একটি গল্পের কলকব্জা
মিলন আশরাফঃ গাদা গাদা উপন্যাসের চাপে ঢাকা পড়ে যায় হুমায়ূন আহমেদের ছোটগল্পের খোঁজ খবর। কিন্তু সচেতন পাঠকমাত্রই জানেন হুমায়ূন তাঁর উপন্যাসের ফাঁকির জায়গাটা পূরণ করেছেন কিছু অসাধারণ ছোটগল্প লিখে। তাঁর উপন্যাসের মতো গল্পেও বাঙালি মধ্যবিত্তের ড্রয়িং রুমের খবরাখবর ও তাদের মনস্তত্ত্বের ব্যাখ্যা মেলে। ছোটগল্পে বর্ণনাতে মুনশিয়ানার ভাব বজায় রেখেছেন তিনি। বেশ খেটেখুটে কাহিনির পরতে পরতে তিনি পুরে দিয়েছেন ছোটগল্পের চমক। তাঁর গল্প পড়ে মনে হয় তিনি গল্প লেখার চেয়ে শোনানোর পক্ষপাতি বেশি। হুমায়ূনের প্রায় গল্পে আমরা দেখি গল্প বলার প্রবণতা কিছুটা এস.টি. কোলরিজের ‘অ্যানসেইন্ট মেরিনার’ সেই বুড়ো লোকটির মতো। ওখানে বুড়ো লোকটি পথচারিদের ডেকে ডেকে গল্প শোনান। অনেকে হা হয়ে সেই গল্পে কান পাতে। কবি এস.টি. কোলরিজের মতো একই কৌশল আমরা হুমায়ূনের অনেক গল্পে খুঁজে পাই।
বিশ্বসাহিত্যে আরেক ব্যতিক্রমী ব্রিটিশ শিশুসাহিত্যিক ও ছোটগল্পকার রোয়াল্ড ডাল। তিনি ছিলেন ‘টুইস্ট ইন দ্য টেল’এর মাস্টার। গল্পের এই মোচড়-বিদ্যায় তিনি মোপাসাঁর অনুসারি। আলোচ্য লেখকের বিভিন্ন গল্পপাঠে যে কেউ রোয়াল্ড ডালের লক্ষ্যণীয় প্রভাব খুঁজে পাবেন।
হুমায়ূন যে বাঙালি মধ্যবিত্তের (কখনো কখনো উচ্চবিত্ত) মনস্তত্ত্ব ভালো বোঝেন এ বিষয়ে একই মত দেন আমাদের আরেক শক্তিশালী কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক। ‘ও বাঙালি পরিবারের পারিবারিক বিষয়টা বুঝে, ভালো ডিল করতে পারে’ (আলোচকের সঙ্গে তাঁর নিজ বাসা রাজশাহীর উজানে বসে এক সন্ধ্যায় আলাপকালে) বাংলাসাহিত্যে জনপ্রিয় পাঠকনন্দিত কথাকার তিনি। উপন্যাসে আকাশচুম্বি জনপ্রিয়তা তাঁর। বাংলাসাহিত্যে ছোটগল্পেও তাঁর আসন কম পোক্ত নয়। নিজস্ব ভাষাভঙ্গি, ছোট ছোট সংলাপে চমক বসিয়ে বৈঠকি ঢঙে সেন্স অব হিউমারের মিশেলে আশ্চর্য সব গল্প শোনান তিনি। ব্যক্তি চেতনাপ্রবাহও তাঁর গল্পে দৃশ্যমান। পাঠককে ফাঁদে ফেলে গল্পের রশিটা নিজ হাতে নাড়ান তিনি। বাঙালি পাঠক বুঁদ হয়ে শোনে তাঁর গল্প। এমন একটি গল্প ‘সালাম সাহেবের পাপ’। এই গল্পের কলকব্জা নেড়েচেড়ে আমরা দেখতে চাই, তিনি কীভাবে পাঠকের অন্তরমহলে ঢুকে পড়েন। যেকোন গল্পের শুরুটা বেশ কঠিন ও ভাবনার জায়গা। একথা অনেক মাস্টারমাইন্ড গল্পকারও স্বীকার করেন। এবার আমরা ‘সালাম সাহেবের পাপ’ গল্পের শুরুর অংশটা দেখি। মিসির আলী। হুমায়ূন সাহিত্যের একটি জনপ্রিয় চরিত্র। গল্পের শুরুতেই তাকে পাই আমরা। তিনি যেন লেখক সেজে প্রথমে ‘অবসেশন’ নামে একটি ইংরেজি শব্দের অর্থ জিজ্ঞাসা করেন। ধাঁধার মতো শুনতে লাগে শব্দটা। ব্যাস প্রথমেই পাঠককে এই একটি শব্দে আটকে ফেলেন তিনি। পাঠক যখন শব্দটির অর্থ খুঁজতে ব্যস্ত তখন তিনি আরো একটি রহস্যের খাদে ফেলে দেন। প্রধান চরিত্র মিসির আলীর মুখ দিয়ে শোনান, ‘ইংরেজি অনেক শব্দ আছে যার ঠিক বাংলা নেই। আবার অনেক বাংলা শব্দও আছে যার ইংরেজি হয় না। যেমন— ‘অভিমান’। (গল্পসমগ্র, সালাম সাহেবের পাপ, পৃ.