এসিডদগ্ধ এক তরুণীর হার না মানার গল্প ‘রূপ’
বিনোদন প্রতিবেদক : বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এসিড সন্ত্রাস একটি ভয়াবহ সামাজিক সমস্যা। ১৯৯৯-২০১৭ সাল পর্যন্ত দেশে এসিড সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটেছে ৩৩৬৪টি। এসব ঘটনায় ৩৭১২ জন নারী আক্রান্ত হয়েছেন। দেশে এই অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ডের বিধান থাকলেও ৯৭ ভাগ অপরাধীই শাস্তির আওতায় আসেনি। বিষয়টি ভাবিয়ে তোলে তরুণ নির্মাতা ভিকি জাহেদকে। যিনি এর আগে মোমেন্টস, মায়া, অবিশ্বাস, দেয়াল, অক্ষর, দূরবীন ও বীর স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রগুলো নির্মাণ করে দারুণ প্রশংসা অর্জন করেছেন। তার প্রতিটি স্বল্পদৈর্ঘ্যেই একটি সমাজ সচেতনের বার্তা থাকে। এবারও সেটার ব্যতিক্রম হয়নি। এসিডদগ্ধ এক তরুণীর গল্প নিয়ে তৈরি করলেন স্বল্পদৈর্ঘ্য ‘রূপ’। শনিবার (২০ মে) রাতে টাইগার মিডিয়ার অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে স্বল্পদৈর্ঘ্যটি মুক্তি পেয়েছে।
‘রূপ’-এ দেখা যায়, রাবেয়া নামের এক তরুণী এলাকার এক তরুণের দ্বারা এসিড সন্ত্রাসের শিকার হয়। এতে রূপসী রাবেয়ার মুখের একপাশ ঝলসে যায়। কিন্তু সমাজের অন্যান্য এসিডদগ্ধ নারীর মত নিজেকে গুটিয়ে নেয়নি রাবেয়া। তাহলে কি করে সে? জানতে হলে দেখতে হবে পুরো ‘রূপ’। ‘রূপ’-এ অভিনয় করেছেন টিভি পর্দার এ সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মুমতাহিনা টয়া ও নবাগত সাগর। পরিচালনা ছাড়াও ‘রূপ’-এর গল্প ও চিত্রনাট্য লিখেছেন ভিকি জাহেদ। এ প্রসঙ্গে ভিকি জাহেদ বলেন, ‘রূপ’ হচ্ছে সৌন্দর্যের গল্প। সৃষ্টির আদিকাল থেকেই পৃথিবীতে শারীরিক ও মানসিক সৌন্দর্যের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। ‘রূপে’ সে দ্বন্দ্বের গল্পকেই এক নতুন আঙ্গিকে দর্শকদের সামনে উপস্থাপন করা হবে। ব্যতিক্রমী এই চরিত্রে অভিনয় প্রসঙ্গে টয়া বলেন, আমি প্রচুর স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের অফার পাই। কিন্তু গল্প ভালো না লাগায় সবার কাজ করা হয় না। ‘রূপ’ আমার দ্বিতীয় স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। এর গল্প অসাধারণ। রূপে আমার মুখ ঝলসানো থাকে। এই প্রথম এমন চরিত্রে কাজ করছি। নিঃসন্দেহে এই গল্প দর্শকদের ভালো লাগবে।
এস বি ফুড এর ব্যানারে নির্মিত ‘রূপ’ প্রযোজনা করছেন খলিলুর রহমান এবং সহ-প্রযোজক হিসেবে আছে টাইগার মিডিয়া। এটি এইড বাংলাদশে এর একটি উদ্যোগ। এতে চিত্রগ্রাহক হিসেবে ছিলেন বিদ্রোহী দীপন, সম্পাদনায় আছেন সাইফ রাসেল ও সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন মাহামুদ হায়াৎ অর্পণ। ‘রূপ’ একটি মোশন ভাস্কর নির্মাণ।