আপাতত হচ্ছে না শাহ-আরেফিন(রাঃ) ও অদৈর্ত মৈত্রী সেতু
সুনামগঞ্জ :: সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেললা সীমান্তে যাদুকাটা নদীর উপর এলজিইডির নির্মানাধীন ৭৫০মিটার দৈর্ঘ্যরে বহু প্রত্যাশিত শাহ-আরেফিন ও অদৈর্ত মৈত্রী সেতুটির ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করার কথা ছিল ১৫মার্চ ভিডিও কনফারেন্সে মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভিত্তি প্রস্তর উদ্ভোধনী অনুষ্টানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকার কথাছিল স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশারফ হোসেনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগন। কিন্তু ১৫মার্চ ব্রীজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের উদ্ভোধন কাজ হচ্ছে না বলে জানান,সুনামগঞ্জ ১আসনের এমপি ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জোম হোসেন রতন। এমন সংবাদ এলাকায় প্রকাশের পর অসন্তুষ্ট প্রকাশ করেছে তাহিরপুর উপজেলাবাসী। তবে ১৫মার্চ থেকে ব্রীজের লে-আউটের কাজ চলমান ও রিগের কাজ চলবে বলে জানান-তাহিরপুর উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী আলমগীর হোসেন। আর মার্চ মাসের শেষ দিকে এর উদ্ভোধন অনুষ্ঠান হবে বলে জানাযায়। সুনামগঞ্জ স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর (এলজিইডি) সুত্রে জানাযায়,জেলাবাসীর দীর্ঘ দিনের দাবীর প্রেক্ষিতে জেলার ১২টি সেতুর মধ্যে ৮টি সেতু গত ১০ই জানুয়ারী মাসে অনুমোদন হয়। এর মধ্যে যাদুকাটা নদীর উপর শাহ আরেফিন সেতু একটি। এর পর গত বছরের ৪জুলাই এ সেতুটি ৭৮কোটি টাকা ব্যয়ে ৭৫০মিটার দৈর্ঘ্য এ সেতুটি দরপত্র আহবান করা হয়। এছাড়াও সেতুর দু-পাশের সড়ক সংযোগ সহ সার্বিক বরাদ্ধ প্রায় ১৩২কোটি টাকা। সেতুটি ডাবল লেনের হবে। এক সাথে বাস-ট্রাক বা অন্য কোন যানবাহন চলাচল করবে। সেতুটি বাদাঘাট ইউনিয়নের গড়কাটির ইসকন মন্দির ও বিন্নাকুলী বাজারের দক্ষিন দিকে বাস্থবায়ন হবে।
এলাকাবাসী জানায়,দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ও অন্যান্য সেতুর মধ্যে সবচেয়ে বড়,দৃষ্টি নন্দন,আকর্শনীয় সীমান্ত এলাকা ও উপজেলাবাসীর স্বপ্নের সেতু হবে শাহ-আরেফিন ও অদৈর্ত মৈত্রী সেতু। সেতুটি নির্মিত হলে মেঘালয় পাহাড়,যাদুকাটা নদীর ও বারেক টিলার অপরুপ সৌন্দর্য ছাড়াও ৩টি উপজেলার(তাহিরপুর,ধর্মপাশা,বিশ্বম্বরপুর)ও মধ্যনগড় থানার সাথে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে সড়ক পথের যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হবে। আর সড়ক পথে বাগলী,চারাগাওঁ ও বড়ছড়া শুল্কষ্ঠেশন থেকে চুনাপাথর ও কয়লা লাউড়েরগড়-সুনামগঞ্জ জেলা দিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ সমগ্র বাংলাদেশে এবং এখানকার উৎপাদিত বিভিন্ন পন্য দেশের নানান প্রান্তে পরিবহন সহজ হবে। সাথে সাথে সীমান্ত এলাকা লাউড়েরগড় শাহ আরেফিন (রাঃ) আস্তানা,যাদুকাটা নদী,শিমুল বাগান,বারেকটিলা,ট্যাকেঘাট সীমান্ত লেক,বড়ছড়া,চারাগাঁও,বাগলী জিরো পয়েন্ট,টাংগুয়ার হাওর,মেঘালয় পাহাড়ের নয়ানাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যসহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে পর্যটকদের আগমনে মিলনমেলায় পরিনত হবে। তাহিরপুর উপজেলা আ,লীগের সাধারন সম্পাদক অমল কান্তি কর জানান,যাদুকাটা নদীর তীরে দু ধর্মের দুই মাহাসাধকের বৃহত্তর দুটি অনুষ্টান থাকার কারনে ব্রীজের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপনের উদ্ভোধন অনুষ্টানটি আপাদত স্থগিত করা হয়েছে। মার্চ মাসের শেষের দিকেই এই অনুষ্টানটি হবে। যাদুকাটা নদীর উপর সেতু নির্মিত সেতুটির নাম প্রথমে শাহ আরেফিন সেতু থাকলেও পরে এলাকাবাসীর দাবীতে শাহ আরেফিন ও অদৈর্ত মৈত্রী সেতু নামে নতুন করে নামকরন হয়েছে। সেতুটি বাস্থবায়ন হলে এই এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা,ব্যবসা-বানিজ্যসহ সার্বিক উন্নয়নের বিপ্লব ঘটবে।