আর্থিক অনটনে সিলেটের ১০ হাজার প্রবাসী পরিবার
এদিকে, করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে আসলেও এখনো মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশের সাথে ফ্লাইট শুরু না হওয়ায় তারা ফিরে যেতে পারছেন না। ইতোমধ্যে অনেকের ভিসা ও আকামার মেয়াদও শেষ হয়ে গেছে। অনেকে আবার ফিরে যাওয়ার জন্য কফিলের সাথে যোগাযোগ করলে তাদেরকে ফিরে না যাওয়ার জন্য বলা হচ্ছে। করোনা সংকটের কারণে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়ার কথা জানাচ্ছেন অনেক কফিল। এছাড়া বিদেশে অবস্থানরত অনেক প্রবাসীও কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। এই অবস্থায় প্রবাসীদের পরিবারগুলোতে নিরব হাহাকার শুরু হয়েছে। এদিকে, দেশে আটকা পড়া ক্ষতিগ্রস্থ প্রবাসীদের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে আবেদন করার আহ্বান জানিয়েছে সরকার। সরকারি এই আহ্বানের পর সিলেটে প্রায় ৫ হাজার প্রবাসী কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসে সহায়তার জন্য আবেদন করেছেন। তবে প্রবাসীদের কি পরিমাণ সহায়তা করা হবে তা এখনো বলতে পারছেন না সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। সিলেট জেলা জনশক্তি অফিসের কর্মকর্তারা বলছেন, সরকারের নির্দেশ মতো তারা শুধু আবেদনপত্র গ্রহণ করছেন। পরবর্তীতে সরকারি ঘোষনা আসলে সে অনুযায়ী প্রবাসীদের সহযোগিতা করা হবে।
কাতার ফেরত সিলেটের কানাইঘাট প্রবাসী দেলোয়ার হোসেন জানান, করোনা পরিস্থিতির শুরুতে তিনি দেশে এসেছিলেন। আড়াই মাস ছুটি কাটিয়ে তার ফিরে যাওয়ার কথা ছিল, কিন্তু ফ্লাইট বন্ধ হয়ে তিনি ফিরতে পারেননি। ফিরে যাওয়ার জন্য তিনি কাতার কফিলের সাথে যোগাযোগ করেছিলেন। কিন্তু কফিল জানিয়েছেন, করোনার কারণে তিনি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছেন। এই অবস্থায় তিনি ফিরে যাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছেন। ছয় মাস ধরে দেশে অবস্থান করায় তিনি ঋণ করে চলতে হচ্ছে বলে জানান দেলোয়ার। সিলেট জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের সহকারী পরিচালক মীর কামরুল হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, ক্ষতিগ্রস্থ প্রবাসীদের আবেদন গ্রহণ করতে তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক তাদের আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে। তবে সহায়তার ব্যাপারে এখনো কোন নির্দেশনা আসেনি।