৬৭৬) এমন একটি তথ্য পেয়ে পাঠকরা খুশি হয়ে ওঠে। হুমায়ূনের গল্প-উপন্যাসে এমন তথ্য অহরহ মেলে। তাঁর লেখনিতে এটি একটি আলাদা সংযোজন। উক্ত গল্পে এই জায়গায় এসে পাঠক যখন ডিকশনারি ঘাটতে উদ্যত হয়, ঠিক তখন তিনি কাহিনি অন্যদিকে ঘুরান। গল্পের দ্বিতীয় চরিত্র বলে ওঠে, ‘ভাষাতত্ত্ব থাকুক, আপনার শরীর কেমন বলুন?’ পাঠকের মুড পরিবর্তন হয়ে যায়। বলা যেতে পারে পাঠককে নিয়ে তিনি খেলায় মাতেন। এরপর গল্পে তিনি মনস্তত্ত্বের একটি খবর দেন পাঠককে। হুমায়ূনের লেখা পড়ে যারা অভ্যস্ত তারা জানেন মিসির আলী মানেই লজিক চরিত্র। আর হিমু অ্যান্টি লজিক। লজিক্যাল চরিত্র মিসির আলী মনস্তত্ত্বের ছোট একটা ব্যাখ্যা শুনিয়ে পাঠকের ভাবনার জায়গা তৈরি করে গেড়ে বসেন। সরাসরি গল্প থেকে—
মিসির আলী বললেন, ‘শরীর সেরে গেছে এইজন্যে মনটা সামান্য খারাপ।’
‘শরীর সারায় মন খারাপ কেন?’
মিসির আলী বললেন, ‘শরীর যখন খুব খারাপ থাকে, তখন মনের অবস্থার কিছু পরিবর্তন হয়। ঘোরলাগা ভাব তৈরি হয়। এই অবস্থাটা আমার পছন্দের। ঘোরলাগা অবস্থায় কোনো কিছু ভাবতে ভালো লাগে।’
এমন একটি মনস্তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা পেয়ে পাঠক নড়েচড়ে বসে মনে মনে যেন আওড়ান, ‘ও তাই বুঝি’। মানসিক এই অবস্থান থেকে পাঠককে তিনি দ্রুত সরিয়ে ফেলেন কিছু হাস্যরসাত্মক বাক্যবাণে। কিছু উদ্ভট কথাবার্তাও চালাচালি হয় গল্পের দুই চরিত্রের মধ্যে। একে অন্যকে শীতের মধ্যে ধানমণ্ডি লেকের নোংরা পানিতে ডুব দিতে বলে। মিসির আলী ‘খারাপ হয় না’ বলে রাজিও হয়। কিন্তু যেহেতু মিসির আলী লজিক চরিত্র তাই গল্পে তিনি এই কাজটি করেন না। হিমু হলে তাকে পানিতে নামতে দেখতাম সত্যি সত্যিই। ‘আপনাকে একজন মানুষের ছবি দেখাব’ একটি মাত্র বাক্যে আবারও উৎসুক করে আটকে নেয় পাঠককে। গল্পে মনোনিবেশ আসে। ছবির বর্ণনাতে পায়। গল্পকারের ভাষায়, ‘আমার হাতে একজন বুড়ো মানুষের সাদাকালো ছবি। মাথাভর্তি আইনস্টাইনের মতো চুল। সব চুল সাদা। বড় বড় চোখ। তিনি ভুরু কুঁচকে তাকিয়ে আছেন।’
মিসির আলী বললেন, ‘ছবি দেখে লোকটাকে কেমন মনে হচ্ছে?’
‘ভালোমানুষ মনে হচ্ছে।’
‘ভালোমানুষ মনে হচ্ছে কেন? চোখ বড় সেই জন্যে? সরু চোখের মানুষরা ভালো হয় না? সব জাপানি কি খারাপ?’
