আরিফ ও গৌছ বরখাস্তের বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী জানেন না : কাদের
রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশন এবং হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়রদের সাময়িক বরখাস্তের বিষয়টি সরকারের গুরুত্বপূর্ণ নীতিগত সিদ্ধান্ত। কিন্তু এই বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানেন না বলে দাবি করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি জানান, এসব বিষয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ই সব বলতে পারবে। আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর ডেমরা এলাকায় মাতুয়াইল-নিউ টাউন-কোনাপাড়ায় নবনির্মিত সড়কের উদ্বোধন করে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান মোল্লা এবং সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। সাড়ে তিন কিলোমিটার এই সড়কটি সাড়ে তিন কোটি টাকা ব্যয়ে আরসিসি ঢালাই দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে।উদ্বোধন শেষে মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের কোনাবাড়ি এলাকায় শামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ পরিদর্শন করেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মেয়র বরখাস্ত করার বিষয়টি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের। এই সিদ্ধান্ত নিশ্চয় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় নিয়েছে। এর পেছনে যুক্তি কী, কারণ কী, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ভালো বলতে পারবে। তবে আমি যতটুকু জানি এ ধরনের মেজর পলিসি ডিসিশন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি জানেন না।’গতকাল রোববার দুই ঘণ্টার ব্যবধানে দেশের দুটি সিটি করপোরেশন ও একটি পৌরসভার মেয়রকে বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার বিভাগ। এঁরা হলেন- সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল ও হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র জি কে গউছ। তাঁরা তিনজনই বিএনপির নেতা।মামলায় অভিযোগপত্রে তিনজনের নাম থাকায় আইনগত প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবেই তাঁদের বরখাস্ত করা হয়েছে বলে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে জারি করা পৃথক প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে। দুপুর ২টা ৫ মিনিট থেকে বিকেল ৪টার মধ্যে এসব আদেশ তাঁদের কর্মস্থলে পৌঁছায়। তবে বারবার বরখাস্তের আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতের রায়ে দায়িত্বে ফেরা তিন মেয়রই দাবি করেছেন, রাজনৈতিক কারণেই তাঁদের বরখাস্ত করা হয়েছে। এটা ষড়যন্ত্রের অংশ। তাঁরা আইনের আশ্রয় নেবেন।