ঝিনাইদহে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য খালেদা খানমের মেয়ে সোহেলি আহম্মদকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সাজেদুর রহমান পপ্পুর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় সোহেলীর স্বামী বিল্লাল হোসেন লিটন বাদী হয়ে ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেছেন। সোহেলীর ১০ বছরের একটি কন্যাসন্তান এবং সাজেদুর রহমান পপ্পুর স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে। স্থানীয় সূত্র জানায়, ঝিনাইদহ-মাগুরা সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য খালেদা খানমের মেয়ে সোহেলি আহম্মেদ শহরের ৩ নম্বর পানির ট্যাংকিপাড়ায় মায়ের বাসায় থাকতেন। প্রতিবেশী জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সাজেদুর রহমান পপ্পুর সঙ্গে তার পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ১১ আগস্ট সন্ধ্যায় থেকে তারা নিখোঁজ রয়েছেন।
এ ঘটনার পর সোহেলীর স্বামী বিল্লাল হোসেন লিটন বাদী হয়ে সাজেদুর রহমান পপ্পু ও একই এলাকার তৌফিক হোসেনের নাম উল্লেখ করে ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় উল্লেখ করা হয়, বেশ কয়েকদিন ধরে সোহেলীকে আসামিরা উত্ত্যক্ত করাসহ বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখিয়ে আসছিলেন। ১১ আগস্ট সন্ধ্যায় তারা সোহেলীকে অপহরণ করে নিয়ে যান।
এদিকে এ ঘটনার পর এমপি খালেদা খানম তার ফেসবুকে লিখেছেন, ‘গভীর ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে আমার পেছনে। নবীজির আমল থেকে যুগ যুগ ধরেই এই ষড়যন্ত্র চলে আসছে। বঙ্গবন্ধুর পরিবারের প্রতিও ষড়যন্ত্র হয়েছিল, যার ফল ১৫ আগস্ট। যারা আমাকে সামাজিক, রাজনৈতিক, পারিবারিকভাবে হেনস্তা করার জন্য এমন নোংরা কাজে লিপ্ত হয়েছেন, মনে রাখবেন আল্লাহ একজন আছেন যিনি সব দেখেন এবং ভালো মন্দের বিচারও তিনিই করবেন। ষড়যন্ত্রকারীদের কখনোই ভালো হয় না।’ সোহেলীর স্বামী বিল্লাল হোসেন লিটন বলেন, ‘ছয়দিন হয়ে গেলেও আমার স্ত্রীকে পুলিশ উদ্ধার করতে পারেনি। তাকে দ্রুত উদ্ধার ও অপহরণকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাই।’
এ বিষয়ে সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি খালেদা খানমের সঙ্গে মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। ঝিনাইদহ সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এমদাদুল হক বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে তাদের অবস্থান নিশ্চিত করে অভিযান চালানো হবে। তবে এটি অপহরণ নাকি প্রেমের সম্পর্কের জেরে স্বেচ্ছায় বাড়ি ছেড়েছেন, সোহেলীকে উদ্ধারের পর তার জবানবন্দিতে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
সংবাদ টি পড়া হয়েছে :
৮২ বার