ফকির ইলিয়াস: আল জাজিরার সদ্য প্রচার করা তথাকথিত প্রতিবেদনটি অনেকেই দেখেছেন। এটা নিয়ে গোটা বিশ্বের বাঙালিদের মাঝে তুমুল আলোচনা। প্রতিবেদনে দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পোষ্য কিছু লোক দুর্নীতি, লুটপাট, বিদেশে অর্থ পাচার করছে। প্রথম কথা হচ্ছে, এরা কি প্রধানমন্ত্রীর পোষ্য?
এই ফেক ডকুমেন্টারিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে জড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছে। কেন করা হয়েছে, তা সকলেরই জানা। আমাদের জানা আছে, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর কয়েকজন অবসরপ্রাপ্ত অথবা চাকরিচ্যুত কর্মকর্তা এখন বিদেশের বিভিন্ন দেশে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করেছেন। তাদের নিজের ও পরিবারের বিদেশে স্থায়ীভাবে থাকার জন্য পারমিশন দরকার। এজন্য দেশে গেলে তাদের প্রাণ রক্ষা হবে না-প্রোপাগান্ডা লাগাতার চালিয়েই যাচ্ছে। এদের সঙ্গে আছে কিছু সুবিধাবাদী সাংবাদিকও। যারা বিদেশে এসে পলিটিক্যাল এসাইলাম ফাইল করেছে।
এরা সম্মিলিতভাবেই গত প্রায় দেড় বছর থেকে বাংলাদেশের সরকার ও সশস্ত্র বাহিনীর বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ ও উসকানি দিয়েই যাচ্ছে। আল জাজিরা সেই পুরনো ভিডিওগুলোতেই কিছু ফটোসেশন ও ছায়াবদল করেছে মাত্র। যে কথাটি বলা দরকার তা হলো, কারা এই আল জাজিরা? তারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে লাগাতার মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে কেন?
আমরা ভুলে যাইনি, এই আল জাজিরা বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। এখনো নিচ্ছে। আল জাজিরায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সংক্রান্ত যেকোনো সংবাদ উপস্থাপনের ধরনের মূল উদ্দেশ্যই ছিল বিচারপ্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করা। বিশেষ করে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার প্রক্রিয়া এগোনোর সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে তাদের অপপ্রচারের মাত্রা।
২০১৩ সালের ২৫ অক্টোবর ‘দি পলিটিকালাইজেশন অব বাংলাদেশ? স ওয়ার ক্রাইম ট্রাইব্যুনাল’ শীর্ষক প্রতিবেদনে তালহা আহমেদ নামের একজন প্রতিবেদক বাংলাদেশের চলমান যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রক্রিয়াকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হিসেবে উপস্থাপনের অপচেষ্টা করেন। ওই প্রতিবেদনে একাত্তরের পাকসেনাদের দোসর জামায়াতে ইসলামীর প্রতি আল জাজিরার ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিই প্রমাণ দেয় দলটির সঙ্গে তাদের সম্পর্কের বিষয়টির।
সেখানে বলা হয়, ‘এমনিতেই বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি জটিল অবস্থায়- এর সঙ্গে আবার যুক্ত হয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের রায়। এতে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গণতন্ত্র অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে আরও।’ প্রতিবেদনে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতকে বিতর্কিত হিসেবে অভিহিত করা হয়। এছাড়া আল জাজিরার আরও বেশ কয়েকটি প্রতিবেদনে জামায়াতের পক্ষে সাফাই গাওয়া হয়। বিশেষ করে ‘বাংলাদেশ পলিটিশিয়ান অ্যাকিউজড অব ওয়্যার ক্রাইম’ শীর্ষক প্রতিবেদনে প্রতিবেদক যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযমের পক্ষে সাফাই গেয়েছেন। সেখানে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের সাবেক রাজনীতিবিদ গোলাম আযম ৪০ বছরেরও বেশি সময় আগে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধে বিচারের মুখোমুখি। ৮৯ বছর বয়সী গোলাম আযম হাঁটতে পারেন না, দেখতে পান না, এমনকি শুনতেও পান না। তা সত্ত্বেও ১০ জন সশস্ত্র পুলিশ কর্মকর্তা সার্বক্ষণিক তাকে পাহারা দিচ্ছেন। সম্প্রতি জাতিসংঘের ওয়ার্কিং গ্রুপ এক শুনানিতে গোলাম আযম ও অন্য অভিযুক্তদের আটক করে রাখার বিষয়টিকে অযৌক্তিক ও আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী বলে অভিহিত করেছে।
’এভাবেই যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযমকে নিতান্ত ভালো মানুষ হিসেবে ?উপস্থাপনের চেষ্টা করা হয় আল জাজিরায়। এছাড়া যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হলে দেশ রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার মধ্যে নিপতিত হবে বলেও তথ্য উপস্থাপন করে আল জাজিরা। বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে এ ধরনের আরও একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয় ২০১১ সালের ১০ আগস্টে। এতে বলা হয়,It is the first time in the country’s history that evidence of war crimes will be brought before a judge, but there are accusations that the government is using the trials to round up the opposition.
