৫৮ জনকে নিয়ে গঠিত মোদির মন্ত্রিসভা
লোকসভায় নির্বাচনে বিজেপির বিপুল ব্যবধানে বিজয়ের পর দফায় দফায় আলোচনা শেষে ৫৮ জনকে নিয়ে গঠন করা হয়েছে দ্বিতীয় মেয়াদে নরেন্দ্র মোদির মন্ত্রিসভা। বৃহস্পতিবার (৩০ মে) ভারতীয় সময় সন্ধ্যা সাতটায় নরেন্দ্র মোদির শপথ শেষে নতুন মন্ত্রীদের শপথ করান ভারতের রাষ্ট্রপতি রাজনাথ কোভিন্দ। শপথের জন্য মোদির নাম ডাকার সময় থেকেই শুরু হয় হর্ষধ্বনি। শপথ শেষেও জয়োধ্বনি ওঠে মোদির নামে। গত ২৩ মে ভারতের লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা হয়। ৫৪২ আসনের লোকসভায় বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট ৩৫২ আসন পায়। বিজেপি পায় ৩০৩ টি আসন। ভোটের শতাংশ হার এবং আসন উভয়ক্ষেত্রেই ২০১৪ সালের চেয়ে এগিয়ে এবার সরকার গঠন করল মোদি সরকার। ৫৮ জন সদস্যের মধ্যে ২৫ জন পূর্ণমন্ত্রী, ২৪ জন প্রতিমন্ত্রী এবং ৯ জন স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী হন। মন্ত্রিসভায় নারী সদস্য ৬ জন। এবার মন্ত্রিসভায় নতুন মুখ ১৯ জন। প্রধানমন্ত্রী মোদির সংক্ষিপ্ত শপথের পরপরই শপথ নেন রাজনাথ সিং। তিনি আগের সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। এরপরই আসেন প্রধানমন্ত্রী মোদির দীর্ঘদিনের সহচর ও ঘনিষ্ঠজন বিজেপি সভাপতি অমিত অনিলচন্দ্র শাহ। টানা দুইবারের নির্বাচনে বিজেপির বিপুল বিজয়ে মোদি–শাহ জুটির ব্যাপক অবদান আছে বলে মনে করা হয়। অমিত শাহ বিজেপির সভাপতিও। অমিত শাহের পর একের পর এক শপথ নেন নিতিন জয়রাম গড়কড়ি, ডিবি সদানন্দ গোড়ৌ, নির্মলা সীতারমন, রামবিলাস পাসোয়ান, নরেন সি টোমার, রবিশংকর প্রসাদ, সাবেক পররাষ্ট্রসচিব এস জয়শঙ্কর, স্মৃতি জুবিন ইরানী।
শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী, কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী, প্রবীণ বিজেপি নেতা এল কে আদভানি, মুরলি মনোহর যোশী, কংগ্রেস নেতা গুলাম নবী আজাদ উপস্থিত ছিলেন। শপথ নেওয়ার পর এক টুইটার বার্তায় প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, ‘ভারতের সেবায় নিয়োজিত হতে পেরে সম্মানিত বোধ করছি।’ আট হাজার অতিথির মধ্যে বিমসটেকের সদস্য রাষ্ট্র বাংলাদেশ, মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, নেপাল ও ভুটানের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানেরা আছেন। তবে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে এ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। মোদি মন্ত্রিসভায় আগের মন্ত্রিসভার সদস্যদের মধ্যে অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ নেই। গতকালই স্বাস্থ্যগত কারণ দেখিয়ে মন্ত্রিসভায় না থাকতে অনুরোধ করে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে চিঠি দেন অরুণ জেটলি। এ মন্ত্রিসভায় পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাবুল সুপ্রিয় ও দেবশ্রী চৌধুরী ঠাঁই পেয়েছেন।