আইনমন্ত্রী অসুস্থ হয়ে কোথায় আছেন জানলে দেখতে যেতাম: প্রধান বিচারপতি
রোববার এই মামলায় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে সময় আবেদন করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। শুনানির সময় প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আমরা সবাইকে নিয়ে বৈঠক করতে চাই। আমার ব্রাদার্সরা অপেক্ষায় আছে।’ অ্যাটর্নি জেনারেলকে উদ্দেশ্য করে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আইনমন্ত্রী অসুস্থ হয়ে বাসায় ছিলেন না হাসপাতালে ছিলেন। আমাদের তো সেটা জানালেন না। আমরা তো দেখতে যেতে পারতাম।’ আইনমন্ত্রী অসুস্থতার বিষয়টি পেপারে জেনেছেন বলে জানান প্রধান বিচারপতি। এরপর আবারও দুই সপ্তাহ সময় দেন আদালত। আগামী ২০ আগস্ট শুনানির জন্য পরবর্তী দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত।
গত ৩০ জুলাই আইন মন্ত্রণালয় থেকে জমা দেয়া খসড়া গ্রহণ না করে আলোচনায় বসার আহবান জানায় আপিল বিভাগ। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী ভবনের অডিটরিয়ামে এক আলোচনা সভায় বলেন, ‘আগামী বৃহস্পতিবার আলোচনায় বসব।’ তবে বৃহস্পতিবার তিনি গণমাধ্যমকে তার অসুস্থতার কথা জানান। বিষয়টি সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রার জেনারেলকে জানিয়ে দেয়া হয়।
১৯৯৯ সালের ২ ডিসেম্বর মাসদার হোসেন মামলায় ১২দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় দেয়া হয়। ওই রায়ের আলোকে নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়নের নির্দেশনা ছিল। আপিল বিভাগের নির্দেশনার পর গত বছরের ৭ মে আইন মন্ত্রণালয় একটি খসড়া শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধি প্রস্তুত করে সুপ্রিমকোর্টে পাঠায়। ওই বছরের ২৮ আগস্ট এই মামলার শুনানিতে আপিল বিভাগ জানান, শৃঙ্খলা বিধিমালা সংক্রান্ত সরকারের খসড়াটি ছিল ১৯৮৫ সালের সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালার হুবহু অনুরূপ। যা মাসদার হোসেন মামলার রায়ের পরিপন্থী। এরপরই সুপ্রিম কোর্ট একটি খসড়া বিধিমালা করে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। একইসঙ্গে ৬ নভেম্বরের মধ্যে তা প্রণয়ন করে প্রতিবেদন আকারে আদালতকে অবহিত করতে আইন মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেয়।