আসন্ন ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটের আকার হবে চার লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকার। সোমবার বিকেলে সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ঢাকা চেম্বার ডিসিসিআইয়ের সভাপতি আবুল কাসেম খানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে প্রাক বাজেট আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। অর্থমন্ত্রী বলেন, ব্যাংকিং খাতের অবস্থা যতটা খারাপ বলা হচ্ছে ঠিক তত খারাপ নয়। তবে ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণটা একটু বেশি। এক্ষেত্রে সরকারি ব্যাংকগুলোয় খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১৩ শতাংশ আর বেসরকারি ব্যাংকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১১ শতাংশ বলেও জানান অর্থমন্ত্রী। তবে সরকারের প্রয়োজনে সরকারি ব্যাংকগুলোকে অনেক ঝুঁকিপূর্ণ জায়গায় বিনিয়োগ করতে হয়।অর্থমন্ত্রী বলেন, সব সময় সঞ্চয়পত্রের সুদের হার আকর্ষণীয় রাখা হয়। তবে বর্তমান বাজারে ঋণের সুদের চেয়ে সঞ্চয়পত্রের সুদের হারের মধ্যে পার্থক্য অনেক বেশি হয়ে গেছে। এটা রিভিউ করা উচিত। তিনি জানিয়েছেন, এটা এক ধরনের সামাজিক নিরাপত্তা হিসেবে কাজ করে তাই এতে বিনিয়োগকারী নিম্ন আয়ের মানুষদের বিষয়টিও বিবেচনা করতে হবে।অর্থমন্ত্রী জানান, সরকারি আমানত বেসরকারি ব্যাংকে রাখলে সেক্ষেত্রে ৭ থেকে ৯ শতাংশ সুদ দিতে হবে। এর কমে ব্যাংকগুলো পারবে না।এ সময় অর্থ সচিব মুসলিম চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn