২ বছর পর মায়ের কোলে ফিরলো শিশু কন্যা নাদিরা
আপন দাদী ও চাচা তথ্য গোপন করে ভরন পোষণের টাকা নিয়ে দত্তক দেয়ার দু’বছর পর শিশু কন্যা পুলিশের সহায়তায় ফিরলো সুনামগঞ্জের প্রবাসী মায়ের কোলে! সদর মডেল থানা পুলিশ শনিবার সদর উপজেলার ইনাতনগর গ্রামে অভিযান চালিয়ে ৭ বছর বয়সী নাদিয়া বেগমকে উদ্ধার করে মা মিনারা বেগমের ও স্বজনদের নিকট ফিরিয়ে দেয়। ’ জানা গেছে, জেলার জামালগঞ্জের জাল্লাবাজ গ্রামের বাবুল মিয়ার স্ত্রী স্বামী পরিত্যক্তা মিনারা বেগম অভিভাবকবিহিন সংসারে অভাবের তাড়নায় ২০১৫ সালে সৌদি আরবে পাড়ি জমান। প্রবাসে যাবার পুর্বে শাশুড়ি ফুলমালা ও দেবর দুলালের নিকট দেখভালের জন্য জিম্মায় রেখে যান নিজের ওরসজাত দু’ শিশু কন্যাকে। প্রবাসে গিয়ে সন্তানদের প্রতিমাসে ৬ হাজার টাকা করে ভরন পোষনের জন্য শাশুড়ি- দেবরের নিকট প্রেরণ করেন মিনারা। কিন্তু অর্থলোভী শাশুড়ি ও দেবর মিলে ভরন পোষণের টাকা সাশ্রয় করতে গিয়ে তথ্য গোপন করে এতিম হিসাবে সদর উপজেলার ইনাতনগর গ্রামে বকুল বেগম নামের এক নি:সন্তান মহিলার নিকট ৫ বছর বয়সী নাদিরাকে ষ্ট্যাম্পে লিখিত দিয়ে দওক দেন। এদিকে, পাড়া প্রতিবেশীর মাধ্যমে এক শিশু কন্যাকে দওক দেয়ার খবর জানতে পেরে ২৬ জানুয়ারী মিনারা বেগম দেশে ফিরেই সদর থানায় অভিযোগ করেন।’ মিনারা বেগমের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সদর থানার ওসির নির্দেশে শনিবার বিকেলে জেলা যুব মহিলালীগের নেতৃন্ধের সহযোগীতায় ইনাতগনর গ্রাম থেকে থানা পুলিশ শিশুকন্যা নাদিরাকে উদ্ধার করে তার মা ও স্বজনদের কোলে তুলে দেয় পুলিশ। সদর উপজেলার ইনাতনগর গ্রামের দওক নেয়া বকুল বেগম শনিবার জানান, আমার কোন সন্তানাদি নেই, তাই ওই শিশুটির দাদী ফুলমালা বেগম ও চাচা দুলাল মিয়া শিশুটির মা-বাবা নেই এতিম বলে তথ্য গোপন করে আমারনিকট শিশুটিকে দওক দেয় বিনিময়ে আমি মাঝে মধ্যে ফুলমালা বেগম ও দুলালকে হাত খরচের বেশ কিছু টাকাও দিয়েছি কিন্তু জানতাম না তারা যে এমন প্রকারণা করবে।’ সুনামগঞ্জ সদর থানার ওসি মো: সহিদুল্লাহ শনিবার রাতে জানান, বিষয়টি বড়ই অমানবিক, অভিযোগ পেয়েই শিশুটিকে উদ্ধার করার পরপরই তার মায়ের কোলে তুলে দেয়া হয়।’ জামালগঞ্জের প্রবাসী মিনারা বেগম নিজের শিশু কন্যাকে ফিরে পেয়ে থানা পুলিশ ও জেলা যুব মহিলাগের আহবায়ক সানজিদা নাসরিন ডায়নার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, উনাদের সার্বিক সহযোগীতার কারনেই আমি আমার শিশু কন্যাকে দ্রুত সময়ের মধ্যে ফিরে পেয়েছি।’ তিনি আরো বলেন, শাশুড়ি ও দেবরের এমন প্রতারণা ও শিশু সন্তান দওক দেয়ার ব্যাপারে আমি আবারো আইনি ব্যবস্থা নেব।