কাতালোনিয়ায় নির্বাচন: স্বাধীনতাপন্থীরাই বেশি আসন পেল
তবে বৃহস্পতিবারের নির্বাচনের পর কাতালোনিয়ায় সরকার গঠনের অধিকার কোন পক্ষ পাবে, তা এখনো স্পষ্ট হয়নি। বেলজিয়ামে কার্লোস পুজেমন বলেছেন, ‘কাতালোনিয়া স্বাধীন রাষ্ট্র হতে চায়। এটিই কাতালান মানুষের ইচ্ছা। আমি মনে করি, স্পেনের প্রধানমন্ত্রীর পরিকল্পনা কাজে দেয়নি। সংকট মোকাবিলায় আমাদের নতুন পদ্ধতি খুঁজতে হবে।’ স্পেনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিত্তশালী একটি অঞ্চল কাতালোনিয়া। জনসংখ্যা ৭৫ লাখ। এর রাজধানী বার্সেলোনা। কেন্দ্রের বাধা উপেক্ষা করে গত ১ অক্টোবর গণভোটের আয়োজন করে কাতালোনিয়া। এতে ৯০ শতাংশ ভোটার কাতালোনিয়ার স্বাধীনতার পক্ষে রায় দেন। এটি অনুমোদন করে কাতালোনিয়ার পার্লামেন্ট। স্পেনের সাংবিধানিক আদালত এই পার্লামেন্টকে বরখাস্ত করেছিলেন। স্পেন সরকার এই গণভোটকে বেআইনি ও অসাংবিধানিক হিসেবে অভিহিত করে এসেছে। এ থেকেই সংকটের শুরু। স্পেন থেকে পুরোপুরি পৃথক হতে গত ২৭ অক্টোবর স্বাধীনতা ঘোষণা করে কাতালোনিয়া। পাল্টা জবাবে কাতালোনিয়ায় প্রত্যক্ষ শাসন জারি করে স্পেন সরকার। বহিষ্কার করা হয় ওই অঞ্চলের স্বাধীনতাকামী নেতা কার্লোস পুজেমনকে। পরে তিনি বেলজিয়ামে আশ্রয় নেন। কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে কাতালোনিয়ায় গতকাল ফের মধ্যবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠিত। তাতেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ায় অঞ্চলটির স্বাধীনতা লাভের দাবি আরও জোরালো হলো বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।