আওয়ামী লীগের কাছে মানুষ নিরাপদ নয়: খালেদা জিয়া
আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আজকে কখনও বেশি মৌলবাদী হয়ে যায় তো কখনও তারা বেশি মুসলমান হয়। কখনও তারা অতি হিন্দুদের হয়ে যায়, কখনও বেশি বৌদ্ধ। আওয়ামী লীগ বহুরূপী। এই হল তাদের অবস্থা। ওদের হাতে দেশ ও দেশের মানুষ নিরাপদ নয়।’
বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে ৯ মে মঙ্গলবার রাতে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এ অভিযোগ করেন।বাংলাদেশে মৌলবাদী বলে কিছু নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এদেশে ধর্মীয় লোক আছে কিন্তু তারা মৌলবাদী নন। দেশের জন্য তাদের অবদান আছে, দেশকে তারা ভালবাসেন। দেশকে রক্ষা করতে চান।’ গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিএনপির উদ্যোগে এই শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠান হয়। বিএনপি চেয়ারপারসন বৌদ্ধ সম্প্রদায়কে বুদ্ধ পূর্ণিমার শুভেচ্ছা জানান। এ সময় বৌদ্ধধর্মের প্রতিনিধিরা তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান এবং কুশল বিনিময় করেন। বিএনপির সহ-ধর্মবিষয়ক সম্পাদক দীপেন দেওয়ানের সভাপতিত্বে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, চট্টগ্রামের পতেঙ্গা বুদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ ভান্তে সুমঙ্গল ঘের, চন্দনাইশ বিহারের ভান্তে তিষ্য মিত্র, কমলাপুর বৌদ্ধ বিহারের বোধীপ্রিয় ভিক্ষু, জ্ঞানপ্রিয় ভিক্ষু, পদ্মা শুভ ভিক্ষু, সুনান্দ ভিক্ষু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, কেন্দ্রীয় নেতা আফরোজা আব্বাস, নুরী আরা সাফা, সমীরন দেওয়ান, সদ্বীপ দেওয়ান, প্রদীপ চন্দ্র চাকমা, সুনীত তালুকদার প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। আওয়ামী লীগের শাসনামলে বৌদ্ধ বিহার পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনার প্রতি ইঙ্গিত করে খালেদা জিয়া বলেন, ‘আপনাদের ওপর কী অত্যাচার হয়েছে, সেসব কারা করেছে, সেটা আমরা জানি, আপনারাও জানেন। আওয়ামী লীগ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সম্পত্তি জবর দখল করছে।’ তিনি বলেন, ‘ওদের (আওয়ামী লীগ) হাত থেকে দেশকে উদ্ধার করার জন্য প্রয়োজন গণতন্ত্র। গণতন্ত্র না থাকলে উন্নয়ন হবে কিন্তু জনগণের কল্যাণ হবে না। শুধু ওই দল ও এক ব্যক্তির কল্যাণ হবে।’ গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে বৌদ্ধ সম্প্রদায়কে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হলে প্রয়োজন একটা সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন। এই নির্বাচনে সব দলের সমান সুযোগ দিতে হবে।’