একই সময়ে রাবি ও চবির ভর্তি পরীক্ষা ফাঁদে পড়ছে ভর্তিচ্ছুরা
গত বছর ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে রাবিতে ২৪ থেকে ২৭ অক্টোবর এবং চবিতে ২৩ থেকে ৩১ অক্টোবর ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষেও ৫টি ইউনিটে একই সময়ে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ফলে দুই বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করেও হাজার হাজার শিক্ষার্থীকে যে কোনো একটিতে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়। এবার এখনও পূর্ণাঙ্গ সময়সূচি ঘোষণা করা না হলেও ভৌগোলিক দূরত্বের কারণে অন্তত দু-তিন দিন সময়ের ব্যবধান না রাখলে এক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে পরীক্ষা দেয়া অসম্ভব। কয়েকজন ভর্তিচ্ছু ও তাদের অভিভাবক জানান, বড় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়ার সুযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। তাই রীতিমতো যুদ্ধ করে শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেতে হয়। এ অবস্থায় শীর্ষ চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি যদি একই তারিখে পরীক্ষা নেয়, তাহলে ভর্তিচ্ছুদের বঞ্চিত হতে হবে। এটা অনৈতিক ও কাণ্ডজ্ঞানহীন সিদ্ধান্ত। এর জন্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বেশি দায়ী বলে অভিযোগ তাদের।
রাবির উপ-রেজিস্ট্রার এইচএম আসলাম হোসেন (একাডেমিক শাখা) যুগান্তরকে বলেন, যাতে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে না মিলে যায়, সেজন্য আমরা দ্রুত তারিখ ঘোষণা করেছি। আমরা ৮ জুন ঘোষণা করেছি, তারা ১০ জুন করেছে। এখানে স্পষ্ট তাদের সিদ্ধান্ত নেয়ায় সমস্যা। আমরা এখানে দায়ী নই। আশা করি তারা তাদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করবে। জানতে চাইলে চবির রেজিস্ট্রার কামরুল হুদা যুগান্তরকে বলেন, প্রাথমিকভাবে ২২-৩০ অক্টোবর পরীক্ষা নেয়ার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। যদি অন্যদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয়, তবে অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের সভায় তা নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হবে।