৭ ই মার্চের ভাষণ কেউ অস্বীকার করেনি, তবে..
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ কেউ অস্বীকার করেনি। এ ভাষণ নিঃস্বন্দেহে ঐতিহাসিক। অস্বীকার কে করেছে? এতোবছর পরে হঠাৎ করে কেন ঢাকঢোল পিটিয়ে নামছেন? যখন দেশের মানুষ কষ্টে আছে। তিনি বলেন, বড় বড় অনুষ্ঠান করে স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের কাছে সরকারি চিঠি পাঠানো হয়, অনুষ্ঠানে আসতে হবে। তা না হলে স্কুলের উন্নয়ন বন্ধ হবে, চাকরি চলে যাবে। সরকারি কর্মকর্তারা হাজির না হলে এক মাসের বেতন কাটা হবে। শনিবার বিকেলে রাজধানীর লেকশোর হোটেলে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৩তম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। অ্যাসোসিয়েশন অব ইউনিভার্সিটি টিসার্স (এগ্রিকালচার সায়েন্স) ‘তারেক রহমানের রাজনীতি ও কৃষি এবং পল্লী উন্নয়ন’ শীর্ষক এ সেমিনারের আয়োজন করে। ফখরুল বলেন, হাওর এলাকাগুলোতে আবারও বন্যার পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে। চালের দাম আবারো বাড়ছে। আপনারা (সরকার) বলেছিলেন বিনা পয়সায় সার দিবেন কৃষকদের। কিন্তু, তা না করে এখন আরও তিনগুণ বাড়িয়েছেন। ১০ টাকা কেজি চাল এখন ৬০ টাকা।
‘বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে’- সরকারের মন্ত্রীদের দেয়া বক্তব্যের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, লেকের পাশে স্টেজ তৈরি করে বুলেট প্রুফ মঞ্চের উপর দাঁড়িয়ে যখন বলা হয়, বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। তখন ইচ্ছে করে জিজ্ঞেস করতে, কিসের উন্নয়ন? উন্নয়ন আপনাদের হয়েছে। গুটি কয়েক মানুষের উন্নয়ন। যারা শুধুমাত্র কয়েকটি প্রতিষ্ঠান তৈরি করে একদিকে বিদ্যুৎ থেকে লুটছেন, অন্যদিকে মেগা প্রজেক্টের নামে ফ্লাইওভার, এক্সপ্রেস ওয়ে করে নিচ্ছেন, কোনো লাভ হয় না। নাইজেরিয়া তার প্রমাণ। প্রশাসনকে ধ্বংস করা হচ্ছে অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, তাদের পছন্দমত লোককে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিচ্ছে। সর্বক্ষেত্রে দলীয়করণ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, প্রশাসনকে যদি ধ্বংস করে দেয়া হয় তাহলে বাংলাদেশকে আপনি সফল রাষ্ট্র তৈরি করবেন কিভাবে।