রাজশাহী মহানগর বিএনপির দলীয় কার্যালয় হঠাৎ করে ঘেরাও করে পুলিশ। মঙ্গলবার বিকাল ৫টায় কার্যালয়টির চারপাশে পুলিশ অবস্থা নেয়। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কার্যালয়ের আশপাশ থেকে সরে যায় পুলিশ। এসময় নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলনসহ নেতাকর্মীরা দলীয় কার্যালয়ে অবস্থান করলেও কাউকে আটক কিংবা গ্রেফতার করেনি।

জানা যায়, মঙ্গলবার বিকালে মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলনের নেতৃত্বে প্রায় আড়াইশ নেতাকর্মী ‘নিত্যপণ্যের দাম দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে’ কেন্দ্র থেকে পাঠানো এমন এক ধরনের পোস্টার নগরীর বিভিন্ন স্থানে সাঁটিয়ে দেন। এরপর নেতাকর্মীরা নগর বিএপির কার্যালয়ে গিয়ে অবস্থান নেয়।  বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে সেখানে হঠাৎ করেই উপস্থিত হয়ে কার্যালয় ঘেরাও করে রাখে পুলিশ। বন্ধ করে দেয়া হয় দুই প্রান্তের রাস্তা। এই সময়ের মধ্যে বিএনপির কোনো নেতাকর্মীকে কার্যালয়ে ঢুকতে কিংবা বের হতে দেয়নি পুলিশ। গুঞ্জন উঠে মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলনকে আটক করা হবে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে পুলিশ কার্যালয়ের সামনে থেকে সরতে থাকে। একদিকে সরতে থাকে পুলিশ অন্যদিকে কার্যালয় থেকে বের হয়ে আসতে থাকে নেতাকর্মীরা। পরে মহিলা দলের  নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে পুলিশের সামনেই একসাথে বেরিয়ে যান মিলন। সেখান থেকে পুলিশ সদস্যরাও চলে যায়।

মঙ্গলবার বিকেলে শহরের বিভিন্ন স্থানে বিএনপির দলীয় পোস্টার লাগানো হয়। আর এই  পোস্টার লাগানোকে কেন্দ্র করেই পুলিশ সেখানে অবস্থান করে বলে ধারণা করেন দলের নেতাকর্মীরা। শফিকুল হক মিলন বলেন, ২০০৬ সালে দ্রব্যমূলের দাম কেমন ছিল আর বর্তমানে তা বেড়ে কতগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে এমন কিছু চার্ট আমার নেতৃত্বেই বিকালে নগরীর বিভিন্ন স্থানে সাঁটাই। এছাড়া বিএনপির ১৯ দফার একটি পোস্টারও সাঁটানো হয়। প্রায় ২৫০ জনের অধিক নেতাকর্মী এক সঙ্গে এসব পোস্টার লাাগিয়ে দলীয় কার্যালয়ে যাই। বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে হঠাৎ করেই পুলিশ আমাদের কার্যালয় ঘিরে ফেলে। রাত সাড়ে ৭ টা পর্যন্ত আমাদেরকে কার্যালয়ের মধ্যে অবরুদ্ধ করে রাখে পুলিশ। পরে পুলিশ চলে গেলে আমরা সবাই কার্যালয় থেকে বেরিয়ে যাই। বিভিন্ন স্থানে পোস্টার লাগানোর জন্যই হয়তো আমাদেরকে এভাবে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছিল।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn