খালেদা জিয়া আয়েশ করে পায়েস খান-প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নির্বাচন যত এগিয়ে আসবে নানা আর খেলা শুরু হবে, এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই । তবে আমরা জনগণের জন্য কাজ করছি এবং করে যাব। আমরা চাই অবশ্যই দেশের মানুষ ভালো থাকবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, মামলার তারিখ এলেই খালেদা জিয়া অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া তো জেলখানায় বহাল তবিয়তে আছেন। তিনি আরও বলেন, জেলখানায় খালেদা জিয়া এসি রুম ও মেইড সার্ভেন্টসহ সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা পেয়েছেন। সেখানে খালেদা জিয়া আয়েশ করে পায়েস খান। কেবল আদালতে মামলার তারিখ এলেই দেখি তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। খালেদা জিয়ার মামলা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি (খালেদা জিয়া) আদালতের রায়ে জেলে আছেন। আমরা তো তাকে জেলে পাঠাইনি। তার এত বাঘা বাঘা আইনজীবী, তারা তো কেউ প্রমাণ করতে পারেননি তিনি দুর্নীতি করেননি। রাজশাহীতে বিএনপি নেতার গ্রেফতার প্রসঙ্গ তুলে শেখ হাসিনা বলেন, তারা নিজেরা ঘটনা ঘটিয়ে আমাদের দোষারোপ করতে চায়। তারা আন্তর্জাতিকভাবে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চায়। নেতাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, অামরা নয় বছরে জনগণের জন্য যে কাজ করেছি তা জনগণের মধ্যে তুলে ধরতে হবে। মনে রাখবেন নিজেদের প্রচার নিজেদেরই করতে হবে। কোথাও অামি দলীয় কোন্দল দেখতে চাই না। প্রার্থী নিয়ে কোন অজুহাত শুনতে চাই না। নৌকার পক্ষে সবাই কাজ করবেন।
সোমবার সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকের সূচনা বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। বিএনপি প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেনের পক্ষে ১৭ জুলাই রাজশাহীর সাগরপাড়া এলাকায় রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর নির্বাচনী পথসভায় বোমা বিস্ফোরণের অভিযোগে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মন্টুর গ্রেপ্তারের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, রাজশাহীর পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, নির্বাচনের পরিবেশকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্যই বিএনপি নেতারা পরস্পর যোগসাজশে এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মন্টুর একটি অডিও পুলিশের হাতে এসেছে (এটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ভাইরাল হয়), যেখানে তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় সহদপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপুর সঙ্গে কথোপকথনে ঘটনার জন্য নিজ দলের দুই নেতাকে দায়ী করেন। এরপরই পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে বলে রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র ইখতিয়ার আলম জানান।