আমাদের সবচেয়ে বড় ক্ষতিটা হয়েছে আদালতে: ফখরুল
আদালতেই বিএনপির সবচেয়ে বড় ক্ষতি হয়েছে বলে মনে করেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের সবচেয়ে বড় ক্ষতিটা হয়েছে আদালতে। একেবারে রাজনীতি থেকে শুরু করে আইনগতভাবে আদালতে ক্ষতিটা হয়েছে।
শুক্রবার রাজধানীর গুলশানের চেয়ারপারসন কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব একথা বলেন। খালেদা জিয়ার এই বিষয়গুলো নিয়ে জামিনের জন্য আদালতে যাবেন কিনা প্রশ্ন করা হলে মির্জা ফখরুল বলেন, আগেও বলেছি, এরকম প্রশ্নের উত্তর আমরা দিয়েছি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের সবচেয়ে বড় ক্ষতিটা হয়েছে আদালতে। একেবারে রাজনীতি থেকে শুরু করে আইনগতভাবে আদালতে ক্ষতিটা হয়েছে।
তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান বাতিল করেছে আদালত। তারপরে যাবতীয় যে সমস্তগুলো আইন করেছে তা আদালত করেছে। আর ম্যাডাম খালেদা জিয়ার প্রতি যদি চরম অন্যায় করে থাকে তাহলে আদালত করেছে। কোনও আইনেই কোনোভাবেই তার সাজা হতে পারে না এবং তার আবার বর্ধিত করা যেতে পারে না। ওই জায়গায় আদালতের প্রতি আস্থাটা আমাদের এতো কম যে, আমাদেরকে ধীরে সুস্থে চিন্তাভাবনা করে আদালতে যাবো।
তিনি বলেন, দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরীকে গত ২৮শে মার্চ মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়। ১৩ই এপ্রিল পুরনো একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তার কারাবাস অন্যায়ভাবে দীর্ঘায়িত করা হয়েছে। আবারও তাকে নতুন মিথ্যা মামলা দিয়ে রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করা হচ্ছে, যা মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল।
মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব লায়ন আসলাম চৌধুরীকে গত পাঁচ বছর ধরে মিথ্যা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলায় গ্রেপ্তার করে কারান্তরীণ রাখা হয়েছে। যখনই তিনি আদালত থেকে জামিন পান, তখনই পুরনো বানোয়াট মামলায় নতুন করে গ্রেপ্তার দেখিয়ে তার কারাবাস দীর্ঘায়িত করা হচ্ছে। এ ছাড়া চট্টগ্রাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, জয়পুরহাট, কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহ, নওগাঁসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিএনপি এবং অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের প্রতিদিনই গ্রেপ্তার, কারান্তরীণ করা হচ্ছে এবং এই প্রক্রিয়া চলমান রাখা হয়েছে।
বিএনপির অন্যতম এ শীর্ষ নেতা জানান, ২৬শে মার্চ ২০২১ থেকে এ পর্যন্ত বিএনপি এবং এর অঙ্গসহযোগী সংগঠনের প্রায় ২০০ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি অবিলম্বে লায়ন আসলাম চৌধুরী, অ্যাডভোকেট নিপুণ রায়চৌধুরীসহ সারা দেশে গ্রেপ্তার বিএনপি এবং অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের আহ্বান জানান। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরীসহ কয়েকজন নেতা উপস্থিত ছিলেন।