অপূর্ব-অদিতির সংসার ভেঙেছে যে কারণে
সুখী দম্পতি হিসেবে পরিচিত ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্ব ও নাজিয়া হাসান অদিতি। ২০১১ সালে তারা বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন। অপূর্ব-অদিতির আয়াশ নামে এক পুত্রসন্তান রয়েছে। অপূর্ব সুযোগ পেলেই স্ত্রীকে নিয়ে হাজির হতেন বিভিন্ন অনুষ্ঠানে। এমনকি স্ত্রীর গল্পে অভিনয়ও করেছেন এই তারকা। সেই সুখের দাম্পত্য তছনছ হয়ে গেছে কালবৈশাখী ঝড়ে। বিচ্ছেদ হয়েছে অপূর্ব ও অদিতির। আদর্শ দম্পতি হিসেবে পরিচিত এই জুটির হঠাৎ বিচ্ছেদের খবরে বিস্মিত শোবিজের মানুষ। কেন ভাঙলো তাদের সংসার? এই প্রশ্ন উঠে আসছে সহসাই। এই বিষয়ে গণমাধ্যমকে অদিতি জানিয়েছেন, দুজনের মধ্যে মনোমালিন্য ছিল। মতবিরোধ ছিল। এ কারণেই বিচ্ছেদ টানা হয়েছে। দুজনের চিন্তার জায়গা এক হচ্ছিলো না। এছাড়া আরও কিছু কারণ তো ছিলোই। বলা যায় বড় ঝামেলাই হয়েছে দুজনের মধ্যে। তবে সে আমার সন্তানের বাবা। তাকে আমি ছোট করতে চাই না। কাউকে ছোট করে কেউ কখনো বড় হতে পারে না। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তাদের সম্পর্ক ভাঙনের শুরু গত বছরের শেষ দিকে। বিভিন্ন মাধ্যমে খবর বেরিয়েছে, দু-একজন অভিনেত্রীর সঙ্গে নাকি অপূর্বর বেশি সুসম্পর্ক মেনে নিতে পারেননি অদিতি। এ নিয়ে মনোমালিন্য চলতে থাকে দুজনের মধ্যে। অপূর্ব অনেক চেষ্টা করেন স্ত্রীকে বোঝাতে। তিনি ওইসব অভিনেত্রীকে দিয়েও অদিতির সঙ্গে নাকি কথা বলিয়েছিলেন। তাতে লাভ হয়নি।
এদিকে অপূর্ব ও অদিতির বিচ্ছেদ হলেও তাদের একের প্রতি অন্যের রয়েছে সম্মান ও শ্রদ্ধাবোধ। সেই ইঙ্গিত দিলেন অপূর্ব তার এক স্টাটাসে। সেখানে তিনি লেখেন- আমি অদিতিকে সম্মান করি এবং আজীবন করবো। সুতরাং কোনভাবেই অদিতিকে অসম্মান করে তার পাশে অন্য কারো নাম আমি সহ্য করবো না। ভুলে যাবেন না অদিতি এখন আইনগত ভাবে আমার স্ত্রী না থাকলেও সে আমার সন্তানের মা। এর আগে অদিতি ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে অপূর্বর প্রশংসা করেন। লেখেন, বাবা হিসেবে তিনি অসাধারণ, প্রেমময় ভাই, দায়িত্বশীল ছেলে এবং মনের দিক থেকে ভালো ব্যক্তি। তাঁকে মেধাবী বলেও উল্লেখ করেন অদিতি। ভক্তদের উদ্দেশে অদিতি লেখেন, অপূর্বর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে নয়, তার অসাধারণ কাজগুলো বিচার করুন। বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্তের জন্য কাউকে বিচার না করারও অনুরোধ করেন অদিতি।