আমার জোছনা ভীতি
দুর্দান্ত শৈশবের সেদিনটাতে ছিল ভরা পূর্ণিমা। আকাশ ভেঙে ঝরে ঝরে পড়ছে রূপালী জোছনা। জ্যৈষ্ঠের লম্বা দিনের রোজা শেষে ইফতারান্তে একটু বিশ্রাম নিয়েই মা-চাচিরা তারাবীর নামাজও সেরে ফেলেছেন .সন্ধ্যা থেকে রাত দশটা এগারোটা পর্যন্ত বিদ্যুৎ তো অমাবস্যার চাঁদ। কস্মিনকালে ভূল করে বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন আলো দেখালেও, তার উপর কারো ভরসা নেই। তাই তো বিদ্যুৎ থাকা না থাকাই সমান। হাত পাখা ঘুরাতে ঘুরাতে চান্নি প্রহর রাইতে আমাদের মাঝ উঠানে এক পশলা আড্ডা বসে মায়েদের। বাপেরা তখনো তারাবির নামাজে। জোনাকিদের নিঃশব্দ বিচরণ পুকুরের ওপারের বাঁশবন ছাড়িয়ে গোরস্থান পর্যন্ত। বদ পোকাদের অধরা স্বভাবের কারণে কাঁচের বোতলে জোনাকি পোষার আজন্ম শখ অপূর্ণই থেকে গেলো আমার। বাতাসে বুনো ফুলের সুবাস। মৃদু বাতাসে বাঁশের পাতারা নড়ে। অদৃশ্য ছায়ার ভয়ে উঠানের গন্ডি পেরিয়ে একটু দূরে যেতেও ভয় লাগে।
নিঝুম রাতের নৈশব্দ চিরে অবিরাম ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক শুনা যায়। হুরুদাদি বলেন, খিরানি পোকা ডাকে, দেশে খরা হবে এইবার। মায়েদের চাঁদনি রাতের আড্ডায় সঙ্গী আমরা ডজন খানেক ছানাপোনা। আপনমনে উঠানের চারপাশে ঘুরতে থাকি। কিলবিলানি আর হট্টগোলে মায়েদের গল্পে ব্যাঘাত ঘটে। মধ্যম সাইজের ধমক দিয়ে মায়েরা আবারো গল্পে মশগুল। ঘরের ভেতর থেকে আসে আধা ভাঙা পাকা কাঁঠালের ঘ্রাণ। আমগাছের মগ ডালে ঝপ করে বসে জোড়া বাদুড়। ডানার ঝাপটায় টপাস করে পড়ে গোটা দুই পাকা আম। আম কুড়াতে কাড়াকাড়ি মারামারি লেগে যায় নিজেদের মাঝে। ছোঁ মেরে আমটা নিতে পারলেই সৌভগ্যবান বিজয়ী এভারেস্ট জয়ের আনন্দে ডিগবাজি খায়। ব্যর্থতার গ্লানিতে বাকিদের তখন পিত্তি জ্বলে। হতাশা কাটতে সময় লাগে না। আবারো আম পড়ে টপাটপ। আবারও ভোঁ দৌড়। পুকুর পাড়ে কত নামের আমগাছ, খিরা গাছ, চারা গাছ, গন্ধি গাছ, চিনি গাছ। আমগুলো গড়িয়ে গড়িয়ে মাঝেমাঝে পুকুরে গিয়ে পড়ে। চোখের আন্দাজে জায়গা চিহ্নিত করে রাখি। পরের দিন গোসলের সময় পা দিয়ে ঠাওর করে করে ডুব দিয়ে তুলবো আম। অপেক্ষার তর সয় না। দাঁত দিয়ে বাকল ছিলে পানিতে থাকতেই আম খাওয়া শেষ।