শুধু মুক্তিযুদ্ধ কিংবা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায় নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোই নয়, বরং বাংলাদেশের অন্যান্য ঘটনা নিয়েও ‘নেতিবাচক’ উপস্থাপনের একটি প্রবণতা সব সময়ই করেছে আল জাজিরা সংবাদ পরিবেশনায়। ২০১১ সালের জানুয়ারিতে ‘সাভারের একটি ইটভাটা থেকে শিশু ও নারীসহ শেকলবন্দি ৩০ জনকে উদ্ধার করে জঅই। সে সময় দেশি-বিদেশি মিডিয়ায় ফলাও করে প্রচার হয়েছিল ওই ঘটনা। কিন্তু উদ্দেশ্যমূলকভাবে দুই মাস পর পুনরায় ভিডিওচিত্রসহ ওই ঘটনা নিয়ে সংবাদ পরিবেশন করে আল জাজিরা।
এক্ষেত্রে সচেতন মহলে প্রশ্ন ওঠে, একই ঘটনার ভিডিওচিত্র দুই মাস পরেও ফলাও করে কেন প্রচার করল আল জাজিরা? সব সময় টাটকা খবর দিয়ে দুনিয়াজোড়া নাম কামানো এই গণমাধ্যমের উদ্দেশ্য কী? ওই প্রতিবেদনে ভিডিওচিত্রসহ তুলে ধরা হয় ইটভাটা শ্রমিকদের দুর্দশা ও নির্যাতিত হওয়ার চিত্র। আল জাজিরার ওয়েবসাইটে এশিয়া বিভাগের “হোয়াট’স হট” অংশে গুরুত্বের সঙ্গে ২৬ জানুয়ারির ঘটনাটির ভিডিওচিত্র প্রচার করা হয় ‘পুলিশ রেইড বাংলাদেশ সেøভ ক্যাম্প’ শিরোনামে। দেশের ইটভাটায় ক্রীতদাসের মতো শ্রমিকদের বন্দি জীবন, শিশুশ্রম এবং অসহায় দারিদ্র্যকে তুলে ধরা হয় রিপোর্টটিতে।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে নিহতের সংখ্যা তিন থেকে পাঁচ লাখ উল্লেখ করে আল জাজিরা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। ‘বাংলাদেশ পার্টি চিফ টু হ্যাং ফর ওয়ার ক্রাইমস’ শিরোনামে প্রচারিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ইতিহাসবিদদের হিসাবে মুক্তিযুদ্ধে ৩ থেকে ৫ লাখ মানুষ মারা যায়।’ রিপোর্টার যখন এই তথ্য দিচ্ছিলেন তখন ফুটেজে দেখানো হচ্ছিল, কিছু মানুষ একদিকে ছুটছে। সেখানে পুরুষরা সব প্যান্ট-শার্ট আর নারীরা স্কার্ট, টপস পরা। ছবির মানুষরা শ্বেতাঙ্গ।
যুদ্ধাপরাধ বিচার আন্দোলনের শীর্ষ নেতা, গবেষক ও তথ্যচিত্র নির্মাতা শাহরিয়ার কবির এর তীব্র প্রতিবাদ করে বলেছিলেন, ‘ওই রিপোর্টে প্রচারিত ফুটেজ কোনোভাবেই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ফুটেজ নয়। এই ফুটেজ কোনোভাবেই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে প্রতিনিধিত্ব করে না।’ তিনি বলেছিলেন, কামারুজ্জামানের চূড়ান্ত রায়ের পর আল জাজিরা টেলিভিশনে প্রচারিত প্রতিবেদনে দুটি বিষয় ‘স্পষ্ট অপরাধ’। তিনি আরও বলেছিলেন-, ‘সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী ৩০ লাখ শহীদ। এই পরিসংখ্যানকে পাশ কাটিয়ে তারা যে তথ্য ব্যবহার করেছে, তার সোর্স কী? এই ধরনের তথ্য তো গণহত্যার সহযোগীদের সার্ভ করে।
’মুক্তিযুদ্ধের ফুটেজ দুষ্প্রাপ্য নয় জানিয়ে শাহরিয়ার কবির বলেছিলেন, ‘তারা ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের ফুটেজ বলে যে ফুটেজ চালিয়েছে, তা অবশ্যই বাংলাদেশের নয়। এবং এটাও গুরুতর অপরাধ। এই আল-জাজিরা একাত্তরের গণহত্যা নিয়ে একটা তথ্যচিত্র বানিয়েছে ২০০৮ সালে। কিন্তু ২০০৯ সালে ট্রাইব্যুনাল গঠনের পর জামায়াতে ইসলামী যে ধরনের অভিযোগ তুলছে, তারা সরাসরি সেসব অভিযোগের ভিত্তিতেই তাদের প্রতিবেদন, অনুষ্ঠান করে যাচ্ছে। তারা জামায়াতের মুখপাত্র হিসাবে কাজ করছে।’
