২৭ নারীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক, ভুয়া এএসপি জেলহাজতে
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নাম ব্যবহার করে অ্যাকাউন্ট খুলে প্রতারণার অভিযোগে বরগুনায় মোস্তাফিজুর রহমান বাদল নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে ভুয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে ২৭ জন নারীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের অভিযোগ রয়েছে। শনিবার রাতে বরগুনা পৌর শহরের কাঠপট্টি এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। মোস্তাফিজুর রহমান বাদলের বাড়ি বরগুনা সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের চরকগাছিয়া এলাকায়। তিনি ওই এলাকার মজিদ দফাদারের ছেলে। কাঠপট্টি এলাকায় তার ফার্মেসির ব্যবসা রয়েছে। বরগুনা থানা পুলিশ জানায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সাঈদের সঙ্গে বাদলের চেহারার কিছুটা মিল আছে। এ সুযোগ নিয়ে আবু সাইদ নাম ব্যবহার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পরিচয়ে আটক ব্যক্তি একটি ফেসবুক আইডি ব্যবহার করে আসছেন।
সম্প্রতি বিষয়টি পুলিশ সুপার আবু সাঈদের নজরে আসে। তিনি তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে বাদল এ কাজটি করে আসছে নিশ্চিত হয়ে বরগুনা পুলিশকে বিষয়টি জানান। শনিবার রাত আটটার দিকে অভিযান চালিয়ে তার নিজের ওষুধের দোকান থেকে তাকে আটক করা হয়। এ বিষয়ে বরগুনা সদর থানার ওসি তরিকুল ইসলাম অরুণ বলেন, প্রতারক বাদল অতিরিক্ত এসপি পরিচয়ে অন্তত ২৭ জন নারীর সঙ্গে ফেসবুকে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং মেসেঞ্জারে আপত্তিকর ছবি ভিডিও আদান প্রদান করে। রোববার তাকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে বরগুনার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সাইদ মুঠোফোনে বলেন, বিষয়টি আমার নজরে আসলে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আমি ওই ব্যক্তি ও তার অবস্থান নিশ্চিত হই। বিষয়টি আমি বরগুনা পুলিশকে অবহিত করে তাদের সহায়তা চেয়েছিলাম। তার বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিধিমোতাবেক মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর আগে গত ২৯শে আগস্ট ভুয়া জ্বালানি সচিব পরিচয়দানকারী সাইফুল মাহমুদ দুলাল নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেছিল বরগুনা পুলিশ।