একটি গোষ্ঠী শিক্ষার্থীদের উত্তেজিত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে: জয়
একটি গোষ্ঠী অনলাইনে মিথ্যা তথ্য ও আগের ছবি পোস্ট করে শিক্ষার্থীদের উত্তেজিত করারচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। গতকাল ফেসবুকে নিজের ওয়ালে দেয়া স্ট্যাটাসে তিনি এ মন্তব্য করেন। একইদিন অপর একটি পোস্টে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর ফোনালাপ নিয়ে একটি টেলিভিশনের সংবাদ শেয়ার করে তিনি বলেন, এই নিন বিএনপির শিক্ষার্থীদের আন্দোলন থেকে ফায়দা নেয়ার অপচেষ্টার দ্ব্যর্থহীন প্রমাণ। এই ফোনালাপ থেকে জানা যাচ্ছে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আমীর খসরু তাদের নেতাকর্মীদের দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন নিজেদের লোকজন নিয়ে এই আন্দোলনে যোগ দেয়ার জন্য। বলছেন- ফেসবুক সহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে বেশি বেশি করে অপপ্রচার চালানোর কথাও। এর আগে দেয়া স্ট্যাটাসে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, নিরাপদ সড়কের জন্য শিক্ষার্থীদের সকল দাবিই আমাদের আওয়ামী লীগ সরকার মেনে নিয়েছে এবং ইতিমধ্যেই বাস্তবায়নও শুরু করে দিয়েছে।
পুলিশকে নির্দেশনা দেয়া ছিল অত্যন্ত ধৈর্য ও সহনশীলতার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে। তারপরও আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, আজকে কোটা সংস্কারের তথাকথিত নেতারা ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন, কোটা ইস্যুতে নয়, কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর আক্রমণের মিথ্যা অভিযোগের বিরুদ্ধে। কোটা সংস্কারের সকল দাবিই আমাদের সরকার মেনে নিয়েছে এবং ইতিমধ্যেই একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, অন্যদিকে বিএনপি আজকে বলেছে যে, এটি সরকার পতনের আন্দোলনের শুরু। সবকিছু মিলিয়ে বোঝা যাচ্ছে, নিজেদের দাবির জন্য জনসমর্থন হারিয়ে বিএনপি-জামায়াত এখন আবারো নাশকতা ও সহিংসতার পথ বেছে নিয়েছে। অনলাইনে মিথ্যা তথ্য ও ছবি ছড়িয়ে শিক্ষার্থী ও তরুণদের বিভ্রান্ত করতে তারা তৎপর। কোটা ইস্যুর সমাধানের পরেও তাদের তথাকথিত নেতাদের এই কর্মসূচি দেখে আমি চিন্তা করতে বাধ্য হচ্ছি, তাদের সঙ্গে বিএনপি-জামায়াতের অর্থনৈতিক কোনো সমঝোতা হয়নি তো? কারণ বিষয়টি কাকতালীয় বলে উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না। শুধুমাত্র সাধারণ মানুষেরই ভোগান্তি বাড়ছে।