এজন্য আল জাজিরার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘তথ্য বিকৃতির জন্য আমাদের আইন আছে। সেই আইন অনুযায়ী আল জাজিরার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলব আমি।’ কিন্তু বাংলাদেশ সরকার এই আল জাজিরার বিরুদ্ধে আইনি কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। কেন নেয়নি- তা আজও অজানা। ব্যবস্থা নিলে আজ এই ২০২১ সালে তারা হয়তো নতুন করে এভাবে বিষকামড় দিত না।
আমরা ভুলে যাইনি, ২০১৫ সালে বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া বলেছিলেন, ‘১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে শহীদের যে সংখ্যা বলা হয় তা নিয়ে বিতর্ক আছে।’
আল জাজিরা গোটা বিশ্বেই ছড়িয়ে দিচ্ছে মৌলবাদী জঙ্গি তৎপরতা। ২০১০ সালে আল জাজিরা টেলিভিশনের কুয়েত শাখার কার্যালয় বন্ধ করে দেয় কুয়েতের সরকার। বিরোধীদের সমাবেশে পুলিশি হামলার চিত্র উসকানিমূলকভাবে সম্প্রচার করায় এর কর্মকা- বন্ধ করে দেয় তারা। পাশাপাশি দেশটিতে আল জাজিরার প্রতিনিধিদের কাজ করার অনুমোদনও প্রত্যাহার করে কুয়েত। এর আগেও একবার ২০০২ সালের নভেম্বরে আল জাজিরা কার্যালয় বন্ধ করে দিয়েছিল কুয়েত সরকার। দীর্ঘ আড়াই বছর পর ২০০৫ সালের মে মাসে কার্যালয়টি পুনরায় চালুর অনুমোদন দেওয়া হয়। মিথ্যা সংবাদ পরিবেশনের অভিযোগে গত জুন মাসে আল জাজিরার তিন সাংবাদিককে সাত বছরের কারাদ- দেন মিসরের আদালত। তারা হলেন- পিটার গ্রেসটে, মোহাম্মদ ফাহমি এবং বাহের মোহাম্মদ। মুসলিম ব্রাদারহুডকে সমর্থন ও মিথ্যা সংবাদ পরিবেশনের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে এ রায় দেন মিসরের আদালত।
পাশাপাশি মিসরের প্রসিকিউটররা চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে আল জাজিরার ২০ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন। দেশটিতে গৃহযুদ্ধ পরিস্থিতি বিরাজ করছে এমন চিত্র তুলে ধরার অভিযোগ আনা হয় এসব সাংবাদিকের বিরুদ্ধে। এরকম অনেক উদাহরণ আছে। আল জাজিরার সাম্প্রতিক এই ফেক ভিডিও নিয়ে আমার কিছু কথা আছে। ভিডিওর নামটা চুরি করেছে ভারতীয় একটা সিরিজ থেকে। নামটা সাত বছর আগের। এই ডকু বিষয় নিয়ে আমার কিছু প্রশ্ন আছে। যারা কথা বলেছে সেই তাসনীম, বার্গম্যান তো পুরনো মিথ্যাবাদী। এসব তারা আগেও বলেছে। আর ‘সামী’র পরিচয় ইতোমধ্যে মিডিয়ায় এসেছে।
এই ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে মিক্স অ্যান্ড ম্যাচ করে। কাটা-ছেঁড়া ভিডিও যুক্ত করে যে ফটোশপ আল জাজিরা করেছে, তা তো ধরাই যাচ্ছে। আমার প্রশ্নটি হচ্ছে- এমনভাবে ভিডিওর সামনে কেউ ডিল করে? বুদাপেস্ট পর্বে এই ছায়া দেখানো মানুষরা যে বানোয়াট তা বুঝতে তো অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। ইনভেস্টিগেশনের নামে এমন প্রাইভেট ডকুমেন্ট পাওয়া সম্ভব? এই টেকির যুগে মানুষ এত বোকা?
