বার্তা ডেস্ক:: গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, সরকার এখন দেউলিয়া হয়ে গেছে। অর্থনৈতিক মন্দায় পড়ে তারা এখন রিকশাচালকের অর্থ নিয়ে তহবিল করতে চায়। সরকার পতন হওয়ার চূড়ান্ত পর্যায়ে এসেছে। এখন শুধু ধাক্কা দিলেই সরকার পতন সম্ভব। শনিবার বিকালে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। যৌথভাবে এ সমাবেশের আয়োজন করে ভাসানী অনুসারী পরিষদ, ছাত্র-যুব ও শ্রমিক অধিকার পরিষদ, রাষ্ট্রচিন্তা এবং গণসংহতি আন্দোলন। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, সবার মিলিত সংগ্রাম যদি ঐক্যবদ্ধ থাকে তাহলে সরকার পালানোর পথ পাবে না। ১৫ দিনের মধ্যে তাদের পতন হবে। তাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে জোরাল লড়াই করতে হবে। জনগণের সরকার যদি গঠন করা হয় তাহলে অর্ধেক মূল্যে শিক্ষা, চিকিৎসা, মানবাধিকারের সবকিছু প্রতিষ্ঠা করা হবে।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, একটা নির্বাচনকালীন সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। নির্বাচন দিতে হবে। এদের পায়ের তলার মাটি খসে যাচ্ছে। এরা ত্রাস সৃষ্টি করে ভয় দেখায়। আসলে এরা নিজেরাই ভয়ে আছে। একদিন জনগণ এই সরকারকে বিচারের আওতায় আনবে। রাষ্ট্রচিন্তার সদস্য ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হাসনাত কাইয়ুম বলেন, সরকার মানুষকে বিভক্ত করছে। এরা বিভাজনের রাজনীতি করছে। ডাকসুর সদ্য বিদায়ী ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, আমরা কোটা আন্দোলনে জয়লাভ করেছি, আমরা নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে ছিলাম, এখন আমাদের রাষ্ট্র সংস্কার করতে হবে। সরকার সাম্প্রদায়িকতা ছড়াচ্ছে। সরকার ভয়ংকর খেলা খেলছে। সাম্প্রদায়িক শক্তির সঙ্গে নতুন নতুন আঁতাত করছে। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন- গণসংহতি আন্দোলনের রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য ও শ্রমিক নেতা তাসলিমা আখতার, গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভুইয়া, ভাসানী পরিষদের নেতা ইউনুস মৃধা, রাষ্ট্রচিন্তার সদস্য দিদারুল ইসলাম ভুইয়া, যুব অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক মো. আতাউল্লাহ, ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক রাশেদ খান এবং বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মোস্তফা প্রমুখ। ভাসানী পরিষদের মহাসচিব রফিকুল ইসলাম বাবলু সমাবেশের লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। ডিএস
সংবাদ টি পড়া হয়েছে :
৬০ বার