বার্তা ডেস্ক :: ইসরাইলি গায়িকা আমাল মুরকুস। গাইলেন ফিলিস্তিনি স্বাধীনতার গান। ২৯ নভেম্বর, দিনটি ছিল ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতির দিবস। ওইদিন সন্ধ্যায় তিনি উত্তর ইসরায়েলের মোশাবের ইভেন মেনাহেম শহরের এক স্টুডিওতে যান। তৈরি করেন ফিলিস্তিনি লোকগীতি “বাহলীলাক” গাওয়ার ভিডিও। স্টুডিওর সেশনটিতে তার সম্প্রতি প্রকাশিত অপর একটি গানও পুনরায় রেকর্ড করেন মুরকুস। গানটার প্রথম রেকর্ডিং নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন না তিনি। তিনি বলেন, আমি গানের শুরুটা একইসঙ্গে উদ্যমী ও ধীর গতির করতে চেয়েছিলাম। মুরকুস যেভাব চান, সেভাবে গান গাওয়া প্রায় অসম্ভব কাজ বলে মনে হয়। কিন্তু তিনি ইসরায়েলের সেরা সংগীতশিল্পীদের একজন।
তার নতুন গান ‘দোলা’ সত্তুরের দশকে ফিলিস্তিনি কবি সামিহ আল-কাশিমের লেখা এক কবিতার ওপর ভিত্তি করে গাওয়া। সামিহর বেশিরভাগ কবিতাই আরবিতে লেখা। আগের একটি অ্যালবামেও ‘ফাত্তাহ আল ওয়ার্দ’ নামে সামিহর একটি কবিতাকে গানে রূপ দিয়েছেন মুরকুস। মুরকুসের জন্ম ১৯৬৮ সালে। তার বাবা নিমর মুরকুস ছিলেন কাফর ইয়াসিফ শহরের স্থানীয় পরিষদের প্রধান ও আল-কাসিমের বন্ধু। আল-কাসিম যখন দোলা কবিতাটি লিখেছিলেন তখন মুরকুস ছিলেন ছোট্ট এক মেয়ে। মুরকুস বলেন, আমি একবার সামিহকে এক বিক্ষোভে কবিতাটি আবৃত্তি করতে দেখেছিলাম। মানুষ মঞ্চে সামিহকে আবৃত্তি করতে দেখে উত্তেজিত হয়ে পড়ছিল। হাত নেড়ে নেড়ে বলছিল ‘ওয়াও’!
ইসরায়েলি রেডিওগুলোয় ফিলিস্তিনি শিল্পীদের গান প্রচার করা হয় না। বাধ্য হয়ে তাদের বিয়ের অনুষ্ঠানে গান গাইতে হয়। মুরকুসের মতে, এখানে সংগীতের সংস্কৃতি গড়ে তোলার কোনো সুযোগ নেই। মুরকুসের গান হিব্রু রেডিও স্টেশনগুলোয় খুব একটা সম্প্রচার করা হয় না। অবশ্য প্রকাশের পরপর আরবিভাষী মাকান রেডিও স্টেশনে কয়েকবার গানটি প্রচারিত হয়েছিল। মুরকুসের গানগুলোয় যে বর্ণনা দেওয়া হয় তা যেমন সবসময় ইসরায়েলের পক্ষে যায় না, তেমনি কয়েক বছর ধরে আরব সমাজেও তার গানগুলো আগের মতো আর সমাদৃত হচ্ছে না। ফিলিস্তিনের ইসরায়েল বয়কট আন্দোলনকারীদেরও চক্ষুশূল হয়ে উঠেছেন তিনি। করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সময় শিল্পীদের সহায়তা করতে, গত গ্রীষ্মে ফিলিস্তিনি-ইসরায়েলি শিল্পীদের একটি দল গঠন করেন মুরকুস। তবে দলটি গঠনের পেছনে আরও বড় উদ্দেশ্য ছিল বিস্তৃত পরিসরে সতীর্থদের জাগিয়ে তোলা, একত্রিত করা এবং জনগণের মধ্যে তারা কি রকম কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন সে বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তোলা।
সংবাদ টি পড়া হয়েছে :
৪৭ বার