বার্তা প্রতিবেদকঃ এরা সুনামগঞ্জ আওয়ামীলীগ। এরা বঙ্গবন্ধুর কথা বলে । এরা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কথা বলে। এরা দলের সব পদ ভাগ ভাটোয়ারা করে বাড়ীতে নিয়ে যায়। এরা আওয়ামীলীগের মাথায় কাঠাল ভাঙ্গে। এরা সুনামগঞ্জ আওয়ামীলীগকে কোনঠাসা করে রাখে। এরা ১৫ আগষ্ট জীবিত বঙ্গবন্ধুকে মারার পর যারা মিষ্টি বিতরন করেছে তাদের বংশধর। এদের বংশের পূর্বসূরীরা স্বাধীনতা যুদ্ধ সময়ে নতুনপাড়ার সব হিন্দুবাড়ি দখলে নেয়। এদের বংশধরেরা দেশ স্বাধীন হবার পর জেল কাটে । পাকবাহীনিকে সহযোগীতা করায় এরা চিহ্নত। নাম না বলে ১৫ আগষ্টের মিষ্টি বিতরকারী বললে এদের গায়ে ফোঁস্কা ঊঠে। তেড়ে আসে। ৭১ এর পরাজিত শত্রুর উত্তরাধিকার বললে সবাই চিনে। নাম বলতে হয়না। সুনামগঞ্জের মানুষ জেনে যায়। এরা ভাস্কর্য ভাঙ্গা নিয়ে মায়াকান্না করে। এরা এখন ক্ষমাতাসীন দলের হর্তাকর্তা। এরা আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীকে বৃদ্ধা আঙ্গুল প্রদর্শন করে। এরা এখন মুক্তিযোদ্ধের পক্ষে বলে।
এদের কেউ কেঊ নির্বাচনের আগে জামাত বিএনপির পিছনে লাইন দেয়। এরা বিএনপি ক্ষমতায় চলে আসে চিন্তায় দু’নৌকায় পা রাখে। এরা নির্বাচনে বিএনপির নেতা নাসির চৌধুরীকে বাড়ী গাড়ী দিয়ে সাহায্য করে। পরাজিত হবার পর ছিনিয়ে নেয়। এই সব সুবিধাবাদীরা এখন মন্ত্রীকে ফুল দেয়। মন্ত্রীর সভায় প্যান্ডেল তৈরি করে দেয়। ভাড়া করে মানুষ আনে। এরা দলের গত কাউন্সিলে নেতাদের বগলে স্থান নেয়। এমপিকে দাওয়াত খাওয়াতে চায়। বাগে আনার চেষ্টা করে। সুবিধা নিতে চায়। এদের চেহারা সবাই চিনে। এরা এখন এই নেতার। তখন সেই নেতার। এদের কোন দল নেই। টাকা আছে। এরা নেতা কিনে। মন্ত্রী কিনে। এরা মিডিয়া কন্ট্রলকরে। চামচা পোষে। চামচারা এদের পক্ষে প্রোপাগান্ডা করে। অন্যকে অপমান, অপদস্ত করে। নেতার কুত্তাকে বিস্কিট দিয়ে যারা আওয়ামীলীগ নেতা হয়। মন্ত্রী হয়। সেই সব নেতা এদের সমীহ করেন। এরা নেতাকে তোষামোদি করে।
এরা কারো নামে প্রতিষ্টিত কলেজে অর্থ দেয়। বিল্ডিং বানিয়ে দেয়। বিনিময়ে পাথর কোয়ারি খেয়ে কোটিকোটি টাকা কামিয়ে নেয়। এরা বিশ্ববিদ্যালয়ের জায়গা নিয়ে বাজিকরি করেতে চায়। বিশ্ববিদ্যালয় যখন তাদের জায়গায় প্রতিষ্টা করতে পারেনা তখন বিষোদগার করে। বিশ্ববিদ্যালয় সুনামগঞ্জবাসীর। দক্ষিন সুনামগঞ্জের নয়। যারা এ কথা বলে এরা তাদের গালিদেয়। এরা নিজেরা সদরের জনপ্রতিনিধি হয়ে অন্যের দালালি করে। ৭১ সালে এদের কেউ নাকি তেমনি করেছিলো। এরা পূর্ব পুরুষের পদাঙ্কন অনুসরন করে। এরা মিডিয়ায় কিছু দালাল সৃষ্টি করে। এদেরকে ঘাটাতে কেউ চায় না। এরা ভয়ংকর। ক্ষমতাসীন নেতারা গদীতে বসে বুঝতে পারছেন না। তারা হুমায়ুন চত্বরে চক্ষর খাচ্ছেন। পরে গোনে বুঝবেন মোট কতো চক্ষর হলো। অতীতে এরা দলের দ্বন্দ্ব কাজে লাগিয়ে মন্ত্রীকে বিক্রি করে খেয়েছে। এখন তেমনি একই কারনে মন্ত্রীকে বিক্রি করতে চায়।
ভাস্কর্য নিয়ে সরকার ও দল কৌশলী ভুমিকায় আছে। প্রধানমন্ত্রী চান ভাস্কর্য হোক, তবে ধর্মভীরু মানুষের বিপক্ষে গিয়ে নয়। আমাদের ভাবতে হবে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের মতের বিপক্ষে গিয়ে সরকারের মুখোমুখি তাদেরকে দাড় করানো যাবে না। ভাস্কর্য নিয়ে দলের হয়ে দলের বিরুদ্ধে মানুষকে ক্ষেপানোর বক্তব্য কেউ রাখতে পারেন না। সত্যিকার বঙ্গবন্ধু প্রেমি হলে সংবর্ধনা নয় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙ্গার প্রতিবাদে সভা করা উচিত। বৈশ্বয়ীক মহামারী করোনা কালীন সময়ে সামাজিক দূরত্বের গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। সেখানে বেআইনী ভাবে প্রশাসন নিয়ে জঠলা পাকানো হচ্ছে । দায়িত্বশীলদের বেআইনী কাজ সত্যি লজ্জাস্কর। কবে আমাদের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে?
সংবাদ টি পড়া হয়েছে :
১,১৫৬ বার