মানুষের চেহারার গড়ন দেখে ভালোমন্দের বিচার। বাড়তি এসব তাঁর গল্পের পাঠকের ভালো লাগার বাড়তি জায়গা। এরপর আমরা জানতে পারি ছবির এই মানুষটির নাম সালাম। সে কৃষি ব্যাংকের কর্মকর্তা ছিল। এখন রিটায়ার। ভালোমানুষ গোছের। দুই ছেলে এক মেয়ে এবং স্ত্রী নিয়ে তার সুখের সংসার। তাকে নিয়েই গল্প ফেঁদেছেন গল্পকার। ছবিটি ধরিয়ে দিয়েছেন মিসির আলীর হাতে। শুরুতে অবসেশন শব্দের যে ধাঁধায় ফেলেছিলেন গল্পকার। জানা গেল এই ব্যক্তিটির অবসেশন আছে। এবং সেটা ভয়াবহ রকমের। সেই অবসেশনের গল্পটা শোনাতেই এখন বদ্ধ পরিকর মিসির আলী। কিন্তু শোনানোর আগে তিনি বিপদের সামনে দাঁড় করিয়ে দেন পাঠককে। গল্পের ভাষায়—
‘… তাঁর অবসেশনের গল্পটা শুনবেন?’
‘শোনার মতো হলে শুনতে পারি।’
‘শোনার মতো তো বটেই, তবে ছোট্ট সমস্যা আছে।’
‘কী সমস্যা?’
‘ভদ্রলোকের গল্প শুনলে তাঁর অবসেশন আপনার ভেতরে ঢুকে যেতে পারে। তার ফল শুভ হবে না।’
‘গল্পটা বলুন।’
গল্পের এই পর্যায়ে এসে বৈঠকি ঢঙ নিয়ে আসেন গল্পকার। মিসির আলীকে চায়ের ইন্তেজাম করতে বললেন। অন্য চরিত্রকে খাটে পা উঠিয়ে আরাম করে বসার ব্যবস্থা করলেন। চা বানানো শেষ হলে গল্প বলা শুরু করলেন খাটে হেলান দিয়ে। সময় রাত নয়টা। গল্পটা জমাতে বৃষ্টি নামালেন। এরপর শুরু হল সালাম সাহেবের পাপের গল্প। কৌশলি গল্পকার বৃষ্টির ফাঁদ পাতলেন এই কারণে যে, সালাম সাহেবের অবসেশনের রোগটা চেপেছিল এমন একটি বর্ষামুখর রাতে। টিভিতে নাটক দেখতে দেখতে তিনি বারান্দায় চলে যান হঠাৎ। তার স্ত্রী মহল বারান্দায় গিয়ে দেখেন সালাম সাহেব বেতের চেয়ারে পাথরের মূর্তির মতো বসে আছেন। স্ত্রীকে দেখে অশ্রুসিক্ত চোখে আকস্মিকভাবে বলেন, ‘মহল, আমি আমার জীবনে ভয়ংকর একটা অপরাধ করেছি। অপরাধের প্রায়শ্চিত্ত করা দরকার। আমি কাল থেকে প্রায়শ্চিত্ত শুরু করব।’
এমন এক স্বীকারোক্তিকে পাঠকরাও ঘাবড়ে যান। জানতে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। গল্প থেকে চোখ সরানো দায় হয়ে যায়। তার স্ত্রীর সঙ্গে পাঠকেরাও যোগ দিয়ে একে একে প্রশ্ন করতে থাকে সালাম সাহেবকে। মহল জেরা করে তার স্বামীকে। অফিসের টাকাপয়সা, কোনো মেয়ের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক। এসব প্রশ্নের প্রতিটির উত্তরই ‘না’। পাঠকের মাথায় এমন এক উৎসুক প্রশ্ন ঘোরেফেরে। আটকে যায় গল্পের ভেতর। মহল কিছুটা স্বস্তি নিয়ে ঘুমাতে গেলেও মাঝরাতে ঘুম ভেঙে গেল তার। ঘুম থেকে উঠে তিনি দেখলেন সালাম সাহেব শোবার ঘরের কাঠের চেয়ারে জবুথবু হয়ে বসে আছেন। তার স্ত্রী আবারও প্রশ্নবানে আহত করলে তিনি জানান, ‘পাপটা মাথায় ঘুরছে। ভয়ংকর একটা পাপ করেছি মহল।’সালামের স্ত্রী এবার নাছোড়বান্দা হয়ে যান। পাপটা জানতে না পেরে অস্থির হয়ে ওঠেন। সেটা সংক্রমিত হয়ে পাঠকের ভেতরও ছড়িয়ে দেন গল্পকার। সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়ে সালামের পাপটা কী এটা জানতে। গল্পের স্বার্থকতা এখানেই। পাঠককে গেঁথে নিয়ে আরও কিছুদূর এগোন তিনি। সালাম সাহেবকে সাইকিয়াট্রিস্ট দেখান। আলাদা ঘরে থাকার ব্যবস্থা করেন। সাইকিয়াট্রিস্ট রোগটার নাম বলেন ‘অ্যাকিউট অবসেশন’। সাইকিয়াট্রিস্ট জানান, বিষয়টা মাথার ভেতর গেঁথে গেছে। এই রোগ সারাতে হলে পাপটা কী তা জানতে হবে? ওদিকে সালাম সাহেবও কিছুই বলছেন না পাপের বিষয়ে। স্ত্রী তবুও হাল ছেড়ে দেন না। এবার কিছু আপত্তিকর প্রশ্ন ছুঁড়ে মারেন সালামের দিকে। যেমন, বাসার কাজের মেয়ের সঙ্গে কিছু? কিংবা সমকামী সংক্রান্ত কোনো সমস্যা? এসব কিছুতেও কোনো হিল্লা হলো না সালাম সাহেবের। তারা দু’জনই এলেন মিসির আলীর কাছে বিষয়টার একটা রফা করতে। গল্পকার এখানে মিসির আলীকে দিয়ে পাপের ব্যাখ্যা দিলেন অল্পবিস্তর। যেটা হুমায়ূনের গল্পের আরেকটা বৈশিষ্ট্য। পাঠককে তিনি এরকম কিছু ব্যাখ্যা দেন মিসির আলীকে নিয়ে লেখা প্রায় সব গল্পেই। লেখকের বর্ণনায়—
আমি বললাম, ‘ভাই পাপের ডেফিনেশন কী? কোনটাকে আপনি পাপ ভাবেন?’
তিনি বললেন, ‘যেটা ইমমোরাল সেটাই পাপ।’
আমি বললাম, ‘সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মোরালিটি বদলায়। একটা সময় ছিল যখন বিবাহ নামের ইনস্টিটিউশন তৈরি হয়নি। তখন যেকোনো ছেলে যেকোনো মেয়ের সঙ্গে ঘুমুতে পারত। কেউ বিষয়টাকে ইমমোরাল ভাবত না। এখন ভাবে।’
গল্পের শেষ পর্যায়ে এসে মোক্ষম আরেকটা কোপ বসান গল্পকার। সালাম সাহেবকে গ্রামের বাড়ি পাঠিয়ে দিয়ে গভীর রাত পর্যন্ত বাড়ির সামনে কাঁঠাল গাছের নিচে পাটি পেতে বসিয়ে দেন। সঙ্গে খাওয়া দাওয়া দেন বন্ধ করে। এমন একটা অবস্থায় মিসির আলীর মাধ্যমে জানান, ‘গল্প শেষ’ গল্পের দ্বিতীয় শ্রোতা রেগেমেগে অস্থির। গল্পের ক্লাইমেক্স বৃদ্ধিতে এই কৌশল আঁটা গল্পকথকের। সবার জিজ্ঞাসা যেন জেনে ফেলেছেন গল্পকার। তিনি দ্বিতীয় চরিত্রসহ আমাদেরকে দিয়ে বলান, ‘গল্প শেষ মানে? সালাম সাহেবের কী হলো? উনি পাপটা কী করেছেন বলবেন না?’ গল্পকার এবার মিসির আলী সেজে গল্পের টুইস্টটা ছেড়ে দিলেন। তাঁর ভাষায়—
মিসির আলী হাই তুলতে তুলতে বললেন, ‘সালাম সাহেবের বিষয়ে আমি কিছু জানি না। তবে পাপটা কী সেটা মনে হয় জানি। অসুস্থ অবস্থায় যখন বিছানায় পড়েছিলাম তখন চিন্তা করে বের করেছি।’
আমি বললাম, ‘বলুন শুনি।’
মিসির আলী বললেন, ‘আমি গল্পের শুরুতেই বলেছিলাম সালাম সাহেবের গল্পটা না শোনা ভালো। শুনলে এই গল্প মাথায় ঢুকে যাবে। এখন তাই হয়েছে। গল্পটা আপনার মাথায় ঢুকে গেছে। এই গল্প মাথায় নিয়ে আপনাকে বেঁচে থাকতে হবে। অসংখ্যবার আপনার মনে হবে, সালাম সাহেব পাপটা কী করেছিলেন? উত্তর পাবেন না।’ চরম এক বিরক্তি নিয়ে গল্পহীন এই গল্পের শেষটা আপনাকে ভাবাবে ভীষণ। ছটফটানি লাগবে এমন এক ফিনিশিংয়ে। রেশ থেকে যাবে দীর্ঘদিন। গল্পকারের গল্পের এই জায়গাটাতেই আসল কেরামতি। পাঠকের ভেতর বাড়িতে ঢুকে মগজে গল্প চালান করে দেবার অসাধারণ ক্ষমতা তাঁর। গল্পের জাদুতে মোহিত করে বন্দি করতে পারেন মুহূর্তেই। স্বার্থক গল্পকার হয়ে পাঠকের মাঝে তাই তিনি এখনো যাদুকর কথাকার হিসেবে আসন অলঙ্কৃত করে আছেন।