ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিলেন বাঙালি তরুণী সায়নী দাস (২০)। পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার শ্রীরামপুর কলেজের ইতিহাস প্রথম বর্ষের এ ছাত্রী ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিতে সময় নিয়েছেন ১৪ ঘণ্টা ৮ মিনিট। গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ইংলিশ চ্যানেল জয়ে গত মঙ্গলবার স্থানীয় সময় দুপুর ১টায় (বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা) সাতার শুরু করে সায়নী। দীর্ঘপথ সাঁতার কেটে যখন ফ্রান্স উপকূলে পৌঁছায় তখন ঘড়ির কাঁটায় বাংলাদেশ সময় বুধবার সকাল ১০টা ৩৮ মিনিট। তবে পানির সঙ্গে তার এই লড়াই মোটেও সহজ ছিল না। ইংল্যান্ড থেকে ফোনে সায়নী বলেন, ‘ঠান্ডায়, যন্ত্রণায় তীরে পৌঁছনোর পরে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিলাম। পাইলট টানা ম্যাসাজ করে জ্ঞান ফেরান। তখন অবশ্য সব কষ্টই ফিকে।’ সায়নীর ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেয়ার সময় পাশের পাইলট বোটে ছিলেন বাবা তার রাধেশ্যাম বাবু। পেশায় প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক। তিনিই ছোট থেকে মেয়েকে সাঁতারের প্রশিক্ষণ দেন। তিনি বলেন, এক পর্যায়ে তাপমাত্রা কমে ৯ ডিগ্রির নিচে নেমে যায়, সেই সঙ্গে ঢেউ, ভাসমান শ্যাওলা, জলজ উদ্ভিদের কাঁটা বারবার গায়ে জড়িয়ে যাওয়ায় খুবই সমস্যা হচ্ছিল সায়নীর। পরে কিছুটা ধাতস্থ হয়। তবে সব থেকে বেশি সমস্যা করে জেলিফিস। সায়নী নিজেও বলেন, জেলিফিসের রোঁয়া গায়ে লাগলেই জ্বলছিল। মনে হচ্ছিল একসঙ্গে অনেক কাঠপিঁপড়ে কামড়াচ্ছে। সায়নীর মা রুপা দাস বলেন, ‘মেয়ে জলে নেমেছে জানার পরে দু’চোখের পাতা এক করতে পারিনি। সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ (ভারতীয় সময়) ওর বাবা ফোনে জানান ১৪ ঘণ্টা লড়াই করে মেয়ে সফল হয়েছে।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn