আব্দুল আহাদ আরও বলেন এরপর স্বামীর সঙ্গে কথা বলিয়ে বাপ্পী ও হৃদয়কে নিয়ে দোতলায় বাসায় যান তানিয়া। বাসায় ঢুকে বাপ্পি ও হৃদয় প্রথম আধাঘণ্টা এসি মেরামত করতে থাকেন। একপর্যায়ে বাপ্পি নিচে নেমে জিআই তার ও আরেক সহযোগী রুবেলকে নিয়ে ফেরেন। রুবেলকে দেখে তার বিষয়ে বাপ্পির কাছে জানতে চান তানিয়া। বাপ্পি তখন জানান রুবেল তাদের সাথে এসি মেরামতের কাজ করতে এসেছেন। তানিয়া রুবেলকে একটি চেয়ারে বসতে দিয়ে ছোট বাচ্চাকে কোলে নিয়ে রান্নার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।
তিনি আরও জানান, বাসায় রান্নাবান্না আর কাজের ফাঁকে এসির কাজের তদারকি করতে থাকেন তানিয়া। একসময় তিনি দেখতে পান বাপ্পি ও রুবেল ঘরের আলমারি খুলে জিনিসপত্র এলোমেলো করছে। তখন তিনি জোরে চিৎকার দেন। তার চিৎকারের পরই রুবেল তানিয়ার মুখ চেপে ধরে বালিশ চাপা দেয়। এসময় বাপ্পি তার ব্যাগে থাকা চাপাতি বের করে তানিয়ার মাথায় তিনটি কোপ এবং পিঠে একটি কোপ মারে। এতে নিস্তেজ হয়ে পড়েন তানিয়া। হত্যার এ দৃশ্য ওই সময়ে তানিয়ার মেয়ে মাইমুনা জাহান দেখে ফেলে কান্না শুরু করে। তার সাথে কান্না শুরু করে ১০ মাসের বাচ্চা তানভীরুল ইসলামও। তাদের কান্নাকাটির দৃশ্য দেখে হত্যাকারীরা স্কচটেপ দিয়ে তাদের মুখ বেঁধে দেয়। পরে তাদের হাত-পা বেঁধে রাখে তারা। এরপর হত্যাকারীরা আলমারিতে টাকা স্বর্ণালংকার, তানিয়ার কানের দুল, মেয়ের গলায় থাকা একটি স্বর্ণের চেইন, টাকাপয়সা, মোবাইল ও মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে চলে যায়।
আব্দুল আহাদ বলেন, তারা মূলত বাসায় এসেছিল ডাকাতির উদ্দেশ্যে। কিন্তু এসি মেরামত করা তাদের শুধু একটি নাটক ছিল। এর আগে বাপ্পি এসি মেরামতের আড়ালে কয়েকটি বাসায় এমন টাকা-পয়সা ডাকাতি করেছে বলে জানিয়েছে। ডিসি বলেন, লুণ্ঠিত আরও মালামাল ও আলামত উদ্ধারের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। ইতোমধ্যে বাপ্পীকে আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
সংবাদ টি পড়া হয়েছে :
১৬৩ বার