আত্মীয় বা বন্ধুর স্ত্রীকে বিয়ে করেছেন যেসব ক্রিকেটার
ক্রিকেটারদের লাইফ স্টাইল নিয়ে আগ্রহের কমতে নেই ক্রিকেটভক্তদের। মাঠের পারফরম্যান্সের পাশাপাশি ক্রিকেটারদের পারিবারিক জীবন নিয়েও কৌতুহলী ক্রিকেটমোদীর অভাব নেই। আর গল্পটা যদি হয় ক্রিকেটারের বান্ধবী বা স্ত্রী নিয়ে তাহলে তো কথাই নেই। এমন কিছু ক্রিকেটার আছেন যারা বিয়ে করে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছেন। এদের কেউ আলোচনায় এসেছেন আত্মীয়কে বিয়ে করে। আবার কেউ সমালোচিত হয়েছেন বন্ধুর স্ত্রীকে বিয়ে করার কারণে। উপমহাদেশে এমন পাঁচ ক্রিকেটার আছেন যারা আত্মীয় বা বন্ধুর স্ত্রীর সঙ্গে জীবনের নতুন ইনিংস শুরু করেছেন।
শহীদ আফ্রিদি (পাকিস্তান): পাকিস্তানের সাবেক তারকা অলরাউন্ডার শহীদ আফ্রিদি তার কাজিন নাদিয়াকে বিয়ে করেন। তবে বিয়ের আগে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো না। শহীদ আফ্রিদির বাবা তাদের বিয়ে ঠিক করেন। এই সুখী দম্পতির দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
উপুল থারাঙ্গা (শ্রীলঙ্কা)-
উপুল থারাঙ্গার আগে দিলশানের সাথে বিয়ে হয় নীলঙ্কের।
শ্রীলঙ্কার ব্যাটসম্যান উপুল থারাঙ্গা বিয়ে করেছেন নীলঙ্ককে। তবে এরচেয়ে বড় খবর এই নীলঙ্ক আরেক লঙ্কান ক্রিকেটারের সাবেক স্ত্রী। তিলকারত্নে দিলশানের সাথে তার প্রথম বিয়ে হয়। জনশ্রুতি আছে থারাঙ্গা ও নীলঙ্কের মধ্যে সম্পর্ক থাকার কারণেই দিলশানের সাথে তার ডিভোর্স হয়ে যায়।
মুরালি বিজয় (ভারত)-
মুরালি বিজয়ের সাথে সম্পর্কের কথা জানার পরই নিকিতাকে ডিভোর্স দেন দিনেশ কার্তিক।
ভারত ওপেনার মুরালি বিজয় ও নিকিতা সুখেই সংসার করে যাচ্ছেন। তবে এর জন্য আরেকটি সংসার ভেঙেছেন এ দুজন। এটা নিকিতার দ্বিতীয় বিয়ে। এরআগে তার বিয়ে হয় ভারতের উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান দিনেশ কার্তিকের সাথে। বিজয়ের সাথে সম্পর্ক আছে জেনেই নিকিতাকে ডিভোর্স দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন কার্তিক।
সাঈদ আনোয়ার (পাকিস্তান)-
সাঈদ আনোয়ার ও তার স্ত্রী লুবনা।
শহীদ আফ্রিদির মতো পাকিস্তানের সাবেক ওপেনার সাঈদ আনোয়ার তার কাজিন লুবনার সাথে ১৯৯৬ সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। পেশায় ডাক্তার লুবনা ও পাকিস্তান ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান সাঈদ আনোয়ারের একটি কন্যা সন্তান ছিলো। বিসবাহ নামের ছোট্ট শিশুটি ২০০১ সালে মারা যায়।
বীরেন্দ্রর শেবাগ (ভারত)-
বীরেন্দর শেবাগ ও তার স্ত্রী আরতি।
বীরেন্দর শেবাগ ও আরতি আহলাওয়াত বিয়ে করেছেন ১২ বছর হয়। তাদের দুটি সন্তান আছে। বিয়ের বয়স ১২ বছর হলেও তাদের প্রেমের গল্প ১৫ বছরের। বিয়ের আগে তিন বছর চুটিয়ে প্রেম করেন শেবাগ-আরতি। সাবেক ভারত ওপেনারের দূর সম্পর্কের আত্মীয় ছিলেন আরতি। তাদের পরিচয়টা একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে। শেবাগের কাজিন আরতির খালাকে বিয়ে করেন। ওই অনুষ্ঠানে ছিলেন সাত বছর বয়সী শেবাগ ও পাঁচ বছর বয়সী আরতি। আত্মীয়তার শুরুর সেই অনুষ্ঠানে শেবাগ-আরতির মাঝে বন্ধুত্ব হয়। বন্ধুত্বের ১৪ বছর পর আরতিকে প্রেমের প্রস্তাব দেন শেবাগ। রাজি হয়ে যান আরতি। তিন বছর প্রেমের পর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তারা।