আল জাজিরা মূলত একটি জঙ্গিবাদী ঢালের নাম। তারা বড় প্রজেক্টে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কাজ করছে। আমার কথা হচ্ছে, যেগুলো বিদেশে থেকে এসবে ঘি ঢালছে, এদের বাদ-বাকি আলে আওলাদ তো বাংলাদেশেই আছে। অইগুলারে তো এট্টু ‘জিগানো’ যায়। ‘আদর’ করা যায়। যায় না?একজন ওয়ায়েজ বলেছেন, করোনা ভ্যাকসিনে ছোট্ট চালের মতো একটা বীজ বাঙালদের শরীরে ঢুকিয়ে দেবে ইহুদি নাসারা’রা। সেই ইহুদি গুপ্তচরও এনেছে আল জাজিরা এই ডকু’তে। ইসরায়েল না আনলে তো মুসলিম তমদ্দুনে গোস্যা সিরিয়াস করা যায় না। সেই কাজটি তারা কৌশলেই করেছে আল জাজিরা। শাপলা চত্বরে ‘হাজার হাজার গুম/খুন’-এর প্রবক্তা তো ছিল এই আল জাজিরাই। ছিল না?
এখন বাংলাদেশের কিছু ‘আওলাদে রাজাকার’ বলছে আল জাজিরা তো সাংবাদিকতা করেছে। আমি প্রশ্ন করতে চাই- এরা যদি সাংবাদিকতাই করে তাহলে তারা বাংলাদেশের কোনো উন্নয়নচিত্র দেখে না কেন? রেমিটেন্স, পদ্মা সেতু, গার্মেন্ট, কৃষি, চিকিৎসা, করোনা মোকাবিলা ইত্যাদি নিয়ে তারা একটা প্রতিবেদন করেছে? না, করেনি। কেন করেনি? তখন কোথায় তাদের সাংবাদিকতা? পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও সেনাবাহিনীর বিভাগ ইতোমধ্যে এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। বাংলাদেশের বর্তমান সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে অত্যন্ত কঠোর। আরও যদি কেউ দুর্নীতি করে- তাদের বিরুদ্ধেও কঠোরতম থাকার কথা সব সময়ই বলছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এমন অনেক উদাহরণ তো আমরা গেল দেড় বছরে অনেকই দেখেছি।
একটি শ্রেণি সরকারকে কুপোকাত করার মহড়া দিতে চাইছে। এদের বিরুদ্ধে সরকারকে আরও কঠোর হতে হবে। ৩০ লাখ শহীদের রক্তে ভেজা বাংলার মাটিকে জঙ্গিবাদীদের হাতে তুলে দেওয়া যাবে না। আজ যারা আল জাজিরাকে আশকারা দিচ্ছে চিনে রাখতে হবে ওদেরকেও। এমন মিথ্যে অপপ্রচার হবেই। এর বিরুদ্ধে আইনিসহ সকল ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বিবেচনায় রাখতে হবে সরকারকেই।নিউইয়র্ক/০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ফকির ইলিয়াস : কবি ও কলাম লেখক
সংবাদ টি পড়া হয়েছে :
১০০ বার