‌ফেসবুককে মাধ্যম করে হতাশাজনক পোস্ট বা সুইসাইড লেটার লিখে এখন অনেকেই আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে। পুলিশ–প্রশাসন–সমাজের সঙ্গে সঙ্গে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ যথেষ্ট উদ্বিগ্ন বিষয়টি নিয়ে। তবে এই সমস্যার সুরাহা বের করে নিয়েছে ফেসবুক।ফেসবুক ব্যবহারকারী কোনও ব্যক্তির আত্মহত্যার প্রবণতা আছে কিনা তা বোঝার জন্য ‘‌আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স’‌ বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা’‌–র ব্যবহার শুরু করেছে ফেসবুক। ফেসবুক ব্যবহারকারীর শেয়ার করা পোস্ট আত্মহত্যার কোনও ইঙ্গিত বহন করে কিনা তা এই বিশেষ ধরনের প্রযুক্তির মাধ্যমে বোঝা যাবে। এমনকী সব দিক বিবেচনা করে সতর্ক সংকেতও দেবে এই নতুন পদ্ধতি। এরপর এই সামাজিক মাধ্যমের মানবাধিকার দল পোস্টগুলো দেখে তারাই সিদ্ধান্ত নেবেন যে ফেসবুক ব্যবহারকারির কোনও সাহায্যের প্রয়োজন রয়েছে কিনা।

ইতিমধ্যেই ফেসবুক কর্তৃপক্ষ আত্মহত্যা সম্পর্কিত একটি হেল্পলাইনও খুলেছেন। এই হেল্পলাইনের মুখ্য কর্মকর্তা জানান যে, এই উদ্যোগ উপকারি ঠিকই তবে বেশ জটিলও। ফেসবুক আত্মহত্যা প্রবণতাকারিদের জন্য বিভিন্ন পরামর্শেরও ব্যবস্থা করবে। এছাড়াও হতাশাজনক পোস্ট বা দুঃখ–কষ্টের কথাকেও ফেসবুক সর্তক সিগন্যাল বলে ধরে নেবে। তবে এই প্রযুক্তিটি এখন পরীক্ষামূলকভাবে শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবহৃত হচ্ছে। নতুন প্রজন্মের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা রুখতে ফেসবুকের এই অভিনব প্রয়াস।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn