বার্তা ডেস্ক :: তালা, বালতি, বাঁশি ও ঝাণ্ডাসহ অন্যান্য পণ্য কেনায় দুর্নীতির সঙ্গে রেলের ১৭ কর্মকর্তা জড়িত বলে প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি। এদের মধ্যে ৪ জনকে বরখাস্তসহ বিভাগীয় ও ফৌজদারি মামলার সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়া ১৩ জনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলাসহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করেন কমিটির সদস্যরা। কমিটি ৯ ডিসেম্বর রেলপথমন্ত্রীর কাছে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয়। রেলের জন্য ১৩৩ টাকার তালা কেনা হয় ৫৫০০ টাকায়। ২শ’ টাকার বালতি ১৮৯০ টাকা, ৫০ টাকার বাঁশি ৪১৫ টাকা, ৭৫ টাকার ঝাণ্ডা ১৪৪০ টাকায় কেনা হয়েছে বলে তদন্ত রিপোর্টে উঠে এসেছে। একইভাবে অন্যান্য পণ্যও কেনা হয়েছে বাজারমূল্যের চেয়ে ১৫ থেকে ৩৩ গুণ বেশি দামে। বেশি দাম দেখানোয় সরকারের ক্ষতি হয়েছে বিপুল অঙ্কের টাকা। এ টাকা পকেটে তুলেছেন রেলের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, রেলে দুর্নীতির সেই ‘কালোবেড়াল’ এখনও বহাল তবিয়তেই আছে। কখনও কেনাকাটায়, কখনও উন্নয়নের নামে প্রকল্প গ্রহণসহ নানা অজুহাতে ‘বেড়াল’টি আরও বেশি মোটাতাজা হচ্ছে। এদের এখনই দমন করতে হবে। তারা বলেন, দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের নাম দুদকে পাঠানো উচিত। না হলে দুদক নিজ থেকেই এদের বিরুদ্ধে তদন্তে নামতে পারে। স্বাধীন সংস্থাটি সে কাজ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তারা। এ প্রসঙ্গে রেলপথমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, বুধবার দুপুরে রেলপথ সচিব তদন্ত কমিটির রিপোর্ট জমা দিয়েছেন। এতে পশ্চিমাঞ্চল রেলের কেনাকাটায় একাধিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভয়াবহ অনিয়ম-দুর্নীতির তথ্য এসেছে। ৪ কর্মকর্তাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে। দুর্নীতির বিষয়ে আমি জিরো টলারেন্সে বিশ্বাসী। অনিয়ম-দুর্নীতিবাজ কাউকে বিন্দুমাত্র ছাড় দেয়া হবে না। আমরা রিপোর্টটি দেখছি- দ্রুত সময়ের মধ্যেই ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইতোমধ্যে একজনকে (সাবেক সিসিএম এএমএম শাহনেয়াজ) ওএসডি করা হয়েছে। রেলে ব্যাপক উন্নয়ন হচ্ছে- প্রকল্প বাস্তবায়নে আমূল পরিবর্তন আসছে। দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
২০১৮-১৯ অর্থবছরে রেলের জন্য ২০টি আইটেম কেনায় ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে বলে তদন্তে বেরিয়ে এসেছে। এতে সরকারের কোটি কোটি টাকা যেমন ক্ষতি হয়েছে, তেমনি ট্রেন পরিচালনায়ও ঝুঁকি বেড়েছে। কন্ট্রোলার অব স্টোরস (সিওএস) দফতর থেকে এসব পণ্য কেনা হয়। কেনাকাটার ঘটনা তদন্তে ২০ সেপ্টেম্বর রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. ভুবন চন্দ্র বিশ্বাসকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। উপসচিব মো. আবদুর রহিমকে সদস্য সচিব ও পাকশি রেলওয়ে বিভাগীয় ম্যানেজার মো. শাহীদুল ইসলামকে সদস্য করা হয়। কমিটি প্রায় ৩ মাস কাজ শেষে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। আর্থিক অনিয়ম-দুর্নীতির সঙ্গে সরাসরি জড়িত হিসেবে চিহ্নিতরা হলেন- পশ্চিমাঞ্চল রেলের সাবেক কন্ট্রোলার অব স্টোরস (সিওএস) প্রকৌশলী মো. বেলাল হোসেন সরকার, সাবেক চিফ কর্মাশিয়াল ম্যানেজার (সিসিএম) এএমএম শাহনেওয়াজ, সাবেক সহকারী কন্ট্রোলার অব স্টোরস (এসিওএস) মো. জাহিদ কাওছার ও সাবেক উচ্চমান সহকারী মো. আল আলামিন তালুকদার।
তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযুক্ত এ ৪ কর্মকর্তাকে বরখাস্তসহ তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় এবং ফৌজদারি মামলার সুপারিশ করা হয়েছে। একাধিক রেল কর্মকর্তা বলছেন, অভিযুক্তরা দুর্নীতির মাধ্যমে টাকার পাহাড় গড়েছেন। সঠিক তদন্তে সব বের হয়ে আসছে। তারা বছরের পর বছর ধরে রেলের কেনাকাটায় দফতরে একটি শক্তিশালী চক্র গড়ে তুলেছেন। এছাড়া ক্রয় প্রক্রিয়ায় কর্তব্যে অবহেলা, অদক্ষতা এবং আর্থিক অনিয়ম-দুর্নীতিতে সরাসরি সহায়তাকারী হিসেবে আরও ১৩ কর্মকর্তার নাম এসেছে।
তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলাসহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছে কমিটি। অভিযুক্তরা হচ্ছেন- পশ্চিমাঞ্চল রেলের এসিসিএমসিআর শেখ আবদুল জব্বার, ডেপুটি সিওপিএস মোছা. হাসিনা খাতুন, ডিএমএ হেডকোয়ার্টার শ্যামলী রানী রায়, এফএএন্ডসিএও মো. শরিফুল ইসলাম, ডেপুটি সিসিএম ফুয়াদ হোসেন আনন্দ, ডিএফএ অর্থ মো. আলমগীর, এফএএন্ডসিএও মো. মসিহ-উল-হাসান, অতিরিক্ত এফএএন্ডসিএও মো. গোলাম রহমান, অতিরিক্ত এফএএন্ডসিও গোলাম রাব্বানী ও সাবেক সিসিএম ও বর্তমানে পশ্চিমাঞ্চল রেলের জিএম মিহির কান্তি গুহ। পশ্চিমাঞ্চল রেলের সাবেক জিএম খন্দকার শহিদুল ইসলাম, একই অঞ্চলের সাবেক জিএম মো. মজিবুর রহমান ও মো. খায়রুল আলমও এর সঙ্গে জড়িত।
এ তিন কর্মকর্তা চাকরি থেকে অবসরে গেছেন। রিপোর্টে বলা হয়, উল্লিখিত সময়ে পশ্চিমাঞ্চল রেলে যে অনিয়ম-দুর্নীতি হয়েছে- এতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনে চরম অবহেলা-অদক্ষতার প্রমাণ মিলেছে। তারা কেনাকাটা সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র যথাযথভাবে যাচাই না করায় আর্থিক অনিয়ম-দুর্নীতি হয়েছে। ২৯ পাতার তদন্ত রিপোর্টে বলা হয়েছে, উল্লিখিত অর্থবছরে প্রতিটি পর্দা ক্রয় দেখানো হয়েছে ১৭ হাজার ৯৯০ টাকা করে। কমিটির সদস্যরা ঢাকার নিউমার্কেটে নমুনা ধরে ভিআইপি পর্দার দর যাচাইকালে দেখেন, প্রতি পিসের দাম মাত্র ১০৮৫ টাকা। পর্দা ক্রয়ে টিইসি কর্তৃক ৬টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সর্বনিম্ন দরদাতা মেসার্স সরকার ট্রেডার্সকে কাজ দেয়া হয়। তাকে প্রতি পিস ১৭ হাজার ৯৮৭ টাকা করে কেনার জন্য কার্যাদেশ দেন এ সংক্রান্ত কমিটির সদস্যরা। এতে সরকারের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ৪৫ লাখ টাকা।
লাগেজ ফিতা প্রতি পিস কেনা হয়েছে ৪৯.৪০ টাকা করে। তদন্ত কমিটি রাজধানীর গাউসুল আজম মার্কেটে নমুনা মোতাবেক ফিতার দর যাচাই করে দেখেন প্রতি পিস দাম মাত্র ৪.৫৫ টাকা। এতে সরকারের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ২৬ লাখ ২৭ হাজার ৫০০ টাকা। ভিজিটিং চেয়ার প্রতিটি কেনা হয়েছে ১৬ হাজার ৮৯০ টাকা করে। তদন্ত কমিটি ঢাকার নয়াপল্টনে নমুনা ছবি ধরে চেয়ারের বাজার দর যাচাই করে দাম পেয়েছে ৯ হাজার ৩৬০ টাকা। বাজারের চেয়ে বেশি দামে চেয়ার কেনায় সরকারের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ১৫ লাখ ২০০ টাকা। এছাড়া পেডাল ডাস্টবিন প্রতি পিস কেনা হয় ৯৮৫০ টাকা করে। তদন্ত কমিটি ঢাকার একটি মার্কেটে নমুনা অনুযায়ী পণ্যটির বাজারদর মূল্য পেয়েছে ৫৪০ টাকা। অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে এ পণ্য ক্রয়ে সরকারের আর্থিক ক্ষতি হয় ১৮ লাখ ৪৪ হাজার ৪০০ টাকা।
প্রতিটি লাগেজ ট্রলি কেনা হয়েছে ১০ হাজার ৩০০ টাকা করে। কিন্তু কমিটির যাচাইয়ে প্রতি পিস লাগেজ ট্রলির বাজার মূল্য পেয়েছে ৩৬৪০ টাকা। দুর্নীতি ও অনিয়মের কারণে সরকারের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ১৪ লাখ ৫৫ হাজার ৭৬০ টাকা। পাপোশ ক্রয়েও দুর্নীতি হয়েছে। প্রতিটি পাপোশ ক্রয় করা হয় ১৪৭৭ টাকায়। কমিটি বাজারদর যাচাই করে পায় প্রতি পিস ৭৫৪ টাকা। এতে সরকারের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ৩ লাখ ৬১ হাজার টাকা। একটি ফটোকপি মেশিন কেনা হয়েছে ৪ লাখ ৬৩ হাজার ৫০০ টাকায়। রিপোর্টে বলা হয়েছে, এটির বাজারমূল্য ১ লাখ ৫০ হাজার ৮০০ টাকা। এছাড়া স্টিল ফ্রেমের চেয়ার ক্রয় করা হয়েছে ৪ গুণ বেশি দামে- এতে সরকারের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১৪ লাখ টাকা। প্রতিটি লেদার ক্যাশ ব্যাগ কেনা হয়েছে ৫৫০০-৮৫০০ টাকায়। কমিটি ২৯৯০ টাকা করে বাজারে পেয়েছে। এতে ক্ষতি হয়েছে ২৯ লাখ ৮৮ হাজার ৭৭০ টাকা।
ফাস্ট এইড বক্স ক্রয় করা হয়েছে ৬৫০০ টাকা করে। বাজারমূল্য ১৩০০ টাকা। আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ৫ লাখ ১৯ হাজার ৬০০ টাকা। এছাড়া ফায়ার বাকেট ও ফায়ার বাকেট স্ট্যান্ড ক্রয়েও সরকারের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ৬ লাখ ৫৮ হাজার ৬৮০ টাকা। ইলেকট্রিক দেয়াল ঘড়ি প্রতিটি ক্রয় করা হয়েছে ৪৫০০ টাকা করে। রিপোর্টে এসেছে একই ধরনের দেয়াল ঘড়ির বাজারমূল্য ১৮২০ টাকা। এতে ক্ষতি ৪ লাখ ১৭ হাজার টাকা। হুইল ডাস্টবিন প্রতিটি ক্রয় করা হয়েছে ১২ হাজার ৯৮০ টাকা করে। তদন্ত রিপোর্টে বলা হচ্ছে, এ ধরনের পণ্যের বাজারদর প্রতিটি ৮ হাজার ৪৫০ টাকা। ক্ষতি হয়েছে ৩ লাখ ৬২ হাজার ৮০ টাকা। কাঠের অভিযোগ বক্স ক্রয়েও ব্যাপক অনিময়-দুর্নীতি করা হয়েছে। প্রতিটি বক্স ৩৭৫০ টাকা করে কেনা হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, এর বাজারমূল্য ২০৮০ টাকা। উন্নতমানের চেয়ার প্রতি পিস কেনা হয়েছে ৪৯ হাজার ৫০০ টাকা করে। রিপোর্টে বাজারদর এসেছে ১৬ হাজার ৯০০ টাকা। আর্থিক ক্ষতি প্রায় ১৭ লাখ টাকা। রিপোর্টে এসেছে- লোহার ফিক্সড ক্যাশ সেভ প্রতি পিস কেনা হয় ৬০ হাজার ৫০০ টাকা করে। কমিটি বলছে, এর বাজারমূল্য ২৮ হাজার ৬০০ টাকা।
প্রতিবেদনে সার্বিক তথ্য পর্যালোচনায় বলা হয়, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে কেনাকাটায় তালিকাভুক্ত ১৬৬ ঠিকাদারের মধ্যে মাত্র ৬ জনের কাছে দরপত্র বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়। যা গুরুতর অনিয়ম-আর্থিক দুর্নীতির অংশ। এতে চুক্তি স্বাক্ষর বিষয়ে বলা হয়েছে, একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা চুক্তি সম্পাদনের আগে সবকিছু বিবেচনা করে- অনিয়ম, দুর্নীতি যাতে না হয় সেই বিষয়টি নিশ্চিত করে স্বাক্ষর করবেন।কিন্তু সেখানে কেনাকাটা সংশ্লিষ্ট কোনো কর্মকর্তা তা করেননি। এছাড়া পশ্চিমাঞ্চল রেলে সিওএস অফিস এবং রক্ষণাগার দফতর থাকলেও সরবরাহকৃত পণ্য গ্রহণে ব্যাপক অনিয়ম-অদক্ষতার প্রমাণ পাওয়া গেছে। রেলপথ সচিব মো. সেলিম রেজা বুধবার দুপুরে জানান, তদন্ত কমিটির রিপোর্ট প্রথমে তার কাছে জমা হয়েছে। রিপোর্টটি রেলপথমন্ত্রীর কাছে দেয়া হয়েছে। আমরা পুরো বিষয়টি দেখছি, অভিযুক্ত কেউ রেহাই পাবে না।
সুপারিশ অনুযায়ী অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমরা আইন-কানুনের বিষয়গুলো দেখছি, যাতে অভিযুক্তরা সহজে পার না পেতে পারে। রেলে অনিয়ম-দুর্নীতি কোনো অবস্থাতেই বরদাশত করা হবে না। তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী দায়ীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয়-ফৌজদারি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পশ্চিমাঞ্চল রেলের সাবেক সিওএস- বর্তমানে পূর্বাঞ্চল রেলের সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক প্রকৌশলী মো. বেলাল হোসেন সরকার বলেন, ‘তদন্ত রিপোর্টের বিষয়ে আমি কিছু জানি না। তবে আমি অনিয়ম-দুর্নীতি করিনি। আমি রেলের উন্নয়ন ও রাজস্ব অর্জনে সফলতার সঙ্গে কাজ করেছি, করছি।’ সাবেক সিসিএম বর্তমানে পশ্চিমাঞ্চল রেলের জিএম মিহির কান্তি গুহ বলেন, ‘তদন্তকারী কোনো কর্মকর্তা আমাকে কিছুই জিজ্ঞেস করেননি। এমনভাবে গড়ে কর্মকর্তাদের অভিযুক্ত করলে কেনাকাটা কে করবে।
ক্রয়সংক্রান্ত কমিটিতেও তো কেউ আর থাকতে চাইবে না। তখন রেল চলবে কী করে। আমি কোনো অনিয়ম-দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নই। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান শুক্রবার সন্ধ্যায় বলেন, রেলে পুকুরচুরি নয়- সাগরচুরির ঘটনা বারবারই ঘটছে। অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হয়নি বলেই রেলের দুর্নীতি-অনিয়ম বাড়ছে। এ তদন্ত রিপোর্টে যেসব সুপারিশ করা হয়েছে তা যদি যথাসময়ে নিশ্চিত করা না হয় তবে বর্তমান রেলপথমন্ত্রী, রেলপথ সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে প্রশ্ন উঠবে, তারা কেন সুপারিশ অনুযায়ী অভিযুক্তদের শাস্তি নিশ্চিত করছেন না। আমি আশা করি, নিশ্চয় মন্ত্রী ও সচিব যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। একই সঙ্গে আমি বলব, তদন্ত রিপোর্টের সুপারিশ এবং রেলের দুর্নীতি-অনিয়ম বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তদন্তে নামবে। দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আইনের আওতায় আনবে, দুদক নিজস্ব উদ্যোগে তদন্তে নামবে- এমনটা সাধারণ মানুষেরও প্রত্যাশা। সৌজন্যে : যুগান্তর
সংবাদ টি পড়া হয়েছে :
৬০ বার