান করছে দুদকের ৫ সদস্যের আরেকটি অনুসন্ধান টিম। অনুসন্ধানকারীরা ৪ টি টিমে ভাগ হয়ে অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। প্রত্যেক টিম এক সপ্তাহ্ করে হাওরাঞ্চলে থাকছেন। এক টিম কাজ শেষে করে ঢাকায় ফিরলে আরেক টিম আসছেন। অনুসন্ধানকারী ৫ সদস্যের টিমের নেতৃত্ব দিচ্ছেন- দুদকের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের পরিচালক খন্দকার এনামুল কবির, এই টিমের অন্য সদস্যরা হলেন আব্দুর রহিম, সহকারী পরিচালক সেলিনা আক্তার মনি, সহকারী পরিচালক ফারুক আহমদ এবং উপ-সহকারী পরিচালক নিয়ামুল হাসান গাজী। সহকারী পরিচালক ফারুক আহমদ বলেন,‘গত বছরের ২ জুলাই সুনামগঞ্জ সদর থানায় দায়ের করা মামলার তদন্ত হচ্ছে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের তত্বাবধানে এবং ৩ আগস্ট আইনজীবীদের দায়ের করা মামলার তদন্ত হচ্ছে দুদক’র সিলেট অফিসের তত্বাবধানে। দুদকের আরেকটি ৫ সদস্যের তদন্ত দল পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের নিয়োগকৃত বেসরকারী পরিমাপক দলের পরিমাপ দেখভাল করছে, তাঁদের পরিমাপ শেষ হলে দুদক’র অনুসন্ধানি দল যেকোন বাঁধ পরিমাপ করতে পারে। এই অনুসন্ধান দল হাওরে দেড়মাস কাজ করবে। এজন্য ৪ টি টিম করা হয়েছে। এক সপ্তাহ করে একেক টিম পর্যায়ক্রমে হাওরে থাকবে।’
প্রঙ্গত, সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চলের বোরো ফসল রক্ষায় বাঁধ নির্মাণে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে ১৫ জন পাউবোর কর্মকর্তা, ৪৫ জন ঠিকারদার ও ঠিকাদারের সহযোগিসহ ৬১ জনকে আসামী করে গত ২ জুলাই সুনামগঞ্জ সদর থানায় মামলা দায়ের করেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সহকারী পরিচালক ফারুক আহমদ। এরপর গত ৩ আগস্ট জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. আব্দুল হক বাদী হয়ে পাউবো কর্মকর্তা, ঠিকাদার ও পিআইসির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ ১৪০ জনের বিরুদ্ধে আরেকটি পৃথক মামলা দায়ের করেন।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn