সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণার পরেও অর্থ পাচার হওয়ায় সংসদে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সরকারি দলের সংসদ সদস্য আলী আশরাফ। রোববার সংসদে ২০২০-২১ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি বলেন, বাজেট তো দিচ্ছি আমরা। কিন্তু বাস্তবায়নের জন্য সদিচ্ছা থাকতে হবে। দুর্নীতি ও অর্থ পাচার কিছু কিছু লোক এখানে অনেক মুক্তিযোদ্ধা আছেন, যাদের সামনে রেখে বলতে পারি। জীবনের মায়া নিয়ে আমরা যুদ্ধ করি নাই। কিছু পাবার, খাবার বা প্রত্যাশার জন্য যুদ্ধ করিনি। লড়াই করেছিলাম বঙ্গবন্ধু নেতৃত্বে মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য। সেই দেশে আজকে ঘৃণা, লজ্জায় মাথা হেঁট হয়ে যায়।
এত বড় বড় কিছু চোর, যাদের নাম ওঠে। অথচ প্রধানমন্ত্রী ও তার সরকার দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলেছেন, ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স’। অথচ অর্থপাচারকারী আমার মনে হয় এসবরে বিরুদ্ধে যথেষ্ঠ শক্ত পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। তিনি বলেন, কর প্রশাসনকে ঢেলে সাজাতে হবে। আমাদের মুহিত সাহেব যখন অর্থমন্ত্রী ছিলেন, ২০১০ সালে তিনি বলেছিলেন উপজেলা পর্যায়ে কর প্রশাসন। ২৫ লাখ লোক কর দেয়। এটা গৌরবের কথা। ট্যাক্সের নেট আরও বাড়াতে হবে। দক্ষতা বাড়াতে হবে। কর প্রশাসনের সামর্থ্য আছে। কর প্রশাসনের দক্ষতা, স্বচ্ছতা, সততা, নিষ্ঠা, একাগ্রতা যদি আমরা না বাড়াতে পারি তাহলে বাজেটে ইপ্সিত লক্ষ্যে আমরা পৌঁছাতে পারব না।
তিনি বলেন, কোভিডের তৃতীয় ঢেউ যদি আসে, আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে। আমাদের সামনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আছেন। কোভিড-১৯ এর প্রথম ধাপ, দ্বিতীয় ধাপ এখন তৃতীয় ধাপ উঁকি দিচ্ছে। এর মধ্যে এই জাতীয় সংসদে বাজেট পেশ করা হয়েছে। এটা ভালো বাজেট। সম্ভাবনার বাজেট। সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বাজেটের সমালোচনাকারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, এই অর্থবছরে সিপিডি-বিএনপির নেতৃবৃন্দের প্রতিক্রিয়ার কারণ অন্য। মেগা প্রজেক্টগুলো শেষ হয়ে এসেছে। তা দেখে তারা আবোল-তাবোল বকছে।
সংবাদ টি পড়া হয়েছে :
৭৮ বার