জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম চৌধুরীর (ডা. রফিক চৌধুরী) বিরোদ্ধে মিথ্যা বক্তব্য দেয়ায় লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন জেলা বিএনপির সংস্কারবাদী নেতা সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য নজির হোসেনের নামে।লিগ্যাল নোটিশ বলেছেন,নজির হোসেন ক্ষমা চেয়ে পত্রিকায় বিবৃতি না দিলে তিনি পরবর্তী আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। মানহানি ও ক্ষতিপূরণের মামলা দায় করতে বাধ্য হবেন। নজির হোসেন অবশ্য বলেছেন, ডা. রফিকুল ইসলাম চৌধুরী কোন কারণে দুঃখ পেয়ে থাকলে আমি দুঃখ প্রকাশ করতে রাজি আছি। রফিক চৌধুরী অভিযোগ করেছেন জাতীয় একটি সংবাদপত্রে উদ্দেশ্যমূলক নজির হোসেন বক্তব্য দিয়ে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে তাকে হেয় প্রতিপন্ন করেছেন। ডা. রফিকুল ইসলাম চৌধুরীর পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ শাহীন মিয়া গত ২৬ জুলাই নজির হোসেনকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন। ডা. রফিকুল ইসলাম চৌধুরীর পাঠানো লিগ্যাল নোটিশের কপি নজির হোসেন পেয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন। ওই লিগ্যাল নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১৮ জুলাই জাতীয় একটি গণমাধ্যমে সুনামগঞ্জ-১ আসনের নির্বাচন প্রসঙ্গ নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হয়। সেই সংবাদে নজির হোসেন ডা. রফিকুল ইসলাম চৌধুরীকে উদ্দেশ্য করে বলেন,‘যারা ভুল করে আবার ভুল স্বীকার করে না যেমন সুনামগঞ্জ-১ আসনে বর্তমানে ৪ জন সম্ভাব্য প্রার্থী আছেন, তার মধ্যে মো. রফিকুল ইসলাম চৌধুরী বেগম জিয়ার সাথে বিদ্রোহ করে চলে গিয়েছিলেন এলডিপিতে,  তারেক রহমানের ফাঁসি পর্যন্ত চাইলেন। ধর্মপাশা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মোতালেক খাঁন কোন এক সময় আ.লীগে চলে গিয়েছিলেন। তাহিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামরুল একবার দলের বিরুদ্ধে চলে গিয়েছিল।’ লিগ্যাল নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, নজির হোসেনের উদ্ধৃতি দিয়ে ডা. রফিকুল ইসলাম চৌধুরীকে জড়িয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। যার কারণে তিনি রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হয়েছেন। মিথ্যা বক্তব্যের জন্য নজির হোসেনকে লিখিতভাবে ক্ষমা প্রার্থনা ও বিষয়টি ওই গণমাধ্যমে প্রকাশের ব্যবস্থা করতে হবে বলে লিগ্যাল নোটিশে উল্লেখ করা হয়। অন্যথায় মানহানি ও ক্ষতিপূরণের মামলা দায়ের করা হবে। ডা. রফিকুল ইসলাম চৌধুরী বলেন,‘ আমার আইনজীবী জানিয়েছেন নজির হোসেন লিগ্যাল নোটিশ পেয়েছেন। নজির হোসেন ক্ষমা চেয়ে ওই পত্রিকায় বিবৃতি না দিলে পরবর্তী আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য নজির হোসেন অবশ্য বলেছেন,‘পত্রিকায় যেভাবে বক্তব্য প্রকাশ হয়েছে প্রকৃতপক্ষে আমি সেভাবে বলিনি। তারপরও যদি  কোন কারনে ডা. রফিকুল ইসলাম চৌধুরী দুঃখ পেয়ে থাকেন আমি দুঃখ প্রকাশ করতে রাজি।  বিএনপির সাংগঠনিক কর্মকান্ড শক্তিশালী করতে বিভেদ দূর করে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ কাজ করতে চাই এবং খালেদা জিয়ার হাতকে আরো শক্তিশালী করতে চাই।’
উল্লেখ্য, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম চৌধুরী বিএনপির দলীয় মনোনয়নে ২০০৮ সালে সুনামগঞ্জ-১ আসন (জামালগঞ্জ-ধর্মপাশা-মধ্যনগর ও তাহিরপুর) থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচন করেছেন। নজির হোসেনও স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করেন। নজির হোসেন জেলা বিএনপির সভাপতি ছিলেন এবং তিনি ওই আসনে তিন বার সংসদ সদস্য ছিলেন। প্রথমবার ১৯৯১ সালে সিপিবির, পরে ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির উপ নির্বাচন ও ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপির সংসদ সদস্য ছিলেন তিনি। বিএনপির এই দুই নেতাই আগামী সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-১ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী। বিএনপির এই দুই নেতা নির্বাচন করার লক্ষ্যে এলাকায় গণসংযোগ করছেন।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn