এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু রোববার
আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ডের অধীনে ১১ লাখ ৮৩ হাজার ৬৮৬ শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে ২ এপ্রিল রোববার শুরু হচ্ছে এইচএসসি ও সমমানের (উচ্চ মাধ্যমিক) পরীক্ষা। গত বছর মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১২ লাখ ১৮ হাজার ৬২৮ জন। গত বছরের তুলনায় এবার পরীক্ষার্থী কমেছে ৩৪ হাজার ৯৪২ জন। প্রথমদিন সকালে এইচএসসিতে বাংলা (আবশ্যিক) প্রথমপত্র, সহজ বাংলা প্রথমপত্র, বাংলা ভাষা ও বাংলাদেশের সংস্কৃতি প্রথমপত্র, বাংলা (আবশ্যিক) প্রথমপত্র (ডিআইবিএস)। আলিমে কুরআন মাজিদের পরীক্ষা হবে। কারিগরিতে সকালে বাংলা-২ (১১২১) ও বিকেলে বাংলা-১ (১১১১) বিষয়ের পরীক্ষা হবে। সকাল ১০টায় পরীক্ষা শুরু হয়ে চলবে দুপুর ১টা পর্যন্ত। বিকেলের পরীক্ষা হবে ২টা থেকে ৫টা পর্যন্ত।
তত্ত্বীয় (লিখিত) পরীক্ষা শেষ হবে ১৫ মে। ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৬ মে শুরু হয়ে শেষ হবে ২৫ মে। এবার ৮ হাজার ৮৬৪টি প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষা ২ হাজার ৪৯৭টি কেন্দ্রের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে। বিদেশে সাতটি কেন্দ্রে ২৭১ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। পরীক্ষার প্রথমদিন সকাল ১০টায় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ রাজধানীর ঢাকা কলেজ এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে। এ বছর মোট ২৬টি বিষয়ের ৫০টি পত্রে সৃজনশীল পদ্ধতিতে পরীক্ষা হবে। এবার পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষা কক্ষে প্রবেশ করতে হবে। প্রথমে বহুনির্বাচনী (এমসিকিউ) পরে রচনামূলক (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা হবে। উভয় পরীক্ষার মধ্যে কোনো বিরতি থাকবে না। মোট অংশ নেওয়া পরীক্ষার্থীর মধ্যে এবার ছাত্র ৬ লাখ ৩৫ হাজার ৬৯৭ জন ও ছাত্রী ৫ লাখ ৪৭ হাজার ৯৮৯ জন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সরবরাহ করা তথ্য অনুযায়ী, এবার মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসিতে ৯ লাখ ৮২ হাজার ৭৮৩ জন, মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে আলিমে ৯৯ হাজার ৩২০ জন, কারিগরি বোর্ডের অধীনে ৯৬ হাজার ৯১৪ জন ও ডিআইবিএসে (ডিপ্লোমা ইন বিজনেস স্টাডিজ) ৪ হাজার ৬৬৯ জন। আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে ঢাকা বোর্ডে তিন লাখ ৩৬ হাজার ৬৯৩, রাজশাহী বোর্ডে এক লাখ ২৩ হাজার ৬১৬, কুমিল্লায় এক লাখ এক হাজার ৪৫০, যশোরে এক লাখ ৪ হাজার ১২৯, চট্টগ্রামে ৮৩ হাজার ১৯৩, বরিশালে ৬১ হাজার ৫৬২, সিলেটে ৬৫ হাজার ৩৬৮ ও দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে এক লাখ ৬ হাজার ৭৭২ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। এবারও দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পলসি জনিত প্রতিবন্ধী ও যাদের হাত নেই এমন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থী শ্রুতিলেখক নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। এ ধরণের পরীক্ষার্থী ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় বরাদ্দ থাকবে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন (অটিস্টিক ও ডাউন সিনড্রোম বা সেরিব্রাল পলসি আক্রান্ত) পরীক্ষার্থীদের ৩০ মিনিট অতিরিক্ত সময় ও পরীক্ষার কক্ষে অভিভাবক বা শিক্ষক বা সাহায্যকারী নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে।