আরিফের মেয়র পদ ঠেকাতে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল
সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে বরখাস্তের আদেশ স্থগিত করে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আবেদন করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। আপিল বিভাগের অবকাশকালীন চেম্বার বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের আদালতে এই আবেদনের শুনানি হতে পারে। আরিফুল হক চৌধুরীর আইনজীবী আব্দুল হালিম কাফি বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন। সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যায় মামলায় অভিযোগপত্রে নাম আসার পর ২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি বরখাস্ত হন মেয়র আরিফুল। সেই সঙ্গে শুরু হয় বিচার। এর মধ্যে আরিফুল মুক্ত হন জামিনে আর তার বরখাস্তের আদেশের বিরুদ্ধে আবেদন করেন উচ্চ আদালতে। আর আদালতে আদেশে গত ২ এপ্রিল ২৭ মাস পর তিনি সিটি মেয়রের পদে বসেন। কিন্তু অন্য একটি মামলায় অভিযোগপত্রে নাম আসার পর সেদিনই তাকে বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।মন্ত্রণালয়ের এই আদেশে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে রিট করে আরিফুল হক। ওই আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে পরদিন মন্ত্রণালয়ের আদেশ স্থগিত করেন বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ। পাশাপাশি তার সাময়িক বরখাস্তের আদেশ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে তিনদিনের রুল জারি করা হয়। এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য ৯ এপ্রিল দিন ধার্য করা হয়।
মেয়র পদ থেকে আরিফুল হককে বরখাস্তে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের আদেশে বলা হয়, আরিফুলের বিরুদ্ধে একটি মামলায় গত ২২ মার্চ সুনামগঞ্জের বিশেষ ট্রাইব্যুনালে সম্পূরক অভিযোগপত্র গৃহীত হয়। এ কারণে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। আরিফুলকে বরখাস্তের একটি দিন বরখাস্ত হন ওই দিনই মেয়রের দায়িত্ব গ্রহণ করা রাজশাহীর মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল এবং হবিগঞ্জের জি কে গউছ। এদের মধ্যে মন্ত্রণালয়ের আদেশ আদালতে স্থগিত হওয়ার পর বুধবার রাজশাহীর সিটি মেয়রের দায়িত্ব গ্রহণ করেন বুলবুল।