আত্মহত্যা নাকি প্রেমের বলি?
আখলাছ আহমেদ প্রিয়:হবিগঞ্জ শহরে মাস্টার কোয়ার্টার এলাকায় স্কুল শিক্ষিকা মিতালী দাস মুন্না (২২) এর রহস্যজনক মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না কেউ ! এমন একজন সচেতন মানুষের আত্মহত্যা নিয়ে জনমনে দেখা দিয়েছে বিরুপ প্রতিক্রিয়া। আত্মহত্যা না-কি প্রেমের বলি? এ নিয়ে চলছে নানা গুঞ্জন। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে প্রশাসনের জোর নজর দাবী করেছেন স্থানীয় এলাকাবাসী। স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে আলাপকালে জানা যায়, সদর উপজেলার সুখচর গ্রামের হিরেন লাল দাসের কন্যা ও রাজিউড়া ইউনিয়নের চারিনাও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মিতালী দাস মুন্না পরিবারের সদস্যদের সাথে শহরের মাস্টার কোয়ার্টার এলাকার বসবাস করে আসছিলেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি পরিবারের সদস্যদের নিয়ে হাসি-খুশিতেই সময় কাটাতেন তিনি। এদিকে, ৫ বছর পূর্বেই একই এলাকার পাশ্ববর্তী বাসিন্দা (অবঃ) কৃষি কর্মকর্তা হরিপদ মজুমদারের পুত্র কাতন মজুমদারের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে ওই শিক্ষিকার। পাশাপাশি বসবাস করায় তাদের প্রেম গভীর ভালবাসায় রূপ নেয়। এক পর্যায়ে ওই শিক্ষিকা তার প্রেমিককে কাছে পেতে মরিয়া হয়ে উঠেন। তিনি কাতনকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে সে সটকে পড়ে।
এ নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া বিবাধের ঘটনাও ঘটে বলে জানা যায়। পরবর্তিতে অনেক টালবাহানা করে প্রেমের সম্পর্ক ভেঙ্গে দেয় কাতন। এতে করে শিক্ষিকা মুন্না মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়েন। এমতাবস্থায় গত বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজ বাসার দরজা ভেঙ্গে ওই শিক্ষিকাকে ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায় তার মা। এ সময় তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ওই দিন রাত ৮টায় সদর থানার এসআই অমিতাব ও পুলিশ সদস্য অনুপমা লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এরপর ওই শিক্ষিকার মৃত্যুর খবরটি বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে অনেকেই বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন। চারিনাও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নেমে আসে শোকের ছায়া। তার এই আত্মহত্যা মেনে নিতে পারেন নি কেউ!। আত্মহত্যা না-কি প্রেমের বলি হয়েছেন শিক্ষিকা এ নিয়ে শুরু হয় নানা গুঞ্জন। এ বিষয়ে মৃত্যুর মূল রহস্য উদঘাটনে প্রশাসনের জোর নজর দাবী করছেন শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দারা। এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার তদন্ত (ওসি) জিয়াউর রহমান জানান, ‘ওই শিক্ষিকার আত্মহত্যার ঘটনায় এখনও কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে লাশের ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসলে মৃত্যুর মূল রহস্য জানা যাবে’। সূত্র:হবিগঞ্জসমাচার