উঠানের লিচু গাছে টিনের সাথে দড়ি বাঁধা। ঘুড়ির নাটাইয়ের মতো দড়ি ধরে টান দিলে ঢং ঢং শব্দ হয়।বোকা বাদুড়ের দল পালায় মুখে দুইটা পাঁকা লিচু নিয়ে। নিস্তব্ধ রাতের বাতাসে কানে ভাসে গগনবিদারী চিৎকার আগুন, আগুন, বাঁচাও, বাঁচাও। মায়েদের গল্পে ছেদ পড়ে হঠাৎ। গ্রামের বাড়িঘরে প্রায়ই আগুন লাগে। কখনো প্রতিবেশীর শত্রুতায় পুড়ে ছাই হয় ছনের ঘর খানা, কখনো বা নিজেদের অসাবধানতায় ভস্মীভূত হয় খড়ের গাদা বা গোয়াল ঘর। সবাই ভেবেছে সে রকম কিছু হবে হয়তো। চিৎকার চেঁচামেচি কিছুটা থেমে থেমে শুনা যায়। কোথায় আগুন লেগেছে, কার ঘর পুড়েছে জানা যাচ্ছে না কিছুই। মসজিদের নামাজ শেষে বাড়ি ফেরা মুসল্লি ও পথিকেরা বলেন, গ্রামের অপর প্রান্তে এক গৃহবধুর গায়ে আগুন লেগেছে। গ্রাম সম্পর্ক ছাড়াও আগুনে আক্রান্ত মহিলা ছিলেন আমাদের আত্মীয়া। আম্মা, মতিফুফু ও বড়চাচি আম্মা হারিকেনের সলতেটা বাড়িয়ে তৎক্ষনাৎ রওয়ানা দিলেন ঐ বাড়িতে। কোনকিছু না বুঝেই ত্যাঁদড় ছানাপোনাদের কয়জন পিছু নিলাম মায়েদের। একটু পায়ে হাঁটা পথ মাড়িয়ে বড় মোকামের পাশে বাড়িটায় উৎসুক মানুষের ভীড়।
যন্ত্রণায় কাতর দগ্ধ মহিলার নিষ্করুণ আর্তনাদ। পোড়া শরীরে কেউ কাঁচা ডিম ভেঙ্গে লেপ্টে দিচ্ছেন, কেউ কলা গাছ ছেচে কষ টুকু ছড়িয়ে দিচ্ছেন। নারিকেল তেল, কেরোসিন কিছুই বাদ যাচ্ছে না। বুঝে না বুঝে চলছে প্রাথমিক চিকিৎসা। স্থানীয় হাসপাতালে এই ধরনের অগ্নিদগ্ধ রোগীর চিকিৎসার ন্যুনতম ব্যবস্থা নেই। তারপরও এই চিকিৎসা বন্ধ করে হাসপাতালে নেওয়ার তাড়া দেন আম্মা। ডাক্তারের শরণাপন্ন হলে অন্তত এই অপচিকিৎসা থেকে তো বাঁচানো যাবে মহিলাকে। আম্মার কথায় চিকিৎসাদাত্রী ও উপস্থিত দর্শনার্থীরা বিরক্ত। ফিসফাস কানাঘুষা….পর পুরুষ ব্যাটা ডাক্তার শরীরে ঔষধ লাগিয়ে দিবে তা কেমন করে হয়!
