আসামিকে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে আদালতে আনা যাবে না: হাইকোর্ট
ডাণ্ডাবেড়ি পরিয়ে এজলাসে আসামি হাজির করা যাবে না। তবে নিরাপত্তার স্বার্থে কারাগার থেকে আদালতে আনা-নেওয়ার সময় ডাণ্ডা বেড়ি পরানো যাবে- এমনই অভিমত দিয়েছে হাইকোর্ট। চার আসামিকে ডাণ্ডা বেড়ি পরিয়ে হাইকোর্টের এজলাসে হাজির করার ঘটনায় ডিআইজি প্রিজন মো. তৌহিদুল ইসলাম নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করায় আদালত এই অভিমত দেয়। আজ বিচারপতি মো. ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণ দেব নাথের ডিভিশন বেঞ্চে হাজির হয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করেন ডিআইজি প্রিজন। এরপরই আদালত তাকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যহতি দিয়ে উপরোক্ত অভিমত দেয় বলে জানান সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড প্যানেল আইনজীবী সাবিনা আহমেদ মলি।
গত ৯ মার্চ ডিআইজি (প্রিজন) দেশের বাইরে থাকায় তার পক্ষে আদালতে ব্যাখ্যা দেন ঢাকার সিনিয়র জেল সুপার জাহাঙ্গীর কবির।ওই দিন ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, ‘চার আসামির সবাই জেএমবির সদস্য হওয়ায় নিরাপত্তার স্বার্থে তাদের ডান্ডাবেড়ি পরানো হয়েছিল।’ গত ৭ ফেব্রুয়ারি বিনাবিচারে কারাগারে থাকা ১০ আসামির জামিন প্রশ্নে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। ২৩ ফেব্রুয়ারি ১০ আসামিকে পূর্বনির্দেশনা অনুযায়ী আদালতে হাজির করা হয়। এর মধ্যে হাবিবুর রহমান ওরফে ইসমাইল, মনিরুজ্জামান ওরফে মুন্না, নাসির উদ্দিন ও গিয়াস উদ্দিনকে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে আনা হয়। এই চারজনকে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে হাজির করার ঘটনায় ডিআইজিকে (প্রিজন) ৯ মার্চ উপস্থিত হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।