কুখ্যাত আকায়েত নয়, প্রবাসে একএকটি ছেলেমেয়ে আজ বাংলাদেশ
রুমানা জামান(ফেসবুক থেকে)-
নিউইয়র্ক বোমারো বাংলাদেশী আকায়েদ উল্লাহে’র কারনে প্রবাসী বাংলাদেশীরা বিব্রত। অনেকে আতংকিত। অনেকে বলছেন, দেশের মান গেলো। জাত গেলো। কিন্তু শুধু কি আকায়েদ উল্লাহ? এক আকায়েদ উল্লাহ আমাদের সবাইকে বিব্রত করছে। জাতী হিসাবে আমাদের লজ্জিত করছে। দূর্ঘটনা বা খারাপ খবর বাতাসের আগে চলে। ভাল সংবাদ কেউ রাখেনা বা রাখতে চায়না। বাঙ্গালীরা কি বর্হিরবিশ্বে শুধু বদনামই কুড়াচ্ছে? দেশের জন্য কি কোন সুনাম আনছেনা? একজন আকায়েত উল্লাহ দিয়ে সব কিছু বিবেচনায় আনা আসলে উচিত না । প্রবাসে আমাদের বাঙ্গলী সন্তানরা আজ অনেক দূর এগিয়ে যাচ্ছে। উত্তর উত্তর হয়তো আরো এগিয়ে গিয়ে সর্বোচ্চ চূড়ায় উঠতে পারে। আমি শুধু আমার কথাই বলছি। আমার অজানা জগতে হয়তো না জানা অনেক সাফল্য গাথা রয়েছে। এক আকায়েদ উল্লাহর জন্য আমাদের সে সাফল্য যেনো মলিন হয়ে না যায়। আকায়েদ উল্লাহরা সব দেশে আছে। এরা জাতীর কলংক। জাতীকে পিছনে নিয়ে যেতে এরা যথেষ্ট। তারপরও আমাদেরকে সকল বন্ধুর পথ মাড়িয়ে এগিয়ে যেতে হবে।
আমার চাচাতো ভাই ‘আশফাকুজ্জামান সোহান’ ও খালাতো বোন ‘মালিহা রিদি’কে নিয়ে আমি তাই গর্বিত। দু’জনই আমাদের নতুন প্রজন্ম। আমেরিকায় নিজেরা নিজেদের যোগ্যতায় প্রতিষ্টিত। দু’জনেই রাষ্ট্রীয় বিভাগের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত ।। আমাদের দু;একজন সন্তান যেখানে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তাকে অস্থি্তিশীল করতে চাচ্ছে সেখানে আমাদের হাজার সন্তান সেই রাষ্ট্রের অতন্তপ্রহরী হিসাবে কাজ করছে। সোহান দীর্ঘ দিন ধরে নিউইয়র্ক সিটি মেয়র ‘বিল ডি ব্লাসিও’ এর এটর্নি হিসাবে আইনগত দিক দেখাশুনা করছে। মেয়রের জানা আছে আমাদের ছেলেরা মেয়েরা কেমন।। চোখে আঙ্গল দিয়ে আজ আর কাউকে দেখিয়ে দিতে হয়না । ‘মালিহা রিদি’ দেশের মেয়েদের মুখ উজ্জ্বল করার জন্য নিউইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্টের ইন্টেলেজেন্স এজেন্সিতে কর্মরত আছে।। আমাদের বাংলাদেশ কুখ্যাত আকায়েত নয়।। বাংলাদেশ একাত্তর।। বাংলাদেশের অহংকার। দেশের মুখ উজ্জ্বল করা বিদেশে কর্মরত ছেলেমেয়েরা আজ এক একটি বাংলাদেশ।।।সবাই কে বিজয়ের শুভেচ্ছা।।