জ্বলা পুড়া এমনিতেই সেরে যাবে। তাচ্ছিল্যের সংগে হাসপাতালের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যাত হলেও আম্মা তোয়াক্কা করেন না। একপ্রকার জোর করেই ডাক্তারে পাঠানোর সিদ্ধান্ত আদায় করে নেন। ততক্ষণে কিছু মানুষের মত পাল্টানো সমর্থনও মিলে। যোগাযোগের নাজুক অবস্থায় বড়লেখা হাসপাতালে নেয়ার বাহন নেই আর সিলেটের কথাতো চিন্তাই করা যায় না। সিলেট নেয়ার গাড়ি একটা কোনমতে জোগাড় হলেও নদীতে কোন ফেরি থাকবেনা। দু’দুটো ফেরিঘাট এই রাতদুপুরে পার হওয়া চাট্টিখানি কথা না।
গৃহবধুর স্বামী বিদেশে তাই ছোট দুই সন্তান ও ছোট ভাইকে নিয়ে একা থাকতেন। ভাই তখন মসজিদে তারাবির নামাজে ছিল।
তারাবির নামাজ অর্ধেক শেষ করে মহিলা খেয়াল করলেন কুপির আলো নিভু নিভু। কেরোসিন ভরতে হবে। কুপিতে আগুন রেখেই কেরোসিন দিতে গেলেন। ধপ করে জ্বলে উঠে আগুন। কাপড় থেকে শরীরে, শরীর থেকে চুলে ছড়িয়ে যায় সর্বনেশে আগুন। কিছু বুঝে উঠার আগেই পুড়ে যায় অর্ধেক শরীর। চিৎকারে ছোট বাচ্চাদের ঘুম ভাঙলেও দরজা খুলতে পারেনা তারা। শরীরে দাউ দাউ আগুন নিয়ে নিজ হাতে দরজা খুলে দিলেও ততক্ষণে মহিলা ঝলসে একেবারে একাকার। আম্মার কথায় পুরুষদের মধ্যে কয়েকজন মিলে একটা পলো নিয়ে আসেন। ঝলসানো শরীর পলোতে উঠানো যায়না। নিয়ে আসা হলো দুই খানা তক্তা। সেই তক্তায় বিছানা পেতে শুইয়ে মহিলাকে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালে। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রাত পার করে পরের দিন নেয়া হবে সিলেটে।
অনিন্দ্য সুন্দর জোছনার আলো ম্লান হয়ে যায় যন্ত্রণা কাতর অগ্নিদগ্ধ নারীর আর্তনাদে। মহিলাকে হাসপাতালের পথে রেখেই মায়েদের সাথে আমরা ফিরে আসি বাড়িতে। ভয়ে গা ছমছম করে। বার বার চোখে ভাসে ঝলসানো একটা জ্বলজ্যান্ত মানুষের শরীর।
ঘুমাতে গিয়ে ঘুমাতে পারিনা। হাঁসফাঁস দেখে আম্মা ধমক দেন, চুপ করে ঘুমাও, না করলে তো শুনোনা, যাও কেন?
কি করবো? নাকে পোড়া মাংসের গন্ধ, কানে বাজে অসহ্য যন্ত্রণাময় আর্তনাদ। অন্ধকারে অপলক চেয়ে থাকি। টিনের চালের ফাঁক গলে জোছনা সরু হয়ে ঘরে ঢুকে, ভালো লাগেনা আমার। ঘুমানোর ব্যর্থ চেষ্টায় পাশ ফিরে শুয়ে থাকি। কাঠের জানালার চিপা দিয়ে আবারও জোছনা হানা দেয়। সর্বনাশী জোছনা আমার সহ্য হয়না। নিদ্রাবিলাসী আমার রাতটা কাটে অনিদ্রায়। স্থানীয় হাসপাতালের ডাক্তারদের পরামর্শে অতি দ্রুত সিলেটে নেয়া হয় আগুনে পোড়া মহিলাকে। কদিন পর সাথে যাওয়া লোকদের কাছ থেকে জানা যায় কাচা ডিম, কলা গাছের কষ, নারিকেল তেলের অপথেরাপির কারনে আগুনে পোড়া ঝলসানো চামড়া ও মাংস পেশী শরীরের ভাঁজে ভাঁজে জমা হয়েছে। উন্নত চিকিৎসায় মহিলা এ যাত্রা বেঁচে গেলেও ভাঁজের ক্ষতটা ভোগাবে অনেকদিন। সপ্তাহ যেতে না যেতেই আবারও খবর আসে দূর গ্রামে আরেক মহিলার শরীর কুপির আগুনে ঝলসে গিয়েছে। ঘনঘন আগুনে পোড়ার খবর আসে দূর বা কাছের গ্রাম থেকে। সবগুলোই কুপির বা হারিকেনের আগুনের দুর্ঘটনা। আমি এসব খবরে কান হাত দেই, চোখ বুজি।
