আব্দুর জহুর সেতু রাতে অন্ধকার নিরাপত্তাহীনতায় সাধারন মানুষ
জানাযায়,সন্ধ্যার পর অন্ধকারের মধ্যেই চলাচল করছে ৪টি উপজেলার হাজার হাজার মানুষ। সেতুটিতে রাতে সিএনজি,ট্রাক,টমটম,মটর সাইকেল,লাইটেস সহ বিভিন্ন যানবাহন চলার সময় কিছু ক্ষনের জন্য আলোয়-আলোকিত হয় তারপর আবার অন্ধকার। সেতুটির দু পাশের ও মাঝ অংশে অন্ধকারের মধ্যে রাতে লোকজনের চলাচল কম থাকায় ছিন্তাই ও যে কোন ধরনের অপ্রতিকর দূঘটনার সম্ভাবনা রয়েছে। আরো জানাযায়,র্দীঘ ১২বছর পর ৭১কোটি ১৩লাখ টাকা ব্যয়ে ২০১৫সালে ২০আগষ্ট উদ্ভোধন করা এই বহু পতিক্ষিত আব্দুর জহুর সেতুটি। এর পর থেকেই সেতুটি লাইট লাগানো নিয়ে সুনামগঞ্জ পৌরসভার ও সড়ক ও জনপথ বিভাগের মধ্যে চলছে এখনও রশি টানা টানি চলছে। এখনও এই রশি টানাটানির মধ্যে পড়ে রাতে আতœংকের মধ্য দিয়ে চলাচল করছে সর্বস্থরের জনসাধারন। সেতুটি দৃষ্টি নন্দন হওয়ায় দেখতে সেতুর দু-প্রান্তেই পরন্ত বিকাল বেলায় জেলা সদর সহ বিভিন্ন উপজেলা লোকজনের আগমনে জনসমুদ্রে পরিনত হয়।
আর সন্ধ্যার পরও অবস্থান করে শিশু,যুবক,নারী ও মধ্য বয়সী নারী সহ সর্বস্থরের লোকজন। সেতুর দু-প্রান্তে ভ্রাম্যমান দোকান,চপপটি,ফুছকা,চা,পান,সিগেরেটের ভ্রাম্যমান দোকানের মালিকগন জানান-সেতুটিতে নিরাপত্তার স্বার্থে বিশেষ করে সেতুর মাঝের অংশে লাইটের ব্যবস্থা করা এখন দরকার খুব বেশী। তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়ন থেকে আসা সুহেল আহমেদ সাজু,মেহেদী হাসান ভূঁইয়া(জনমেজর) সহ বিভিন্ন এলাকার লোকজন ও সিএনজি,লেগুনা,মটর সাইকেল ড্রাইবার,স্থানীয় এলাকাবাসী জানান-নিরাপত্তার স্বার্থে সেতুটিতে আলোর ব্যবস্থা করা খুবেই প্রয়োজন। সন্ধ্যার পর এখানে ভয় লাগে,অন্ধকার ভূতুরে পরিবেশ সৃষ্টি হয়। যে কোন সময় অনাক্ষাখিত গঠনা গঠতে পারে।
এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম জানান,প্রথমে যখন সেতুটি ডিজাইন করা হয় তখন কোনো লাইটিং এর বিষয়টি অর্ন্তভুক্ত ছিল না। আমাদের এখান থেকে লাইটিং করার কোন সুযোগ নেই। যেহেতু সেতুটি পৌরসভার ভিতরে পরেছে তারা লাইটিং করলে ভাল হয়। পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মীর মোশারফ হোসেন বলেন,সড়কটি পৌরসভার ভিতরে ঠিক আছে কিন্তু সেতুটি আমাদের না। এটা সড়ক ও জনপথ বিভাগের। রাস্তার বাতি লাগানোর জন্য আমরা সড়ক মন্ত্রনালয়ের কাছে ছিঠি পাটিয়েছি বরাদ্ধ দেওয়ার জন্য। বরাদ্ধ পেলে রাস্তায় বাতি লাগাতে পারি কিন্তু সেতুটিতে বাতি লাগানো আমাদের দায়িত্ব না।