কোচিং বাণিজ্যের বিরুদ্ধে মানববন্ধন
সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজে নিয়মিত ক্লাস না হওয়া ও আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে মেয়েকে প্রাইভেট পড়াতে না পারায় পরীক্ষা খারাপ হওয়ার প্রতিবাদে গত বৃহস্পতিবার সকালে আড়াই ঘণ্টা জেলা প্রশাসকের দরোজায় অনশন কর্মসূচি পালন করেন মুক্তিযোদ্ধা মালেক হুসেন পীর। তাঁর এই বিরল অনশন ও প্রতিবাদের প্রতি সংহতি জানিয়ে রোববার সকালে দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যানের নির্দেশে কোচিং শিক্ষা বাণিজ্যের বিরুদ্ধে সুনামগঞ্জে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন হয়েছে। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি সুনামগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। এতে শহরের শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, আইনজীবী, ছাত্র-অভিভাবকসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার লোকজন অংশ নেন। অনশনকারী মুক্তিযোদ্ধাকেও মানববন্ধনে নিয়ে আসেন আয়োজকরা।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন প্রফেসর পরিমল কান্তি দে, দুদকের সহকারি পরিচালক মঞ্জুর আলম চৌধুরী, শিক্ষাবিদ ধূর্জটি কুমার বসু, অ্যাডভোকেট বজলুল মজিদ চৌধুরী খসরু, সুনামগঞ্জ জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি নূরুর রব চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সুফিয়ান, প্রতিবাদী মুক্তিযোদ্ধা মালেক হুসেন পীর, সঞ্চিতা চৌধুরী, অ্যাডভোকেট রুহুল তুহিন, সাংবাদিক খলিল রহমান, বিন্দু তালুকদার, ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি তারেক চৌধুরী, পুলক তালুকদার প্রমুখ।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে অনশনকারী মুক্তিযোদ্ধা মালেক হুসেন পীর বলেন, আমি কেবল আমার মেয়ের জন্যই এই প্রতিবাদ করিনি। সারাদেশের স্কুল-কলেজ পড়–য়া সাধারণ পরিবারের শিক্ষার্থীদের কথা ভেবেই আমি একা এই কর্মসূচি করেছি। যেভাবে দেশের মানুষ আমার এই অনশনে সাড়া দিয়েছেন তাতে আমি আশাবাদী সরকার কোচিং বাণিজ্য বন্ধ এবং স্কুল কলেজে নিয়মিত ক্লাসদানের প্রতি মনোযোগী হবে।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া দুদকের সহকারি পরিচালক মঞ্জুর আলম চৌধুরী বলেন, আমাদের চেয়ারম্যান মহোদয় পত্র-পত্রিকায় মুক্তিযোদ্ধার একক এই অনশনের বিষয়টি অবগত হয়ে আমাদেরকে কোচিং বাণিজ্যের বিষয়ে তদন্ত করতে নির্দেশনা দিয়েছেন। পাশাপাশি ওই মুক্তিযোদ্ধাকে অভিনন্দন জানিয়ে সারাদেশে কোচিং বাণিজ্যের বিরুদ্ধে মানববন্ধন কর্মসূচি পালনের নির্দেশনা দিয়েছেন। আজ তাঁর নির্দেশনায় সুনামগঞ্জে কর্মসূচি পালিত হয়েছে। পর্যায়ক্রমে আমরা সারাদেশে এই কর্মসূচি পালন করব।