আমার খালি বিরক্ত লাগে জোছনা রাত। সবাই উঠানে বসে চাঁদনী রাতে আসর বসায়। আমি ঘরে লুকিয়ে থাকি। কাউকে বলে বোঝাতে পারিনা আমার কষ্টের কথা। মায়েরা বলাবলি করেন আমদানিকৃত কেরোসিনের কন্টেইনার খালাসের সময় পেট্রোল বা অন্য কোন দাহ্য পদার্থের মিশ্রণের কারণে ঘটছে এসব দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনা এড়াতে সবাইকে আরো সতর্ক করা হয়। আস্তে আস্তে কমে আসে কেরোসিনের আগুনে পোড়ার প্রকোপ। কিন্তু আমার ভয় তো কাটেনা। চাঁদের হাসির বাঁধ ভাঙা আলো থেকে আমি নিজেকে আড়ালে রাখি। জোছনার সাথে লুকোচুরি চলে সবার অজান্তে। এরমধ্যে দশ বারো বছর সময় পেরিয়েছে। গ্রামের পাঠ শেষ করে শুরু হয়েছে শহুরে হোস্টেল জীবন। চাঁদনী রাতে সবাই ছাদে উঠে আনন্দ উল্লাস করে। পুষে রাখা ভয়ের কথা গোপন করে আমি জোছনা বিলাস এড়িয়ে চলি। একা একা রুমের মধ্যে মন টিকেনা। আলো নিভিয়ে এক কোনে জড়সড় হয়ে বসে থাকি। কোন একদিন কাঁচের জানালা বেয়ে তর তর করে নেমে আসে আবেগী জোছনা। কি জানি হলো হঠাৎ, জোছনারূপ দেখতে আগের মত খারাপ লাগেনা। ক্ষণিক মুগ্ধতায় চেয়ে দেখি জোছনার ঝরে পড়া। হাত বাড়িয়ে দেই জোছনার পানে। সাহস করে আস্তে আস্তে পা ফেলে ছাদে যাই। সবাই কোরাসে গাইছে,…… “চাঁদের হাসির বাঁধ ভেঙেছে, উছলে পড়ে আলো”। আমি হারিয়ে যাই কি এক অদ্ভুত ভালো লাগায়। এরপর থেকে পঞ্চমীর চাঁদ ডুবার আগ পর্যন্ত ছাদে উঠে জোছনা বিলাস রুটিন হয়ে যায়। জোছনা রাতের ভয় মনে হয় আমায় ত্যাগ করেছে ভেবে স্বস্তি লাগে। দগ্ধ মহিলাকে ঘিরে কষ্টের স্মৃতি আমার মন থেকে উধাও প্রায়।
অনেক বছর পর সেবার বাড়িতে গিয়ে শুনি মহিলা দেশে এসেছেন। দুর্ঘটনার পর প্রয়োজনীয় চিকিৎসা শেষে আগুনে পোড়া শরীর নিয়ে তিনি স্বামীর সাথে বিদেশে চলে যান। উন্নত চিকিৎসায় ফিরে পান নবজীবন আমি দেখতে যাই মহিলাকে। বিশ বছরের বেশি সময় পেরিয়েছে কোন ফাঁকে টেরই পাইনি। ভয়াবহ সেই আগুনে পোড়া ক্ষত নিয়ে বেঁচে আছেন তিনি, এর চেয়ে বড় আর কি হতে পারে?
অন্তর্যামীর অশেষ কৃপায় ভালোভাবেই বেঁচে আছেন। মুখ ছাড়া শরীরের সব জায়গায় আছে পোড়া ক্ষত। তারপরও মহিলাকে দেখে বড় ভালো লাগে আমার। সেদিনের ঝলসানো শরীরের ত্বক শুকিয়ে টান টান হয়েছে আমার বিশ্বাস হয়না। হাত বাড়িয়ে একটু ছুঁয়ে দেখি। কি অপার শান্তি !
শৈশবের সেই ভয়াবহ দুঃস্বপ্নের বেড়াজাল থেকে পুরোপুরি মুক্ত আমি। বেড রুমের লাগোয়া আমার এক চিলতে বারান্দায় জোছনা বিলাসের অতি ক্ষুদ্র আয়োজন আমার। শুক্লপক্ষের প্রতিটা রাতের কিছু সময় কাটে আমার জোছনা বিলাসে। রেলিং ঘেষে দাঁড়ানো বিশাল কড়ই গাছটার গা বেয়ে নেমে আসে মমতাময়ী জোছনা। বিছানায় শুয়েও দেখা যায় মায়াবতি চাঁদ। নাইওরি জোছনার সাথে আমার যেন কত জনমের সখ্যতা। একবারতো সুপার মুন দেখতে গিয়ে অন্যমনস্ক হয়ে কাঁচের দরজায় জোরছে ধাক্কা খাই। কপাল ফুলে ঢোল। কই লেগেছে বেশি? জিজ্ঞেস না করে অভিভাবক কর্তার ধমক, “হুশ করে চলতে পারোনা?” হুশ করে চলতে পারিনা দেখেই কপালের সাথে গাল ফুলিয়ে তীব্র অভিমানে অর্ধরাত্রি বারান্দায় বসে জোছনা বিলাস করি। অবশ্য ধমক দিলেও জোছনা বিলাসে কেউ সঙ্গী হয় আমার। জোছনা প্রীতির কাছে আমার নিদ্রাবিলাস অতি তুচ্ছ এখন। ফেলে আসা দিনে জোছনা রাতে জোনাকিদের আনাগোনা থাকতো। আলো আধারিতে গা ছমছম করতো। ইট পাথরের এই শহরে জোনাকি পোকারা পালিয়েছে সেই কবে। আশৈশবের বন্ধু জোনাকিদের জন্য আমার মন ব্যাকুল হয়।
ভয় পাওয়াও যে এক ধরনের বিলাসিতা টের পাই হঠাৎ হঠাৎ। চাইলেও অজানা ভয়ে গা ছম ছম করেনা আমার। বড় কন্যাকে নিয়ে শাহজালাল ইউনিভার্সিটি থেকে একটা অনুষ্ঠান শেষে ফিরতে বেশ রাত হয় একদিন। দুহিতার হাত ধরে পিতামাতা হাঁটছি অরণ্যের ভেতর পিচ ঢালা পথে। নিজের অজান্তে রূপার থালাসম চাঁদটা হ্যাংলার মত আমাদের পিছু নিয়েছে। ফিরে তাকালেই বড়সড় গাছের আড়ালে লুকিয়ে যায় বার বার।মেঘ না চাইতে বৃষ্টি। চতুর্দশীর মোটা চাঁদ একেবারে হাতের কাছে। আমাদের খুশি দেখে চরকা কাটা বুড়িও ফোকলা দাঁতে হাসে। নিষ্পাপ হাসিটা বড় মায়া লাগে। ঝোপের ভেতর ঝাঁকে ঝাঁকে জোনাকি। ঝিঁঝিঁ পোকার ডাকও শুনা যায়। আমি বিমুগ্ধ চিত্তে উপভোগ করি জোছনার অপার সৌন্দর্য। ফিরে যাই হারিয়ে যাওয়া আমার শৈশবে। কি এক ভালো লাগায় আবিষ্ট হয়ে অতি সন্তর্পনে স্মৃতির ফাইল নাড়া দেই। পাছে সেইসব হাবিজাবি দৃশ্য যদি ভেসে উঠে চোখের সামনে। না সে রকম কিছু হয়না। খারাপ লাগা অনুভুতিগুলো হারিয়ে যায় বড় ভালো লাগার আবেশে। লেখক: ফারজানা ইসলাম লিনু