অতি সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে পা রেখেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। তার পরেই সামনে এসেছে একটি আকর্ষণীয় তথ্য, যা অনেকেই জানতেন না। একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও আর একজন বলিউডের পাওয়ারহাউস। এঁদের দু’জনের মধ্যে তেমন একটা সখ্যতা চোখে পড়েনি আগে। তবে দু’জনেরই একটি বিশেষ যোগসূত্র রয়েছে এবং সেটি হল টেলিভিশন। স্মৃতি ইরানি আজ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হলেও ভারতীয় দর্শক তাঁকে চিরকালই মনে রাখবেন ‘কিঁউ কি সাঁস ভি কভি বহু থি’-র ‘তুলসী’ হিসেবে। আবার শাহরুখও তাঁর কেরিয়ার শুরু করেছিলেন একটি ধারাবাহিক দিয়ে— ‘ফৌজি’। শাহরুখের অনুগামীরা বরাবরই সেই চরিত্রটির কথা মনে রাখবে। তা বলে টেলিভিশনই শুধুমাত্র এঁদের মধ্যে প্রধান যোগসূত্র নয়। বরং এটাকে একটি ক্ষীণ যোগসূত্র বলা যায়। বরং অন্য কানেকশনটি অনেক বেশি শক্তপোক্ত যা অনেকেই জানতেন না। স্মৃতি ২০০১ সালে বিয়ে করেন ইরানি ব্যবসায়ী জুবিন ইরানিকে। কিন্তু স্মৃতি জুবিনের প্রথম নন, দ্বিতীয় স্ত্রী। জুবিনের প্রথম স্ত্রীর নাম মোনা ইরানি। এই জুবিন এবং শাহরুখ খান ছোটবেলার বন্ধু। সেই বন্ধুত্ব যে কতটা কাছের, সেটাই সম্প্রতি জানা গেল স্মৃতির একটি ইনস্টাগ্রাম পোস্টের পরে।

স্মৃতির দুই ছেলেমেয়ে— জোহর আর জয়েশ। কিন্তু জুবিনের তিন সন্তান। মোনা ও জুবিনের সন্তান শ্যানেল স্মৃতির কাছেই থেকে বড় হয়েছেন। অর্থাৎ জুবিন ইরানির পরিবারে সেই বড় মেয়ে। ইনস্টাগ্রামে নিজের অফিসিয়াল প্রোফাইল তৈরি করার কয়েকদিনের মধ্যেই বড় মেয়ের ছবি পোস্ট করেন স্মৃতি। সেটা চোখে পড়তেই শাহরুখ খান ওই পোস্টের তলায় লেখেন, ‘আমার ছেলেবেলার বন্ধু জুবিনের মেয়ে কত বড় হয়ে গেছে এবং কী সুন্দরী হয়েছে। আমিই ওর নাম রেখেছিলাম শ্যানেল’। শ্যানেল যখন জন্মায় তখন স্মৃতি কোথাও ছিলেন না আর আজ তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের মাধ্যমেই সেই পুরনো দিনের কথা মনে পড়ে গেল শাহরুখের। জীবন সত্যিই ভারি অদ্ভুত।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn