এশিয়ায় করোনা সংক্রমণ সূচকের শীর্ষে বাংলাদেশ
পুরো এশিয়া মহাদেশে করোনা সংক্রমণ সূচকের একনম্বর দেশ এখন বাংলাদেশ। জনতত্ত্ব-ঘনবসতি ও আক্রান্তের হার বিশ্লেষণ করে সংক্রমণের এ সূচক নির্ধারণ করা হয়। চলতি মে মাসের শুরুর দিকে এশিয়ার সংক্রমণ সূচকে শীর্ষে ছিল ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপিন। সপ্তাহখানেক আগে পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোকে হটিয়ে দেয় শীর্ষে পৌঁছায় পাকিস্তান। এরপর দুদিন আগে সংক্রমণের হারের সূচক তালিকার শীর্ষ ওঠে আসে ভারত। দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম দেশটিকে সোমবার টপকে গিয়ে সংক্রমণ সূচকের শীর্ষে পৌছে গেল বাংলাদেশ। প্রতিবেশি দেশগুলোর কয়েক সপ্তাহ পরে গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে শনাক্ত হয়েছিল প্রথম করোনা রোগী। এরপর পর্যায়ক্রমে বাড়তে শুরু করে আক্রান্তের সংখ্যা । গত একসপ্তাহে দেশে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা পাঁচশ’র নিচে নামেনি। সোমবার দেশে প্রথমবারের মতো করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা হাজার (১,০৩৪ জন) পেরিয়ে যায়। এশিয়ার করোনা আক্রান্ত দেশের তালিকায় ভারত, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন ও সিঙ্গাপুরের চেয়ে এখন বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণের হার বেশি।
করোনা মহামারির আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের তালিকায় প্রাণঘাতি ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যায় বাংলাদেশের অবস্থান ৩৪তম। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যায় পেছনে ফেলেছে ইউক্রেন ও রোমানিয়াকে। আক্রান্তের সংখ্যার ভিত্তিতে এশিয়ায় বাংলাদেশের অবস্থান দশম । আক্রান্তের সংখ্যায় দক্ষিণ এশিয়ার দুই দেশ ভারত ( আক্রান্ত রোগী ৬৭ হাজার ৭২৪ জন) ও পাকিস্তান (আক্রান্ত রোগী ৩০ হাজার ৯৪১ জন) অনেক পেছনে থাকলেও এশিয়ার অর্ধশতাধিক দেশের উপরে বাংলাদেশের অবস্থান। করোনা শনাক্তের পরের দিনগুলোতো আক্রান্তের ধারাবাহিক সংখ্যা, জনসংখ্যার ঘণত্ব ও শনাক্তকরণের পরীক্ষার সংখ্যা নিয়ে তৈরি করা করোনা আক্রান্তের সূচকে সোমবার ভারত ও পাকিস্তান থেকে এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ। ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রক থেকে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, দেশটিতে সোমবার পর্যন্ত করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৬ লাখ ৭৩ হাজার ৬৮৮ জনের। তাদের মধ্যে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ৬৭ হাজার ২৫৯ জন। সংক্রমণের (করোনা পজিটিভ) হার ৪ দশমিক শূন্য এক শতাংশ। পাকিস্তানে ২ লাখ ৯৪ হাজার ৮৯৪ জনের মধ্যে করোনা পজিটিভ ৩০ হাজার ৯৪১ জনের। সংক্রমণের হার ১০ দশমিক ৪৯ শতাংশ। বাংলাদেশে সোমবার পর্যন্ত এক লাখ ২৯ হাজার ৮৬৫ জনের পরীক্ষা করা হয়েছে। আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ১৫ হাজার ৬৯১ জন। দেশে করোনা সংক্রমণের হার ১২ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ। এটিই এখন এশিয়ায় সর্বোচ্চ সংক্রমণের হার।