কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ: প্রবাসী বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা
সিলেট::সিলেটের বিশ্বনাথে আহমদ আলী (৪৮) নামের এক যুক্তরাজ্য প্রবাসীর বিরুদ্ধে প্রতারণা মামলা দায়ের করেছেন বিশ্বনাথ বিএনপির সহসভাপতি ও দৌলতপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবারক আলী। মামলায় অভিযুক্ত আহমদ আলী ও মামলার বাদী আবারক আলী দু’জনেই নিকটাত্মীয় এবং দু’জনেই উপজেলার সিঙ্গেরকাছ পশ্চিম গাঁওয়ের বাসিন্দা। আবারক আলী মৃত রাশিদ আলীর ছেলে আর অভিযুক্ত আহমদ আলী মৃত খোয়াজ আলীর ছেলে। ১কোটি ২১লাখ ৫৯হাজার ৫৮১টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ এনে বুধবার সিলেটের সিনিয়র জ্যুডিসিয়েল ম্যাজিস্ট্রেট মো: মাহবুবুর রহমানের ৩নং আমলী আদালতে এ মামলাটি দায়ের করেন আবারক আলী (বিশ্বনাথ সিআর মামলা নং ১৭৫/১৯ইং)। সেইসাথে এফআইআর রুজ্জু করে আগামি ২৪জুনের মধ্যে মামলা রুজ্জু সংক্রান্ত প্রতিবেদন আদালতে পাঠাতে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন্চার্জ (ওসি) শামসুদ্দোহা পিপিএমকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো: আতিকুর রহমান।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, আবারক আলীর স্ত্রীর বড়বোনের ছেলে হন আহমদ আলী। তাছাড়া তার ছোট ভাইয়ের কাছে আবারক আলীর মেয়েও বিয়ে দিযেছেন। আত্মীয়তার সম্পর্ক থাকায় ২০০৯ সালে আহমদ আলীর পিতা মারা যাওয়ার পর সিঙ্গেরকাছ বাজারে আহমদ আলী তার মালিকানাধীন দুতলা বাসাসহ ২টি দোকানকোঠা ১কোটি ৫০লাখ টাকায় আবারক আলীর নিকট বিক্রি করতে চান। কিন্তু এরআগে আবারক আলীর কাছে টাকা ধার চান আহমদ আলী। এরই প্রেক্ষিতে ২০০৭ সালের ৪ ডিসেম্বর নিজ ব্যবসা প্রতিষ্টান মেসার্স হাজী রাশিদ আলী ট্রেডার্সের পূবালী ব্যাংক সিঙ্গেরকাছ বাজার শাখার ২৭৫৯-৯০২০০০০-১২ নং একাউন্ট থেকে আহমদ আলীর ২৭৫৯-১০১-১৬৪৮০ নাম্বার একাউন্টে ৮১৪২৮২০ নং চেকের মাধ্যমে আবারক আলী ১লাখ ৭০ হাজার টাকা ধার দেন। ২০০৯ সালের ১৯ জানুয়ারি ২৪১৪৫২১ নং চেকে একই একাইভাবে আরও ৫লাখ টাকা ধার দেন আবারক। এতে আহমদ আলীর নিকট পাওনা দাঁড়ায় ৬লাখ ৭০হাজার টাকা।
অন্যদিকে বাসা ও দোকানকোঠা বিক্রির দু’পক্ষের চুক্তি মতে আহমদ আলীর নামে পূবালী ব্যাংক সিঙ্গেরকাছ শাখা থেকে ৩৭ লক্ষ ৬৫ হাজার ৩২৬ টাকার একটি পে-অর্ডার প্রদান করেন আবারক। আহমদ আলীর নেওয়া ব্র্যাক ব্যাংক বিশ্বনাথ শাখা থেকে লোন বাবদ কিস্তি প্রতিমাসের ৩০ তারিখের মধ্যে তিনি ৫৫টি পেমেন্টের মাধ্যমে ৭৭ লক্ষ ২৪ হাজার ২৫৫ টাকা জমা দেন। এই টাকাসহ সর্বমোট তিনি ব্যাংক মারফেতে আহমদ আলীকে ১ কোটি ২১ লাখ ৫৯ হাজার ৫৮১ টাকা প্রদান করেন। কিন্তু টাকা নেওয়ার পর শেষ পর্যন্ত আহমদ আলী আবারক আলীর সঙ্গে প্রতারণা করেন। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিশ্বনাথ থানার ওসি শামসুদ্দোহা পিপিএম এ প্রতিবেদককে বলেন, এধরনের আদেশনামা কিংবা এজাহার এখনও তার কাছে পৌঁছায়নি।