অপ্রাপ্ত বয়স্ক শিশুর হাতে ডিভাইস বিষের চেয়েও ভয়ঙ্কর
রাখী নাহিদ (ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে)।।
আজকে, ক্লাস ওয়ান এ পড়া এক বাচ্চার মায়ের কাছে ভয়ংকর কাহিনী শুনলাম! কাহিনীটা শেয়ার করছি যাতে অন্য মায়েরা স্পেশালি ওয়ার্কিং মাদার্স রা একটু সচেতন হতে পারেন! কিছুদিন আগে ভদ্রমহিলার আট বছরের ছেলে স্কুল থেকে ফিরে মায়ের ফোন চাইলো গেইম খেলবে বলে! মা তার হাতে ফোন দিয়ে ঘরের কাজে বিজি হয়ে গেলেন! একটু পড়ে তিনি ফিরে এসে দেখেন তার বাচ্চা একটা “পর্ন ওয়েব সাইটে” ঢুকে ভিডিও দেখছে!! আতংকিত মা ছেলের হাত থেকে ফোন কেড়ে নেন,তাকে সামান্য উত্তম মধ্যমও দেন এবং জিজ্ঞেস করতে থাকেন সে কিভাবে ওই ওয়েবসাইটে ঢুকলো!! ছেলে যে তথ্য তাকে দিলো তাতে মা হতভম্ব! ছেলে মাকে ওয়েবসাইটের স্পেলিং টা বলে জানালো- তার ক্লাসের এক বন্ধু ওকে এই স্পেলিং দিয়ে গুগল করতে বলেছে!!
ভদ্রমহিলা তৎক্ষণাৎ ছেলের স্কুলে ফোন করে জানান এবং পরেরদিন প্রিন্সিপালের কাছে লিখিত কমপ্লেইন করেন! প্রিন্সিপাল একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন,সেই বন্ধুর প্যারেন্টস কে ডাকেন এবং কিভাবে তাদের আট বছরের সন্তান একটা পর্ন ওয়েবসাইটের এড্রেস জানালো এটা জানতে চান! স্কুল বাবা মায়ের সাথে কথা বলে জানতে পারে,তারা দুজনেই বিজনেস পার্সন হবার করে বাচ্চাকে দীর্ঘ সময়ের জন্য বাসায় এক থাকতে হয়! এই সময়টা সে একজন ১৬/১৭ বছরের ছেলে মেইড এর কাছে থাকে !এবং যেহেতু তাদের বাচ্চাকে তারা টাইম দিতে পারেন না তাই সেই অভাব পূরণ করেন লেটেস্ট সব ডিভাইস দিয়ে!!
তাদের বাচ্চাকে যখন জিগ্গেশ করা হয় সে কিভাবে ওই ওয়েবসাইটে ঢুকেছে! !সে জানায় তার সেই কেয়ার টাকার ভাইয়া তাকে নিয়ে প্রতিদিন এরকম ভিডিও দেখে!! স্কুল এখনো বাচ্চাটাকে নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি!! তারা এখনো বিবেচনার মধ্যে রেখেছেন যে বাচ্চাটাকে স্কুলে রাখা অন্য বাচ্চাদের জন্য কতটা সেইফ হবে? অথচ এখানে মূল ভিকটিম কিন্তু বাচ্চাটাই! সে বাবামার কোয়ালিটি টাইম থেকে বঞ্চিত,সেই ক্ষতিপূরণ করতে গিয়ে বাচ্চাটার হাতে ডিভাইস তুলে দিয়ে প্যারেন্টস আরেকটা অন্যায় করেছেন এবং গর্হিত অপরাধ করেছেন তাকে একটা প্রাপ্তবয়স্ত পুরুষের সাথে একা থাকতে দিয়ে! ওই ছেলে বাচ্চাটার সাথে যেটা করেছে সেটাও এক ধরণের মেন্টাল এবিউজ! এবং স্কুল যদি বাচ্চাটাকে বের করে দেয় তাহলে বিষয়টা সমাধান না হয়ে উল্টো বাচ্চাটার প্রতি আরেকটা অন্যায়ই করা হবে !
ঘটনাটা শোনার পর থেকে গা গোলাচ্ছে! এরকম একটা ঘটনা আমরা জানলাম,হয়তো অজানা আরো অনেক ঘটনাই আছে! যে প্যারেন্টস বাচ্চার হাতে ডিভাইস তুলে দিয়ে দাবি করেন সন্তানকে তারা অনেক ভালোবাসেন বলে কোনো আবদার অপূর্ণ রাখেন না তাদেরকে জিজ্ঞেস করবো- সন্তান না বুঝে বিষ খেতে চাইলে কি ভালোবেসে বিষও খাইয়ে দেবেন? দেবেন না মনে হয়! অপ্রাপ্ত বয়স্ক শিশুর হাতে ডিভাইস বিষের চেয়েও ভয়ঙ্কর…………!