‘আমরা জেএমবির সদস্য, শেখ হাসিনাকে হত্যা না করে ঘরে ফিরব না।’ এমন হুমকিসহ আরও অশ্লীল ও অশ্রাব্য ভাষায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটূক্তি করে গত ৭ এপ্রিল জেলার কলমাকান্দা উপজেলার কৈলাটি ইউনিয়নের বানিয়াপাড়া গ্রামের হাবিবুর রায়হান হবি তার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে একটি স্ট্যাটাস আপ করেন। যাতে তিনি লেখেন, আমরা জেএমবির সদস্য। শেখ হাসিনাকে হত্যা না করে ঘরে ফিরব না।এমনকি এই ফেসবুক স্টেটাসে প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে প্রকাশ অযোগ্য ন্যক্কারজনক অশ্লীল কথাবার্তাও বলা হয়। পরে এই স্টেটাসটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দেয় ৭ নং কৈলাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রুবেল ভূঁইয়ার ছোট ভাই সোহেল ভূঁইয়া, সিধলী গ্রামের মৃত রাশিদ মিঞার ছেলে শফিকুল ইসলাম শফিক ও ঢলো চৌকিদারের ছেলে  সেলিম এমডি।

পরে বিষয়টি জানাজানি হলে ৭ নং কৈলাটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হায়দার আলী খান বাদী হয়ে তথ্য ও প্রযুক্তি আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় সোহেল ভূঁইয়া, শফিকুল ইসলাম শফিক,সেলিম এমডি,আশরাফুল আলম খান শায়েস্তা, মোবারক হোসেন কামাল, হাবিবুর রহমান হাফিজসহ অজ্ঞাত ব্যক্তিদের নামে মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ মামলাটি রেকর্ড করে বানিয়াপাড়া গ্রামের ইসলাম উদ্দিনের ছেলে ছাত্রদল নেতা কমলকে (২৫) সন্দেহজনকভাবে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠায়। এদিকে নিজ দলের নেত্রীকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ ও হত্যার হুমকি দেওয়ায় ইউনিয়নের সিধলী বাজারে বিক্ষোভ করছে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। তাদের দাবি আসামিদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে তারা এর বিরুদ্ধে গণসমাবেশের মাধ্যমে ব্যবস্থা নিবেন।

এ বিষয়ে হায়দার আলী খান পূর্বপশ্চিমকে বলেন, যেভাবে নোংরা ভাষায় নেত্রীকে গালি দেওয়া হয়েছে তা ক্ষমার অযোগ্য। আমরা এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। তিনি আরও বলেন, চেয়ারম্যন রুবেল ভূঁইয়া  ও তার বড় ভাই জুয়েল ভূঁইয়ার মদদেই নেত্রী সম্পর্কে এ ধরনের কথা বলার সাহস পেয়েছে তারা। এদেরকেও শাস্তির আওতায় আনতে হবে। ইতিমধ্যে চেয়ারম্যান রুবেল ভূঁইয়া গরিবের ১০ টাকা কেজি দরের চাল নিয়ে দুর্নীতি করেছে। সেই সঙ্গে তার বড় ভাই জুয়েল এলাকায় জুয়ার  আসর চালিয়ে যাচ্ছে। আর এখন তার ছোট ভাই সোহেল নেত্রীকে নিয়ে ফেসবুকে এমন বাজে মন্তব্য করেছে। তাদের সবাইকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। কৈলাটি ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রুবেল তালুকদার বলেন, নেত্রীকে কটূক্তি করায় এলাকায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগসহ সকল অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ ব্যাপারে কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, এই ঘটনায় তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা হয়েছে ও একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn