আ’ত্মঘাতী হয়ে উঠেছে আওয়ামী লীগ,কঠোর অবস্থানে শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের অন্তর্ঘাত কমছেই না, আ’ত্মঘাতী হয়ে উঠেছে আওয়ামী লীগ। এখন এ আ’ত্মঘাতই সহিংস রূপ নিয়েছে। সর্বশেষ কুমিল্লায় যেভাবে একজন ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে হ’ত্যা করা হয়েছে তা নজিরবিহীন বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগের নেতারাই। তারা মনে করছেন, এ অবস্থা কিছুতেই চলতে দেওয়া যায় না। আর এর প্রেক্ষাপটে এই ধরনের অন্তর্ঘাত, সহিংসতার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ সভাপতি কঠোর অবস্থান গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

আওয়ামী লীগ আজ স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সভায় আওয়ামী লীগ সভাপতি এ ব্যাপারে কঠোর এবং সুস্পষ্ট অবস্থান জানিয়েছেন বলে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র মনে করেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি সুস্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, যারা হত্যাকারী, অপরাধী তারা যেই হোক না কেন, তাদের পরিচয় যেন না দেখা হয়, তাদের বিরুদ্ধে নির্মোহভাবে এবং যথাযথ কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্টদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের দুই ধাপে ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এই সহিংসতায় ৪০ জনেরও বেশি মারা গেছেন, আহত হয়েছে সাত হাজারেরও বেশি। তারপরও সারাদেশে এই সহিংসতা নানা রূপে হচ্ছে। সর্বশেষ বীভৎস সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে কুমিল্লায়। এই ঘটনায় আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। তিনি এ ধরনের তৎপরতা কোন ভাবে বরদাস্ত করা হবে না বলে জানিয়েছেন।

আজ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের সভায় এ নিয়ে কথাবার্তা বলা হয় এবং ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের সহিংসতা না ঘটে সেজন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে আরো কঠোর হওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছেন। একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রে জানা যাচ্ছে যে, আওয়ামী লীগ সভাপতি আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে অপরাধী অপরাধী অপরাধীই, তাদের কোনো পরিচয় দেখার দরকার নেই।

সন্ত্রাস সহিংসতা কোনো রাজনৈতিক দলের কাজ হয় না এবং এটির ফলের দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়। কাজেই যারাই এর সঙ্গে জড়িত তাদেরকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার জন্য তিনি নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি এসব সহিংসতার সঙ্গে যারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত তাদেরকে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণেরও নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকদেরকে দ্রুত তদন্ত রিপোর্ট দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে।

আওয়ামী লীগের একটি দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, এ পর্যন্ত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে যে সহিংসতার ঘটনাগুলো ঘটেছে সে ব্যাপারগুলোর প্রত্যেকটি ঘটনার নিষ্পত্তি করার জন্য আওয়ামী লীগ সভাপতি নির্দেশ দিয়েছেন। প্রথমত, তিনি নির্দেশ দিয়েছেন যে, যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনের কঠোর প্রয়োগ করতে হবে। অর্থাৎ আইনের আওতায় তাদের যে শাস্তি প্রাপ্য সেই শাস্তি তাদেরকে পেতে হবে। দ্বিতীয়ত, তিনি বলেছেন যে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে হবে। যারা এ ধরনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদেরকে আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী উপযুক্ত এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

অর্থাৎ তাদেরকে প্রথমে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হবে এবং কারণ দর্শানোর নোটিশের পর তাদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হবে এবং পরবর্তীতে তাদের অপরাধের বিবেচনায় গঠনতন্ত্রে যে শাস্তি তাদের প্রাপ্য সে শাস্তি দেওয়া হবে। আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেছেন, এইসব ব্যাপারে কোনো ছাড় নয়। তৃতীয়ত, এইসব সহিংসতার ঘটনার নেপথ্যে যারা জড়িত তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে এবং তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে আওয়ামী লীগের সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn