আমড়া গাছে আমের প্রত্যাশা-আকসার আহমদ
‘বেশিরভাগ এমপিই প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নের উত্তর দিতে ব্যর্থ হন। তখন প্রধানমন্ত্রী এমপিদের আরও বেশি পড়াশোনা করা এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আরও বেশি সম্পৃক্ত হওয়ার নির্দেশ দিয়ে বলে’—— যুগান্তর
আমড়ার বিচি রোপন করলে সেখান থেকে আমের প্রত্যাশা করা কি উচিত? (সকল এমপি সাহেবদের কথা বলছি না। বলছি শুধু নকলগুলোর কথা। তবে আমি জানি না তারা সংখ্যায় গরিষ্ঠ কি না)নেতা বা এমপি/মন্ত্রী তো বানালেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী। নিশ্চয়ই যোগ্যতা মেপেই তাদেরকে চেয়ার বেড়ে দিয়েছিলেন। তাহলে তাঁর করা প্রশ্নের যথাযথ জবাব মিলেনি বলে তিনি আবার কষ্ট পান কেন? সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের কাঙ্খিত পরামর্শটিও দিয়েছেন তিনি মাননীয় এমপি বর্গকে। একথা পড়ে আমি প্রায় কেঁদেই ফেলেছিলাম,যদি না ‘অরণ্যে রোদন’ বাগধারাটির কথা মনে পড়তো। সম্ভবত এমপি সাহেব থেকে শুরু করে কেন্দ্রের প্রত্যেক নেতারই একটি করে ফেসবুক একাউন্ট আছে। কিন্তু এগুলো কখনোই নড়ে না। আর হাতে গোনা যে দুই চার জনের আইডি কখনো কখনো একটু আরটু নড়েচড়ে উঠে,সেগুলোও নাকি তারা নিজেরা নাড়ান না। নাড়ায় তাদের ভাড়া করা কোন এক বিশ্বস্থ চামচা।
প্রধানমন্ত্রী এমপিদের বেশী করে পড়াশোনা করারও পরামর্শ দিয়েছেন।
এবার অনেক গুলি শিক্ষিত বেকার যুবকের চাকরির সংস্থান বা সম্ভাবনা সৃষ্টি হল বলে,প্রধানমন্ত্রীর একথাটি পড়ে আমার মনটি সত্যিই ভাল হয়ে গেল। প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ বলে কথা। নিশ্চয়ই এমপি গণ তা তামিল করার জন্য এখন উদ্যোগী হয়ে উঠবেন।
কিন্তু তাদের হাতে এত সময় কই। তাছাড়া স্কুলে বা কেউ কেউ কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় তো কত নোট বই’ই পড়েছেন। গরুর রচনাটি তো মনে হয় এখনো চোখ বুজে বলে যেতে পারবেন। তবুও প্রধানমন্ত্রীর এই নতুন উপদ্রব থেকে মুক্তি পাবার জন্য এখন নিশ্চয়ই তারা বদলি পড়ুয়া বা পাঠক নিয়োগ দিতে শুরু করবেন। আর সেখানেই লুকিয়ে আছে কর্ম সংস্থানের বিশাল সম্ভাবনা। জনাব শাহরিয়ার আলম ও জনাব পলক সহ দুই চার জন ফেসবুকে জনগনের সাথে দুখ সুখ একটু ভাগাভাগি করেন। কিন্তু অন্যরা? এসব করতে হলে যে কলমের জোর লাগে,মগজের হিম্মত লাগে,আর লাগে বহুত ত্যাগ। কিন্তু তারা তো ত্যাগ বলতে এক বউ ত্যাগ,দল ত্যাগ আর মল ত্যাগকেই বুঝে থাকেন। প্রধানমন্ত্রীকে একথা বুঝায়ে বলবে কে?