আল-হেলাল,সুনামগঞ্জ থেকে : সুনামগঞ্জ ৩ নির্বাচনী এলাকা জগন্নাথপুর-দক্ষিণ সুনামগঞ্জ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী শায়খ মাওলানা ফয়েজ আহমদ। একসময় রাজনীতিতে সক্রিয় থাকলেও এখন লাগাতারভাবে দেশ বিদেশে সমাজ উন্নয়নমূলক কাজে প্রসংশনীয় ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। একজন প্রচারভিমুখ সমাজসেবী হিসেবে সুনামগঞ্জ জেলায় তার গ্রহনযোগ্যতা দিন দিন বেড়েই চলেছে। কিন্তু একটি কুচক্রীমহল তার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে তার চরিত্র হননের অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়ে তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও গুজব রটিয়ে যাচ্ছে। সাংবাদিকদের কাছে অপপ্রচারকারীদের ব্যাপারে প্রতিবাদ জানিয়ে একটি বিবৃতি প্রদান করেছেন তিনি।

এতে তিনি উল্লেখ করে বলেন, সম্প্রতি অনলাইন পত্রিকায় আমি মাওলনা ফয়েজ আহমের বিরুদ্ধে জঘন্য মিথ্যা সংবাদ আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। ভুল তথ্যে ভরপুর সংবাদটিতে আমাকে নিয়ে বাজে ধরনের মন্তব্য করে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে যার কোন সত্যতা নেই। তথ্যসুত্র হিসেবে মাওলানা শরিফ আহমদের বরাত দিয়ে প্রকাশিত সংবাদটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মেসেঞ্জারে সেন্ট করে সমাজের সুশীল ব্যক্তিবর্গের কাছে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছেন শরীফ আহমদ। অথচ শরীফ আহমদের কুকীর্তির শেষ নেই। তার নিজের গোপন ক্যামেরায়- সে কীভাবে ভিন্ন ভিন্ন নারীদের সাথে অসামাজিক কার্যকলাপ করছে সেসব পর্ণগ্রাফির ভিডিও ইউটিউব ও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। সেসব ভিডিও নিয়ে পোষ্ট করা ভিডিও ইউটিউব ফেসবুকে এখনো রয়েছে। যা সুশীল সমাজ সহ সকল সচেতন মহল অবগত আছেন। তার এসব অপকর্মের কারণে ২০১৫ সালে তার প্রথম স্ত্রী ১৫ বছর সংসার করার পরও তাকে তালাক দিয়ে চলে যায়।

পানিসমেন্ট হিসাবে তিনি তার প্রথম স্ত্রীকে ক্ষতিপুরনও আদায় করেন। এত কিছুর পরেও শরিফ আহমদ সংশোধন হননি। পরবর্তীতে আবারো বিয়ে করলে ২য় স্ত্রী তার অপকর্মের প্রতিবাদ করলে তার উপর শুরু করেন নির্যাতন। এক পর্যায়ে ২য় স্ত্রীর বড় ভাই পুলিশের সহায়তায় আহত বোনকে উদ্ধার করেন। এর আগে মাওলানা শরিফ আহমদ আমরা উভয়েই বাংলাদেশে একই এলাকার বাসিন্দা ও বিভিন্ন সংগঠনে তিনি আমার সহকারী হওয়ার সুবাদে এবং তার স্ত্রীর পরিবার আমার আত্মীয় হওয়ার কারনে বিভিন্ন সময়ে এসব জটিলতা নিরসনের জন্য তারা উভয়েই আমার সাথে ফোনে কথা বলেন। কিন্তু নির্যাতন বেড়ে যাওয়ায় এবং শরীফ আহমদের প্রতি আস্থা না থাকায় তার স্ত্রী মামলার মাধ্যমে আইনীভাবে তার অধিকার আদায়ের সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। আমার দ্বারা তার ঘটনাটি নিষ্পত্তি না হওয়াতে এবং আমি যথা সাধ্য অন্যায় অপকর্মের প্রতিবাদ করায় আমার উপর ক্ষেপে গিয়ে তার ২য় স্ত্রীর সাথে আমাকে জড়িয়ে বিভিন্ন ভাবে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে ফেসবুকের ফেইক আইডি খুলে মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি ।

এসব বিষয় নিয়ে মাওলানা শরিফ আহমদের বিরুদ্ধে কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ ও উলামায়ে কেরামগণের কাছে আমি বিচারপ্রার্থী হলে গত ২৩ মে মারকাজুল উলূম লন্ডনে ব্রিটেনের প্রখ্যাত উলামায়ে কেরাম ও কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ শালিস বৈঠকের মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পত্তি করে দেন। সালিশ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন শায়খ মাওলানা আছগর হোসেন, শায়খ মাওলনা আবু সাঈদ, শাইখুল হাদিস মুফতী আব্দুর রহমান, এম এ রহিম (সি,আই,পি), ইমাম ফরীদ আহমদ খাঁন, প্রিন্সিপাল মাওলানা শুয়াইব আহমদ, মুফতী আব্দুল মুনতাকিম, আলহাজ সিরাজুল ইসলাম, জশিম উদ্দিন প্রমুখ। আরো উপস্থিত ছিলেন মুফতী হাছান নূরী চৌধুরী,আলহাজ আব্দুল মুছাববির, মুফতী ছালেহ আহমদ, আলহাজ সৈয়দ আমিরুল ইসলাম, আলহাজ আতহার চৌধুরী,মাষ্টার ফজল উদ্দিন, আলহাজ জয়নাল আবেদিন, মাওলানা ফজলুল হক কামালী,মাওলানা মিছবাহুজজামান হেলালী, মাওলানা আফজল আহমদ,মুফতী সৈয়দ রিয়াজ আহমদ, আলহাজ আলাউদ্দিন,আলহাজ সিরাজউদ্দিন, আছাদুর রহমান, জুনাইদ চৌধুরী প্রমূখ আলিম উলামা বিভিন্ন রাজনৈতিক ও কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ।

শালিস বৈঠকে আমরা উভয়েই বার বার কাগজ পড়ে এবং বুঝে সকলের সামনে স্বাক্ষর করি।এর মাধ্যমে সকল ভূল বুঝাবুঝির সমাধান হয়। কিন্ত চিরাচরিত অভ্যাস অনুযায়ী বৈঠকের তিন দিন পরেই আবারো আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচারে নেমে পড়েন মাওলানা শরীফ আহমদ। এবং অনলাইন পত্রিকায় আমার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করিয়ে সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গের ফেসবুক মেসেঞ্জার ও বিভিন্ন মোবাইলে সেন্ট করছেন। তার এসব অপপ্রচারে সুশীল সমাজের কাছে আমার সম্মানহানি হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এসব অসত্য উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য অনলাইন পত্রিকায় আমার বিরুদ্ধে যেসব মিথ্যা সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে আমি তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। মাওলানা ফয়েজ আহমদ ৫ জুন ২০২১ইং

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn